বিজ্ঞাপন

অসত্য সংবাদের চেয়ে বিকৃত সংবাদ অনেক বেশি ক্ষতিকর

July 14, 2018 | 10:03 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য “সংবাদ প্রতিবেদন তৈরিতে মূল ঘটনা যাচাই ও তথ্যের সত্যতা নিরুপন কৌশল” শীর্ষক দুই দিনব্যপী প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশ নিয়ে বক্তারা বলেন, অসত্য সংবাদের চেয়ে বিকৃত সংবাদ অনেক বেশি ক্ষতিকর।

তারা বলেন, গণমাধ্যম সমাজের দর্পণ। প্রত্যেকটি গণমাধ্যম সমাজে প্রভাব বিস্তার করছে। অনেক সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে কোনো কোনো পোস্ট ভাইরাল হয়ে যাওয়ার পর এমন অবস্থার সৃষ্টি হয় যা নিয়ন্ত্রণ করা যায় না- সেটিকে সামাল দেওয়া খুব কঠিন হয়ে যায়। তখন গণমাধ্যমের ভূমিকা অনেক বেড়ে যায়। গণমাধ্যম তার অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের মাধ্যমে প্রকৃত সত্য সামনে নিয়ে আসে।

একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকার ভবনে শনিবার (১৪ জুলাই) আয়োজিত প্রশিক্ষণ কর্মশালার প্রথম দিন ছিল আজ।
সহিংস প্রতিবাদ, বড় ধরনের দুর্ঘটনা অথবা প্রাকৃতিক দুর্যোগকালীন প্রতিবদেন তৈরিতে সাংবাদিকদের তথ্য পরীক্ষা ও যাচাইকরণ কৌশল প্রয়োগে সামর্থ্য বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ এনজিও’স নেটওয়ার্ক ফর রেডিও অ্যান্ড কমিউনিকেশন (বিএনএনআরসি) এর আয়োজন করে। এতে সহায়তা করে ইন্টারনিউজ।

বিজ্ঞাপন

বিএনএনআরসি-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এএইচএম বজলুর রহমান বলেন, প্রতিবেদন তৈরির আগে যথাযথভাবে মূল ঘটনার মূল্যায়ন, যাচাই এবং সত্যতা নিশ্চিত করার কলাকৌশল সম্পর্কে সাংবাদিকদের অধিকতর দক্ষতা বাড়াতে, একইসঙ্গে অনলাইনের তথ্য কিভাবে যাচাই করা যায় এবং কিভাবে গুজবের প্রকৃত স্বরূপ উন্মোচন করা যায় সে বিষয়ে মৌলিক ধারণা দেওয়াই এই কর্মশালার উদ্দেশ্য।

প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রচার) মো. মোশাররফ হোসেন। প্রশিক্ষণ কর্মশালা পরিচালনা করেন দ্যা গার্ডিয়ান পত্রিকার সাংবাদিক ক্রিস স্টিফেন।

কর্মশালায় ইন্টারনিউজের কান্ট্রি ডিরেক্টর সৈয়দ জেইন আল-মাহমুদ বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম যেমন ফেসবুক ও ব্লগে প্রকাশিত সংবাদ আর গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের পার্থক্যের মূল জায়গাটাই হলো সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠতা। যেখানে মূল ঘটনা যাচাই ও তথ্যের সত্যতা নিরুপন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ বিষয়গুলোই গণমাধ্যমকে গ্রহণযোগ্য করে তোলে এবং নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে সহায়তা করে।

বিজ্ঞাপন

কর্মশালায় প্রিন্ট, টেলিভিশন ও অনলাইন গণমাধ্যমের প্রায় ২৫ জন সাংবাদিক অংশ নেন।

সারাবাংলা/জেএ/এটি

** দ্রুত খবর জানতে ও পেতে সারাবাংলার ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে রাখুন: Sarabangla/Facebook

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন