বিজ্ঞাপন

আমরা উন্নয়ন করি, পরিবেশ সুরক্ষাতেও নজর দেই: প্রধানমন্ত্রী

July 18, 2018 | 1:40 pm

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের পর যারা ক্ষমতায় এসেছিল, তারা কেউ পরিবেশের কথা ভাবেনি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিপরীতে আওয়ামী লীগ সরকার যখনই ক্ষমতায় আসে, তখন দেশের উন্নয়নই শুধু নয়, পরিবেশ সুরক্ষার  দিকেও নজর দেওয়া হয় বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর যারা ক্ষমতায় এসেছিল, তাদের কাছে চিংড়ি চাষ করে পয়সা বানানোই ছিল মুখ্য। পরিবেশটা যে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, সে চিন্তা তারা করেনি। কিন্তু আমরা ক্ষমতায় এলে দেশের পরিবেশসহ সব দিকেই দৃষ্টি দেই।

বুধবার (১৮ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিশ্ব পরিবেশ দিবস, জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও জাতীয় বৃক্ষমেলা ২০১৮ এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের স্মরণে সারাদেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একযোগে ৩০ লাখ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের সামনে একটি ছাতিম গাছের চারা রোপণ করেন। বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির শেষে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনে কেন্দ্রের পাশে মাসব্যাপী ‘জাতীয় বৃক্ষমেলা ২০১৮’ উদ্বোধন করেন।

সুন্দরবনসহ পরিবেশ দূর্ষণ ও পরিবেশ বিপর্যয়ের বিভিন্ন কারণ তুলে ধরে ’৭৫ পরবর্তী বিভিন্ন সরকারের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতাকে হত্যার পর যারা ক্ষমতায় এসেছিল, তারা সেখানে খালগুলো বন্ধ করে দিয়ে চিংড়ি চাষ শুরু করে। সুন্দরবনের ভেতরে শালনা নদীতে ডলফিনের আস্তানা। আর ওই নদীর পাড়েই রয়েল বেঙ্গল টাইগাররা পানি খেতে আসে। কিন্তু সেখানে দিয়ে যখন জাহাজ চলাচল রয়েল বেঙ্গল টাইগার ও ডলফিনের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

খালগুলো খুলে দেওয়া বেশ একটা কঠিন কাজ ছিল দাবি করে শেখ হাসিনা বলেন, আড়াইশর বেশি খাল ছিল। তাদের চিংড়ি চাষ বন্ধ করে দিয়ে বিকল্প ব্যবস্থা করে দেওয়া কঠিন ছিল। তারপরও আমরা একে একে অনেকগুলো খালের মুখ খুলে দিতে পেরেছি। এখনও প্রায় ৮০টা বাকি আছে।

বিজ্ঞাপন

ঘাসিয়া খালটা কেটে দিয়ে আমরা এখন ওই পথ দিয়ে জাহাজ চলাচল শুরু করেছি বলেও উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এতে জাহাজ চলাচলের সময়ও বেঁচে গেছে। কারণ ৭/৮ মাইল হয়ে সালনা নদীতে আসতে হতো। এখন খুব সহজে জাহাজগুলো মংলা পোর্টে চলে আসতে পারে, সেই ব্যবস্থাটা করেছি।

’৭৫ পরবর্তী সরকারগুলোর সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এক একটা সরকার ক্ষমতায় এলে পরে তাদের ভেতরে যদি এই সচেতনতাটা না থাকে যে কিভাবে আমার দেশকে সুরক্ষিত করতে পারি বা দেশের পরিবেশ রক্ষা করতে পারি, তাহলে কিন্তু এই ধরনের সমস্যায় পড়তে হয়। ’৭৫-র পর যারা এসেছিল, তাদের কাছে চিংড়ি চাষ করা, পয়সা বানানোটাই সবথেকে বড় ছিল। কিন্তু আমার যে পরিবেশটা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, আমার বাঘের ব্রিডিং প্ল্যান (প্রজনন) বা ডলফিনের মতো সম্পদও যে নষ্ট হয়ে যাবে, সেগুলো কিন্তু তারা কখনও ভাবেনি। আমার মনে হয়, এ ব্যাপারে কোনো সচেতনতাই তাদের মাঝে ছিল না।’

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদের সভাপতিত্বে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাছান মাহমুদ; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকবসহ অন্যরা।

সারাবাংলা/এনআর/টিআর

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন