বিজ্ঞাপন

সরকারি জমি দখল করলেই ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ ভূমিমন্ত্রীর

July 26, 2018 | 1:36 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা : ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বা অন্য যে কোনো রাজনৈতিক দল যদি সরকারি জমি দখল করে অফিস বা কোনো স্থাপনা তৈরি করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ।

বৃহস্পতিবার (২৬ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে একথা বলেন মন্ত্রী।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ভূমিমন্ত্রী বলেন, রাজনৈতিক প্রভাবে জেলা প্রশাসকরা জমি উদ্ধার করেতে পারছেন না এই কথা ঠিক না। কারণ দলমত নির্বিশেষে যে কোনো প্রভাব উপেক্ষা করে জেলা প্রশাসকদের কাজ সম্পন্ন করতে এরই মধ্যে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার জন্যও তিনি বলেছেন।

বিজ্ঞাপন

মন্ত্রী বলেন, খাস জমি, চাষাবাদের জমি, নদীনালা, জলাশয় দখলের ঘটনা বাংলাদেশে ঘটছে। তবে আগের চেয়ে তা অনেকটাই কমেছে। জমি দখল করে নেওয়া জনগণের কাছে একটি অস্বস্তিকর বিষয়। এজন্য ভূমি ব্যবস্থাপনা যেন সঠিকভাবে আইনগতভাবে করা হয়, মানুষের হয়রানী যেন না বাড়ে সেজন্য ডিসিদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাদেরকে বলা হয়েছে, ভূমি হচ্ছে আমাদের সম্পদ। এ সম্পদ যে করেই হোক রক্ষা করতে হবে।

জেলা পর্যায়ে জমি সংক্রান্ত মামলা পরিচালনার জন্য লিগ্যাল এইড নিয়োগ এবং মামলা নিষ্পত্তি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ’নিম্ন ও উচ্চ আদালতের ৮০ থেকে ৮৫ ভাগ মামলাই হলো জমি সংক্রান্ত। এই মামলাগুলো নিষ্পত্তি করতে বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হয়। সমস্যাগুলো চিহ্নত করে তা দূর করারও পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।’

জমি সংক্রান্ত মামলার দুর্নীতি, দখল ইত্যাদি সমস্যা দূর করতে একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, সবকিছিু ডিজিটালে রুপান্তর করা হবে। আশা করি আগামী ৫ বছরের মধ্যে সমস্যা দূর হবে।

বিজ্ঞাপন

দেশে কৃষিজমির পরিমাণ প্রতিনিয়িত কমছে, কৃষিজমির সুরক্ষা দেওয়া যাচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ’উন্নয়ন প্রয়োজনে কৃষিজমি অকৃষিকাজে ব্যবহৃত হতে পারে। তবে এক্ষেত্রে নিয়ম হচ্ছে কালেক্টরের অনুমতি নিতে হবে। কিন্তু কেউ অনুমতি নিয়েছে বলে আমার জানা নেই।’

জমির উর্দ্ধসীমা নির্ধারন করে সুস্পষ্ট আইন রয়েছে, অথচ বিধিবিধান লঙ্ঘণ করে দেশের অনেক জায়গায় উর্দ্ধসীমার অতিরিক্ত অনেক জমির মালিক রয়েছেন। এদের চিহ্নিত করে সিলিং বহির্ভূত জমি সরকারের খাস খতিয়ানে আনার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান শামসুর রহমান শরীফ। তিনি বলেন,  আসলে জমি সংক্রান্ত সব সমস্যার সমাধান করার পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষেত্রে ভূমি মন্ত্রণালয় ও এর আওতাধীন জনবলের অভাব রয়েছে। সে কারণেই ভূমি ব্যবস্থাপনা সুষ্ঠুভাবে করা দুরুহ হয়ে পড়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

সারাবাংলা/এসএমএন

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন