বিজ্ঞাপন

পাবনায় ৪৯ প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন

July 14, 2018 | 4:23 pm

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা : পাবনায় ৩১টি উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন ও ১৮টির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার (১৪ জুলাই) বিকেল ৪টায় এগুলোর উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। এ সময় ফলক উন্মোচনের মাধ্যমে নবনির্মিত ঈশ্বরদী-পাবনা-ঢালারচর রেলপথ, ঈশ্বরদী থেকে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পর্যন্ত রেলপথ, ঈশ্বরদী থানা ভবন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স, পাবনা মেডিকেল কলেজের ছাত্রাবাস ও ছাত্রীনিবাস, বিভিন্ন উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুৎতায়ন প্রকল্পসহ ৪৯টি বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী।

উদ্বোধন হওয়া ৩১ প্রকল্প হলো: ঈশ্বরদী থেকে মাঝগ্রাম হয়ে পাবনা পর্যন্ত রেলওয়ে সেকশনে ট্রেন চলাচল; পাবনা মেডিকেল কলেজের ছাত্রাবাস ও ছাত্রীনিবাস; ঈশ্বরদী থানা ভবন; জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স; সুজানগর উপজেলার নাজিরগঞ্জ, আটঘরিয়া উপজেলার মাঝপাড়া, ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশী, সলিমপুর, লক্ষ্মীকুণ্ডা, সাঁড়া, পাবনা সদর উপজেলার চরতারাপুর এবং চাটমোহর উপজেলার ছাইকোলা ইউনিয়ন ভূমি অফিস; ফরিদপুর উপজেলায় বড়াল নদীর উপর নারায়ণপুর সেতু; ভাঙ্গুড়া উপজেলায় গোমানী নদীর উপর নৌবাড়িয়া সেতু; ঈশ্বরদী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স; চাটমোহর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স; পাবনা সিটি কলেজের একাডেমিক ভবন; আটঘরিয়ার দেবোত্তর ডিগ্রি কলেজের একাডেমিক ভবন; খিদিরপুর ডিগ্রি কলেজ, একাডেমিক ভবন; চাটমোহর মহিলা কলেজের একাডেমিক ভবন; সুজানগরের বোনকোলা স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাডেমিক ভবন; সুজানগর মহিলা কলেজের একাডেমিক ভবন; সাঁথিয়ার শহীদ নুরুল হোসেন ডিগ্রি কলেজের একাডেমিক ভবন; ঈশ্বরদী মহিলা কলেজের একাডেমিক ভবন; সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের প্রশাসনিক ভবন; আটঘরিয়ার ডেঙ্গারগ্রাম ডিগ্রি কলেজের একাডেমিক ভবন; আটঘরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স; চাটমোহর উপজেলায় গোমানী নদীর উপর নিমাইচড়া সেতু; চাটমোহর উপজেলায় কাটাখাল সেতু; চাটমোহর উপজেলায় আত্রাই নদীর উপর আত্রাই সেতু; সুজানগর উপজেলায় ধোলাইখাল সেতু এবং জেলার চাটমোহর, ফরিদপুর, ঈশ্বরদী, আটঘরিয়া, সাঁথিয়া ও সুজানগর উপজেলাকে শতভাগ বিদ্যুতায়িত উপজেলা ঘোষণা।

বিজ্ঞাপন

ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হওয়া প্রকল্পগুলো হলো: রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে সিগন্যালিংসহ রেললাইন নির্মাণ; জেলা সদরে ১০০০ আসনবিশিষ্ট অডিটোরিয়াম কাম মাল্টিপারপাস হল; সুজানগর উপজেলায় কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র; আটঘরিয়া উপজেলায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন; চাটমোহর উপজেলা সাব-রেজিস্টার অফিস ভবন; বেড়া উপজেলা সাব-রেজিস্টার অফিস ভবন; সুজানগর উপজেলা সাব-রেজিস্টার অফিস ভবন; জেলা রেজিস্ট্রার অফিস ভবন; পুলিশ লাইনস মহিলা পুলিশ ব্যারাক ভবন; সুজানগর উপজেলায় সাগরকান্দি ইউনিয়ন ও আটঘরিয়া উপজেলায় হাদল ইউনিয়ন ভূমি অফিস; পাবনা মেডিকেল কলেজে ৫০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল; জেলা শিল্পকলা একাডেমি; সাঁথিয়া টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ; পাবনা আদর্শ মহিলা কলেজের একাডেমিক ভবন; সাঁথিয়া উপজেলায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন; বেড়া পৌরসভায় উচ্চ জলাধার ও পানি শোধনাগার নির্মাণ; সাঁথিয়া পৌরসভায় উচ্চ জলাধার নির্মাণ; ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট পাবনা জেনারেল হাসপাতালের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ।

এর আগে শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের দ্বিতীয় চুল্লির প্রথম কংক্রিট ঢালাই উদ্বোধন ও সংক্ষিপ্ত সুধী সমাবেশে বক্তব্য দেন। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন রাশিয়ান ফেডারেশনের উপপ্রধানমন্ত্রী মি. ইউরি ইভানোভিচ বোরিসভ।

শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন আইএইএ’র পরিচালক মি. দোহী হান। স্বাগত বক্তব্য দেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আনোয়ার হোসেন।

বিজ্ঞাপন

সকালের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন,  ‘দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে প্রথমেই প্রয়োজন নির্ভরযোগ্য বিদ্যুৎ সরবরাহ। সাধারণ মানুষও সব কিছুর আগে বিদ্যুৎ চাই। আমরা দেশের সকল মানুষের কাছে এবং সব সেক্টরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি।’

রূপপুর প্রকল্পের কংক্রিট ঢালাই কাজের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনে কোনো ভয়ভীতি নেই জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনে এখন অনেক উন্নত প্রযুক্তি এসে গেছে।

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা নিরাপত্তার পরিকল্পিত সব ব্যবস্থা মেনেই এই প্রকল্প হাতে নিয়েছি। রাশিয়া ও ভারতে আমাদের ছেলে-মেয়েদের এ বিষয়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আমাদের ছেলে-মেয়েরা অনেক মেধাবী।’

বিজ্ঞাপন

এ ছাড়া যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ যাতে এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কোনো ক্ষতি না করতে পারে তার সবকটি ব্যবস্থায় আমরা নিচ্ছি বলেও জানান তিনি।

৩৩তম পারমাণবিক শক্তির দেশ হিসেব বাংলাদেশ আত্মপ্রকাশ করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশে একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র গড়ে উঠতে পারে একথা কেউ চিন্তাই করতে পারতো না। এর জন্য অনেকগুলো ধারাবাহিক প্রক্রিয়া সম্পাদন করতে হয়। জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেগুলো শুরু করে দিয়েছিল, কিন্তু শেষ করে যেতে পারেননি।

পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পুলিশ, সেনাবাহিনীসহ সব বাহিনীই সমন্বিতভাবে কাজ করবে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা পরিকল্পিতভাবেই এই বিদ্যু প্রকল্প হাতে নিয়েছি। এখানে রুশ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। যেকোনও দুর্যোগ মোকাবেলায় রাশিয়া আমাদের পাশে থাকবে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্রাদিমির পুতিনের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তিনি আমাদের পাশের থাকার আশ্বাস দিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য বিদ্যুৎ অপরিহার্য। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য প্রথমেই প্রয়োজন পর্যাপ্ত এবং নির্ভরযোগ্য বিদ্যুৎ সরবরাহ। সাধারণ মানুষও সবকিছুর আগে বিদ্যুৎ চান। আমরা দেশের সকল মানুষের কাছে এবং বিভিন্ন অর্থনৈতিক সেক্টরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি।’

‘টেকসই বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য আমরা জ্বালানি নীতিতে জীবাষ্ম জ্বালানির পাশাপাশি বিকল্প জ্বালানি ব্যবহারের উপর জোর দিয়েছি। অর্থাৎ তেল, গ্যাস বা কয়লার পাশাপাশি পারমাণবিক, সৌর এবং বায়ু-চালিত বিদ্যুৎ উৎপাদনের উপর গুরুত্বারোপ করেছি’ বলেন প্রধানমন্ত্রী।

সারাবাংলা/এনআর/একে

আরও পড়ুন

লক্ষ্য সবার কাছে বিদ্যুৎ পৌঁছানো : প্রধানমন্ত্রী
রূপপুরে ঢালাই কাজের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
৩১ প্রকল্পের উদ্বোধনে পাবনা যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন