বিজ্ঞাপন

বাড়তি রোজগারের লোভে ভারতের বিপক্ষে সিরিজ!

December 25, 2017 | 11:52 am

সারাবাংলা ডেস্ক

বিজ্ঞাপন

ভারতের বিপক্ষে সব দেশই খেলতে চায়, বিশেষ করে সিরিজ খেলতে চায়। এর কারণটা কি? জানালেন পাকিস্তানের বোর্ড (পিসিবি) প্রধান নাজাম শেঠি। তার মতে, ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানও সিরিজ খেলার জন্য মরিয়া হয়ে থাকে। কোনো রাখঢাক না রেখেই পিসিবি প্রধান জানিয়েছেন, বাড়তি রোজগারের আশায় পাকিস্তান সিরিজ চায় ভারতের বিপক্ষে। শুধু পাকিস্তানই নয়, ক্রিকেট খেলুড়ে সব দেশই বাড়তি রোজগারের লোভেই সিরিজ খেলতে আগ্রহী।

তিনি জানান, ‘আইসিসির সব সদস্য দেশই ভারতের সঙ্গে ক্রিকেট খেলতে চায় আর্থিক দিক দিয়ে লাভবান হওয়া যায় বলে। আর আইসিসি এটা আয়োজন করে দিতে চেষ্টা করে, কারণ ভারতের জন্যই আইসিসির পকেটে মোটা অঙ্কের টাকা জমে।’

২০১৬ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে হোম আর অ্যাওয়ে ভিত্তিতে মোট ৬টি দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলার কথা ছিল ভারত-পাকিস্তানের। এই মর্মে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েও তা কার্যকর করা সম্ভব হয়নি। ভারত সরকার পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ খেলার জন্য অনুমতি দেয়নি। রাজনৈতিক অস্থিরতার ফলে দুই প্রতিবেশি দেশের দ্বিপাক্ষিক সিরিজ দেখা থেকে বঞ্চিত ক্রিকেট বিশ্ব।

বিজ্ঞাপন

আইসিসির কাছে একাধিকবার এ নিয়ে অনুরোধ করেছে পাকিস্তান। এমনকি চুক্তি ভঙ্গের কারণে ভারতের বোর্ডের বিরুদ্ধে মামলাও দিয়েছিল। তাতেও কোনো পদক্ষেপ নেয়নি আইসিসি। কারণটাও পরিষ্কার। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড থেকে প্রাপ্ত অর্থের পরিমানটা কমে গেছে আইসিসির। তাই পাকিস্তানের জন্য কিছু করা থেকে নিজেদের বিরত রাখার পাশাপাশি ভারতকেও নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখা আইসিসির ভালো মনে হয়েছে। এদিকে, একপ্রকার হতাশ হয়েই পিসিবি অদূর ভবিষ্যতে ভারতের বিরুদ্ধে ক্রিকেট সিরিজ আয়োজনের আশা ছেড়ে দিয়েছে।

নাজাম শেঠি জানান, ‘অস্বীকার করার জায়গা নেই, ভারতীয় ব্রডকাস্টারদের জন্যই ক্রিকেটে সব থেকে বেশি টাকা আসে। প্রত্যেক আইসিসি সদস্য ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচ খেলতে চায়। কারণ, ভারতের মতো সেরা দলের সঙ্গে খেলা তাদের বাড়তি উপার্জনের সুযোগ করে দেয়। আর আইসিসিতো সুযোগের অপেক্ষায় থাকে। তাদের পকেটেও মোটা অঙ্কের টাকা জমে।’

তিনি আরও যোগ করেন, ‘ভারত মনে করে আইসিসির কোষাগারে বেশি অর্থ যাবে বলে তারা আমাদের সঙ্গে সিরিজ খেলার আয়োজন করতে চায়। আসলে দুই পক্ষেরই লভ্যাংশ বেশি হওয়া উচিৎ। বাকিরা তা ভাবে না। আমরা মনে করি আইসিসির সব সদস্যই সমান। তাই লভ্যাংশ সবার মধ্যে সমানভাবে বণ্টন হওয়া দরকার।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এমআরপি

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন