July 22, 2018 | 2:07 pm
।। স্টাফ করেসপন্ডেট ।।
যুদ্ধাপরাধীদের তালিকা করে বিচারের দাবি জানিয়েছেন নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান। রোববার (২২ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শ্রমিক কর্মচারী পেশাজীবী মুক্তিযুদ্ধ সমন্বয় পরিষদ এবং মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম সমন্বয় পরিষদ আয়োজিত এক গণস্বাক্ষর কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
শাজাহান খান বলেন, এই দেশে যে পর্যন্ত যুদ্ধাপরাধীদের তালিকা করে বিচার করা না হবে। সে পর্যন্ত দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে না, তারা হতে দেবে না। তাই অনতিবিলম্বে যুদ্ধাপরাধীদের তালিকা করে তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত ঘোষণা করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ২০০৪ সালে ইসলামী ছাত্রশিবির সর্বপ্রথম চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের জন্য প্রকাশ্যে দাবি উত্থাপন করে। এরপর লাগাতার অপপ্রচারের মাধ্যমে ‘সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের কোটা সংস্কার’ নামে আন্দোলন করা হয়। তারাই সুকৌশলে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের আন্দোলনকে বেগবান করার জন্য ছাত্র হত্যার মিথ্যা সংবাদ প্রচার করে।
উক্ত গণস্বাক্ষর কর্মসূচিতে, জামাত-শিবির যুদ্ধাপরাধী ও স্বাধীনতা বিরোধীদের সন্তান ও তাদের উত্তরসূরিদের সরকারি চাকরিতে নিয়োগ দেওয়া বন্ধসহ ৬ দফা দাবি জানানো হয়।
শ্রমিক কর্মচারী পেশাজীবী মুক্তিযুদ্ধ সমন্বয় পরিষদ এবং মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম সমন্বয় পরিষদের দাবিগুলো হলো, জামাত-শিবিরসহ স্বাধীনতা বিরোধীরা যারা সরকারি চাকরিতে বহাল আছে তাদের তালিকা করে চাকরি থেকে বরখাস্ত করতে হবে, যুদ্ধাপরাধীদের সকল স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে হবে, মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান ক্ষুণ্ণকরাকে দেশ রাষ্ট্রদ্রোহ হিসেবে বিচার করতে হবে, ২০০১, ১৩, ১৪ ও ১৫ সালে যেসব বিএনপি জামাত গণহত্যা-ধর্ষণ ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করেছে তাদেরকে স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল গঠন করে কঠোর শাস্তি দিতে হবে, কোটা সংস্কারের নামে যারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভিসির বাড়ি অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করেছে তাদের চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তি দিতে হবে।
কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ও প্রজন্ম পরিষদের সদস্যবৃন্দ।
সারাবাংলা/এমএমএইচ/এনএইচ