বিজ্ঞাপন

যুদ্ধাপরাধের বিচারে রাজসাক্ষী হচ্ছেন আবদুল লতিফ

December 26, 2017 | 12:28 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার আসামি ময়মনসিংহের আবদুল লতিফ দায় স্বীকার করে রাজসাক্ষী হিসেবে স্বাক্ষ্য দিতে ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেছেন।

পরে ওই আবেদনের শুনানির জন্য ১৭ জানুয়ারি দিন ঠিক করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল শুনানির জন্য ওই দিন ঠিক করে দেন।

রাজসাক্ষী আবদুল লতিফের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শুকুর আলী। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন, প্রসিকিউটর সাহিদুর রহমান ও রেজিয়া সুলতানা চমন।

বিজ্ঞাপন

পরে প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা চমন জানান, হত্যা, নির্যাতনসহ মানবতাবিরোধী অপরাধে গফরগাঁওয়ের খলিলুর রহমানসহ ১১ জন বিরুদ্ধে মামলা হয়। ওই মামলায় আব্দুল লতিফ ছিলন একজন পলাতক আসামি।
পলাতকদের গ্রেফতারে ট্রাইব্যুনালের পরোয়ানা জারির পর গত ২২ নভেম্বর ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে আত্মসমর্পণ করে আবদুল লতিফ। ট্রাইব্যুনাল তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এরপর গত ২৪ ডিসেম্বর আব্দুল লতিফ রাজসাক্ষী হওয়ার ইচ্ছার কথা জানিয়ে ট্রাইব্যুনালে আবেদন করলে আদালত সেটি শুনানির জন্য ১৭ জানুয়ারি দিন ঠিক করে দিয়েছেন বলে জানান এই প্রসিকিউটর। খলিলুর রহমানসহ এ মামলার মোট আসামি ১১ জন। এরমধ্যে ছয়জন গ্রেফতার আছেন, বাকি পাচঁজন পলাতক।

গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলেন- মো. খলিলুর রহমান, মো. সামসুজ্জামান ওরফে আবুল কালাম, মো. রইছ উদ্দিন, আব্দুল মালেক আকন্দ ওরফে আবুল হোসেন ও আব্দুল লতিফ। পলাতক ৫ জনের মধ্যে রয়েছেন, এ এস ফয়েজুল্লাহ, আব্দুর রাজ্জাক মন্ডল, আলীমুদ্দিন খান, নুরুল আমিন সাজাহান ও সিরাজুল ইসলাম।

বিজ্ঞাপন

মামলায় ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের ১১ জনের বিরুদ্ধে গত ২০ ফেব্রুয়ারি তদন্ত প্রতিবেদন দেয় ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। তাদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের সময় সাধুয়া ও টাঙ্গাব ইউনিয়নের রৌহা গ্রামে হত্যা, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ, অপহরণ, আটক, নির্যাতন ও মুক্তিপণ আদায়ের মতো যুদ্ধাপরাধের সাতটি ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়।

সারাবাংলা/এজেডকে

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন