বিজ্ঞাপন

‘১৫ টাকা সিট ভাড়া আর ৩৮ টাকার খাবার খেয়ে লাফালাফি করে’

July 12, 2018 | 8:01 pm

।। সারাবাংলা ডেস্ক।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কথায় কথায় তারা বলে ক্লাস করবে না। ক্লাসে তালা দেয়। ক্ষতিগ্রস্ত কারা হবে? আমরা সেশন জট দূর করেছি। এদের কারণে এখন আবারও সেই সেশন জট। ১৫ টাকা সিট ভাড়া আর ৩৮ টাকা খাবার, কোথায় আছে পৃথিবীর? আজ নতুন নতুন হল বানিয়েছি। ১৫ টাকা সিট ভাড়া আর ৩৮টাকায় খাবার খেয়ে তারা লাফালাফি করে। তাহলে সিট ভাড়া আর খাবারে বাজারদর যা রয়েছে, তাদের তা দিতে হবে। সেটা তারা দিক।

বৃহস্পতিবার (১২ জুলাই) জাতীয় সংসদের ২১তম অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের যে কোটা তাতে হাইকোর্টের রায় রয়ে গেছে। যেখানে হাইকোর্টের রায়ে বলা আছে, মুক্তিযোদ্ধাদের কোটা সংরক্ষিত থাকবে। তাহলে ওই কোটার বিষয়ে আমরা কীভাবে কোর্টের ওই রায় ভায়োলেট করব? সেটা তো আমরা করতে পারছি না। এই রায় অবমাননা করে তখন তো আমি কনটেম্পট অব কোর্টে পড়ে যাব।’

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন- অশুভ শক্তি যেন সুখ স্বাচ্ছন্দ্য কেড়ে নিতে না পারে

তিনি আরও বলেন, ‘যেখানে কোটা পূরণ হবে না, কোটার যেটা খালি থাকবে, তা মেধার তালিকা থেকে নিয়োগ হবে। এটা আমরা করে দিয়েছি। গত কয়েক বছর থেকেই এই প্রক্রিয়া চালু রয়েছে।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবন ভাঙচুর প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কোটা আন্দোলনকারীদের মধ্যে যারা ভিসির বাড়িতে ভাঙচুর ও আক্রমণ করেছে, তাদেরই গ্রেফতার করা হচ্ছে। উশৃঙ্খলা কখনো বরদাস্ত করা যায় না। ভাঙচুরকারীরা ভিসির বাড়ির ক্যামেরার চিপস নিয়ে গেলেও আশপাশে থাকা ক্যামেরা দেখে তাদের একটা একটা করে খুঁজে বের করা হচ্ছে।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘যারা ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও আক্রমণ করেছে, তাদের তো ছাড়া হবে না। তাদেরই গ্রেফতার করা হচ্ছে। তদন্ত করা হচ্ছে। অনেকে স্বীকারও করছে। যত আন্দোলনই হোক না কেন, এদের ছাড়া হবে না। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেই হবে।’

কোটা আন্দোলনকারীরা কী চায় তা সঠিকভাবে বলতে পারে না উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘কোটা নিয়ে আন্দোলন, এটা কি আন্দোলন নাকি? তারা ঠিক কী যে চায়, বারবার জিজ্ঞাসা করা হয়েছে, সেটা কিন্তু সঠিকভাবে বলতে পারে না।’

শেখ হাসিনা বলেন, আজ আন্দোলন তারা করছে, খুব ভালো কথা। বিরোধীদলীয় নেতা বলেছেন, ছেলেপুলে আন্দোলন করতেই পারে। কিন্তু ভিসির বাড়িতে আক্রমণ করে সেখানে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া, গাড়িতে আগুন দিয়ে পোড়ানো, বাড়ি ভাঙচুর করা, বেডরুম পর্যন্ত পৌঁছে ভাঙচুর ও লুটপাট করা, স্টিলের আলমারি ভেঙে গহনা, টাকাপয়সা সবকিছু লুটপাট করেছে। ভিসির পরিবারের সদস্যরা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে লুকিয়ে থেকে প্রাণ বাঁচিয়েছেন। এটা কি কোনো শিক্ষার্থীর কাজ? এটা কি কোনো শিক্ষার্থী করতে পারে?’

তিনি বলেন, ‘বলেছি, কোটা সংস্কার আমরা করব। আমি তো বলেছি টোটাল কোটা বাদ দিতে। আমরা তো কেবিনেট সেক্রেটারিকে দিয়ে একটি কমিটিও করে দিয়েছি। তারা সেটা দেখছে। তাহলে এদের অসুবিধাটা কোথায়?’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/একে

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন