বৈষম্যহীন বিশ্ব গড়তে বাংলাদেশ সহযাত্রী হবে: স্পিকার

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

ঢাকা: ‘অন্যায়, অবিচার ও বৈষম্যহীন বিশ্ব গড়তে বাংলাদেশ দৃঢ় প্রত্যয়ী। অপরাধীদের বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে বিশ্ববাসীর সঙ্গে বাংলাদেশ সহযাত্রী হবে।’

নেদারল্যান্ডের ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্টে ‘এনডিউরিং ভেল্যু অব দ্যা রোম স্ট্যাটিউট টু হিউম্যানিটি’ শীর্ষক সিম্পোজিয়ামে বক্তৃতাকালে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এসব কথা বলেন। গতকাল মঙ্গলবার (১৭ জুলাই) এই সিম্পোজিয়াম অনুষ্ঠিত হয। বাংলাদেশ সার্বজনীন রোম সনদের গুরত্বকে স্বীকার করে এবং আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতের সব লক্ষ্য অর্জনে অব্যাহতভাবে সমর্থন করে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।

স্পিকার বলেন, ‘এই সিম্পোজিয়াম কেবল উৎসব নয়, বরং মানবতাবিরোধী অপরাধের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্লার্টফরম। বাংলাদেশ গর্বিত, কারণ আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালত সৃষ্টিতে এবং রোম সনদ গ্রহণের সূচনা লগ্নে প্রচার-প্রচারণায় বাংলাদেশ অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে।’

‘গত ২৫ আগস্টের পর থেকে মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বিতাড়িত হওয়া প্রায় ১০লাখ রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশ আশ্রয় দিয়েছে- যার বেশির ভাগই শিশু ও নারী। জাতিসংঘ ও জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন এ ঘটনাটিকে জাতিগত নিধন ও গণহত্যা হিসেবে চিহ্নিত করে বাংলাদেশের পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে।’ এখন রোহিঙ্গাদের শান্তিপূর্ণ ও স্থায়ী প্রত্যাবাসনে প্রয়োজন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অব্যাহত ও কার্যকর ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান স্পিকার।

তিনি আরও বলেন, ‘সক্রিয় সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ আইসিসির কাছে বলপূর্বক রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করানোর কারণে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রুলিং প্রত্যাশা করে। মিয়ানমার আইসিসি’র সদস্যভূক্ত নয় কিন্তু বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই এ সংক্রান্ত প্রাসঙ্গিক তথ্যাদি আইসিসি’র প্রি- ট্রায়াল চেম্বার-১ এ উপস্থাপন করেছে।’ আইসিসি’র ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে রোম সনদের বাস্তায়নে বাংলাদেশ সবসময় পাশে থেকে সমর্থন অব্যাহত রাখবে বলেও তিনি অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন।

অনুষ্ঠানে রোম সনদের প্রেসিডেন্ট ও-গোঁ কোয়ান (O-Gon Kwon), আইসিসি’র প্রেসিডেন্ট চিলি ইবো ওসুজি (Chile Eboe-Osuji) এবং আইসিসি’র প্রসিকিউটর ফাতো বেনসৌদা (Fatou Bensouda) বক্তব্য রাখেন।

সারাবাংলা/এএইচএইচ/এমও