July 21, 2018 | 8:53 pm
।। শাহ্ ওমর, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: ‘গতকাল রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিদ্যুৎ না থাকায়, জেনারেটর দিয়ে মাইক লাগানোর কাজ করছিলাম। হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে এসে সাউন্ড সিস্টেমে শর্ট সার্কিট হয়ে যায়। এ সময় আমাদের প্রধান যন্ত্রপাতিসহ অর্ধেকেরও বেশি ইকুইপমেন্ট আগুনে পুড়ে নষ্ট হয়ে যায়।’
তবুও কলরেডী টিম থেমে যায়নি—উল্লেখ করে ‘কলরেডী’ মাইকের স্বত্তাধিকারী বিশ্বনাথ ঘোষ (বিষু) বলেন, ‘শুধু মনে পড়ছিল, জীবন বাজী রেখে যেমন বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ সফল করেছিলাম। ঠিক সেভাবে আজকে তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশাল এই গণসংবর্ধনাকেও ‘কলরেডী’ সফল করবে। সে লক্ষ্যে আমাদের যত নতুন পুরনো যন্ত্রপাতি ও মাইক ছিলো সব নিয়ে একত্রে না খেয়ে, না ঘুমিয়ে কাজ করেছি।’
এ ছাড়া গত তিনদিন ধরে ‘কলরেডী’ টিম দিনরাত অবিশ্রান্তভাবে কাজ করেছে, জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কাল রাতে আমাদের সব যন্ত্রাংশ পুড়ে যাওয়ার পর এই অনুষ্ঠান সফল করা নিয়ে যে স্নায়ুচাপ ছিল সেটার সমাপ্তি হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের পর।’
বিশ্বনাথ ঘোষ সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমরা জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চে ভূমিকা পালন করেছিলাম। তারই ধারাবাহিকতায়ে আজকের আয়োজিত প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা’র গণসংবর্ধনায় ভূমিকা রাখতে পেরেও খুশি ‘কলরেডী।’
অনুষ্ঠান শেষে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে তিনি বলেন, ‘কাজের বিনিময়ে টাকা পাবো এটা আমার মাথায় ছিলো না।আমার লক্ষ্য ছিল ‘কলরেডী’ আওয়ামী লীগে তার আস্থার যায়গাটা কতটুকু ধরে রাখতে পারছে তার উপর। যদি যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে থেমে যেতে হতো, তাহলে বোধ হয় নিজেকে কখনোই ক্ষমা করতে পারতাম না।’
সব মিলিয়ে কী পরিমাণ যন্ত্রাংশ ব্যবহার হয়েছে এবং কী পরিমাণ যন্ত্রাংশ পুড়ে গেছে তার হিসেব জানতে চাইলে বিষু জানান, আমরা এখনো হিসাব করিনি। মাত্র অনুষ্ঠান শেষ হলো। এখনও অনুমান করতে পারছি না। আমার যা ব্যবস্থাপনা ছিলো কোথাও কিছু ভাড়া দেওয়া হয়নি। সবই এখানে ব্যবহার হয়েছে। তবে এটুকু বলতে পারি, ইতিহাসের ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ন রাখতে পেরেছি এটাই ‘কলরেডী’র জন্য যথেষ্ঠ।
তিন মাস আগে ঠিক এই দিনেই সারাবাংলার কাছে নিজের আবেগ প্রকাশ করে করে কালের সাক্ষী ‘কলরেডী’ মাইকের স্বত্তাধিকারী বিশ্বনাথ ঘোষ (বিষু) বলেন, কলরেডীর জন্য ‘স্বীকৃতির প্রয়োজন নেই, ইতিহাস আমাকে ধারণ করেছে’।
সারাবাংলা/এসও/এমআই