বিজ্ঞাপন

কোটা ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী ইউটার্ন নিয়েছেন : ফখরুল

July 18, 2018 | 2:30 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: কোটা ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী ইউটার্ন নিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বাংলাদেশ সম্মালিত পেশাজীবী পরিষদ আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।

বুধবার (১৮ জুলাই) সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতিত্ব করেন দৈনিক আমার দেশের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান।

বিজ্ঞাপন

মির্জা ফখরুল বলেন, বেকার যুবকদের ন্যায়সঙ্গত কোটা সংস্কারের আন্দোলন নিয়ে রেগেমেগে সংসদে প্রধানমন্ত্রী বললেন ‘কোনো কোটাই থাকবে না।’ এখন বলছেন, হাইকোর্টের রায়ের বাইরে যাওয়া যাবে না। আদালত কি বলেছে? যা বলেছে কোটা নিয়ে সেটা রায় নয়, পর্যবেক্ষণ। এই কথাটা আমরা অনেকেই বলছি না।

‘আপনি পর্যেবেক্ষণকে অ্যাভোয়েট করলেন অথচ পঞ্চদশ সংশোধনীর দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের কথা আপনি রাখলেন। যেটা আপনার সুবিধা যেটাতে আদালতকে ব্যবহার করছেন আর যেটায় অসুবিধা সেখানে আদালতের দোহায় দিচ্ছেন। পরিষ্কার করে বলতে চাই, কোটা এবং বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে কোনো রাজনীতি করছি না। যেটা সত্য আমরা সেটা জনগণের কাছে বড় রাজনৈতিক দল হিসেবে তুলে ধরছি’ বলেন ফখরুল।

‘বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে বিএনপি নোংরা রাজনীতি করছে’- ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে ফখরুল বলেন, এই ধরনের কথা বলে তিনি জনগণকে বিভ্রান্ত করছেন। বেগম খালেদা জিয়াকে সম্পূর্ণ মিথ্যা ও রাজনৈতিক মামলায় রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে রাখার জন্য আসন্ন নির্বাচন থেকে সরিয়ে রাখার জন্য তারা কারারুদ্ধ করা হয়েছে। তাকে তার ন্যুনতম আইনি সুযোগ তিনি প্রাপ্য সেখান থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। মূল মামলায় জামিন পেলেও এখন একটার পর একটা মিথ্যা মামলাকে সামনে এনে মুক্তিকে বিলম্ব করছে। তারা তাকে ততদিন পর্যন্ত কারাগারে রাখতে চায় যতদিন তাদের অভিষ্ঠ লক্ষ্য পূরণ না হয়।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, সরকারের অভিষ্ঠ লক্ষ্য হলো আবারও ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মতো একটি একরতফা নির্বাচনের মাধ্যমে আবারও ক্ষমতায় যাবে। এর মাধ্যমে তারা আবারও একদলীয় শাসন পাকাপোক্ত করতে চায় ভিন্ন মোড়কে।

সরকারের সমালোচনা করে ফখরুল বলেন, তাদের দাম্ভিকতা কোন পর্যায়ে গেছে যে বাংলাদেশের সব থেকে জনপ্রিয় নেত্রী, যিনি কোনোদিন কোনো নির্বাচনে পরাজিত হননি তাকে নির্জন কারাগারে রেখেছে। তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে না। তার চিকিৎসক এবং পরিবারের লোকজনের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না। আর আমরা চিকিৎসার কথা বললেই তারা বলে সব ঠিক আছে। আবার বলে কারাবিধিতে নেই। সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা।

আওয়ামী লীগ নেতাদের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, শেখ হাসিনা যখন কারাগারে ছিলেন তখন কানের চিকিৎসার জন্য তিনি স্কয়ার হাসপাতালে যাননি? আপনাদের দলের নেতারা যারা কারাগারে ছিলেন তারা অন্যান্য হাসপাতালে চিকিৎসা নেননি। আমরা দাবি করছি অবিলম্বে বেগম খালেদা জিয়াকে তার পছন্দের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক।

সরকারের চরিত্র, লক্ষ্য সবার কাছে পরিষ্কার- এমন মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, দুর্নীতি কোন পর্যাায়ে পৌঁছে গেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের ভোল্টে সোনা রাখার পর সেটা বদলে ধাতু জাতীয় জিনিস রাখা হয়েছে। অলঙ্কারগুলো বদলে সেখানে নকল জিনিস রাখা হয়েছে। এরআগে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে হ্যাকিং করে টাকা লুট করা হলো। যার প্রতিবেদন এখনো প্রকাশ করতে পারেনি। অর্থমন্ত্রী বলছেন, যারা এর সঙ্গে জড়িত তাদের হাত অনেক লম্বা। এই লম্বা হাতে রেখে আপনি চলে যান না কেন? আপনি বারবার এই ধরনের লোকদের প্রশ্রয় দিচ্ছেন, আশ্রয় দিচ্ছেন এবং সরকারের ইচ্ছা পূরণ করছেন। আর বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক দিক থেকে সম্পূর্ণ ফোকলা করে দিচ্ছেন।

বিজ্ঞাপন

রাজশাহীতে বিএনপির মেয়র প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণায় ককটেল হামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বুলবুলের প্রচার মিটিংয়ের মধ্যে বোমা মারলো এরপর সঙ্গে সঙ্গে হামলার পরপরই সংবাদ সম্মেলন করে তারা বললো, এই এখন বিএনপি বলবে আমরা বোমা মেরেছি, কিন্তু আসলে আমরা মারিনি। এটা প্রমাণ করে আপনারাই এটা মেরেছেন, আপনারাই নির্বাচনকে বিতর্কিত করছেন। ঠাকুরঘরে কে রে, আমি কলা খাই না’র মতো অবস্থা হয়েছে।

মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন পেশাজীবী নেতা ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, শওকত মাহমুদ, রুহুল আমীন গাজী, কাদের গণি চৌধুরী, সেলিম মিয়াসহ অন্যরা।

সারাবাংলা/এজেড/এমআই

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন