বিজ্ঞাপন

শ্রীমঙ্গলের পথে ‘জনতার অভিযাত্রা’

July 19, 2018 | 11:45 am

|| স্টাফ করেসপণ্ডেন্ট ||

বিজ্ঞাপন

ঢাকা : জামায়াত-শিবির সদস্য এবং মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা বিরোধীদের জন্য রাষ্ট্রীয় সকল সুযোগ সুবিধা বন্ধসহ ৬ দাবিতে সিলেটের শ্রীমঙ্গল অভিমুখে “জনতার অভিযাত্রা” শুরু করেছে শ্রমিক কর্মচারী পেশাজীবী মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষদ।

বৃহস্পতিবার (১৯ জুলাই) সকাল ৮টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খানের নেতৃত্বে এই অভিযাত্রা শুরু হয়। ‘মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা বিরোধী সকল অপশক্তি রুখে দাঁড়াও’ এই স্লোগান নিয়ে ৬ দফা বাস্তবায়ণের লক্ষ্যে অভিযাত্রা শুরু করেন সমন্বয় পরিষদের সদস্যরা।

দলটি জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে শুরু হয়ে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল গিয়ে সন্ধ্যায় সমাপ্ত হবে। এটি সকাল সাড়ে নয়টায় নরসিংদীর ইটাখোলা মোড়, বেলা সাড়ে ১১টায় ভের, দুপুর দেড়টায় বাহ্মনবাড়িয়ার চৌরাস্তায় পথসভা করবে। এছাড়া বিকেল সাড়ে তিনটায় হবিগঞ্জের মাধবপুরে ছয় দফা দাবির লিফলেট বিতরণ এবং বিকেল সাড়ে ৪টায় শায়েস্তাগঞ্জে জনসমাবেশ করার কথা রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

যে ছয় দফা দাবি নিয়ে অভিযাত্রা শুরু হয়েছে সেগুলো হলো-জামায়াত-শিবির ও স্বাধীনতা বিরোধীদের সন্তানদের সরকারি চাকরিতে নিয়োগ বন্ধ করা, জামায়াত-শিবিরের যে সদস্যরা চাকরিতে বহাল আছেন তাদের তালিকা করে বরখাস্ত করা, যুদ্ধাপরাধী ও স্বাধীনতা বিরোধীদের সকল স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা, মুক্তিযোদ্ধা ও বঙ্গবন্ধুকে কটাক্ষকারীদেরকে ’হলোকাষ্ট এ্যাক্ট বা জেনোসাইড ডিনায়েল ল’ এর আদলে রাষ্ট্রদ্রোহের অপরাধে বিচার করা, ২০০১, ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সালে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে  গণহত্যা, ধর্ষণ ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংসকারী

বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীদের জন্য স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল গঠন করে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা এবং কোটা সংস্কার আন্দোলনে ছাত্র হত্যার গুজব ছড়িয়ে যারা উস্কানি দিয়েছে ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসার অগ্নিসংযোগ করেছে তাদের চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা।

এসব দাবি আদায়ে অভিযাত্রাটি দেশব্যাপী গণস্বাক্ষর, প্রথানমন্ত্রীকে গণসংবর্ধনা এবং প্রতিনিধিদের নিয়ে নানান সভা-সমাবেশ করার কর্মসূচী ঘোষণা করেছে।

বিজ্ঞাপন

নৌ-মন্ত্রী শাহজাহান খানের নেতৃত্বে জনতার অভিযাত্রায় অংশ নিয়েছে-সোনালী ব্যাংক কর্মচারী ইউনিয়ন, রুপালী ব্যাংক কর্মচারী ইউনিয়ন ও আদমজী জুট মিল চালু সংগ্রম পরিষদসহ বিভিন্ন শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা-কর্মীরা।

সারাবাংলা/এসএইচ/এসএমএন

 

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন