বিজ্ঞাপন

সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা এবারও হচ্ছে না

July 25, 2018 | 8:19 am

।। মেসবাহ শিমুল, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: উচ্চশিক্ষায় ভোগান্তি কমাতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সমন্বিত ভর্তি প্রক্রিয়া সহসাই শুরু হচ্ছে না। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রাষ্ট্রপতির নির্দেশনা থাকলেও নানামুখি জটিলতায় এখনই এ বিষয়ে একমত হচ্ছে না পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো।

তবে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ জানিয়েছেন ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছ ভর্তিপ্রক্রিয়া শুরু সম্ভব না হলেও এ নিয়ে কাজ চলছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সূত্র জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাষ্ট্রপতি আগামী (২০১৮-১৯) শিক্ষাবর্ষ থেকে উপাচার্যদের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা চালুর নির্দেশ দিয়েছিলেন। এছাড়া বিভিন্ন সময় গুচ্ছভিত্তিক ভর্তি পরীক্ষা চালুর পরামর্শ রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকেও। তবে স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কারণে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যদের সংগঠন ভিসি পরিষদ এসব নির্দেশনা না মেনে আলাদা আলাদা ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

গত ১৯ জুলাই সারাদেশে একযোগে উচ্চ-মাধ্যমিক ও সমমান পরীক্ষার ফল ঘোষণা হয়। পরীক্ষা শেষ হওয়ার আগেই পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি সুযোগ পেতে কোচিংসহ নানামুখি প্রচেষ্টা শুরু হয় শিক্ষার্থীদের মধ্যে। তবে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ নিয়ে ঝামেলা পোহাতে হয় এসব শিক্ষার্থীদের। এ বিবেচনায় বেশ ক’বছর ধরেই আলোচিত হয়ে আসছে গুচ্ছ বা সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার বিষয়টি। সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য- এটি বাস্তবায়িত হলে শিক্ষার্থীদের এক যায়গা থেকে আরেক জায়গায় যাওয়ার ঝক্কি যেমন কমবে তেমনি কমবে আর্থিক ক্ষতিও।

গত ১২ জুলাই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আগামী শিক্ষাবর্ষের ভর্তির সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি পরিষদ। ঘোষিত তারিখ অনুযায়ী ৬ অক্টোবর বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি লড়াই শুরু হবে। সর্বশেষ গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪ ও ৫ ডিসেম্বর ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

সূত্র জানিয়েছে, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের দুর্ভোগ কমাতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ গত ১ ফেব্রুয়ারি দেশের সবগুলো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন। তাতে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, সচিব মো. সোহরাব হোসাইন ও ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল মান্নানসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুল মান্নান বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি পদাধিকার বলে সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য । তিনি জনগণের ভোগান্তি কমাতে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে জোর দিয়েছেন। তার নির্দেশনার পর বিষয়টিতে বেশ অগ্রগতি হয়। কিন্তু ভিসি পরিষদ তাদের বৈঠকে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে একমত হননি।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, রাষ্ট্রপতির সভার পরে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার গাইড লাইন তৈরি করতে ইউজিসি চেয়ারম্যানকে আহ্বায়ক করে সাত সদস্যের কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়। কমিটিকে ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে সময় বেঁধে দেওয়া হয়। কিন্তু কমিটি মন্ত্রণালয়ে কোনো প্রতিবেদন জমা দেয়নি। অপরদিকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে আহ্বায়ক করে নয় সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে ছিল ভিসি পরিষদ। তারাও কোনো সিদ্বান্তে পৌঁছাতে পারেনি।

এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, বিগত ৫ বছর যাবত বিশ্ববিদ্যালয়ে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে কাজ চলেছে। অনেক অগ্রগতিও হয়েছে। তবে শেষ পর্যায়ে এসে বিশ্বিবিদ্যালয় ভিসি পরিষদের মধ্যে মতানৈক্য না হওয়ায় এ নিয়ে কিছুটা সমস্যা সৃষ্টি হয়। তবে এটা ঠিক এবছর (২০১৮-১৯) শিক্ষাবর্ষে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে নিশ্চয়ই আগামীতে এ পদ্ধতিতে আমরা যাব।

সারাবাংলা/এমএস/একে

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন