বিজ্ঞাপন

যেখানে-সেখানে নয়, পরিকল্পিতভাবে উন্নয়ন করতে চাই: প্রধানমন্ত্রী

July 26, 2018 | 2:18 pm

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: আমরা পরিকল্পিতভাবে উন্নয়ন করতে চাই। যেখানে-সেখানে যত্রতত্র নয়। উন্নয়ন এমনভাবে হবে যেন তার সুফল প্রত্যেকটি মানুষের ঘরে ঘরে পৌছায়, প্রত্যেকটা মানুষ পায়। সেই দিকে লক্ষ্য রেখেই উন্নয়নের পরিকল্পনা নিয়ে সেগুলো বাস্তবায়ন করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার (২৬জুলাই) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নব-নির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলরদের শপথ অনুষ্ঠান শেষে তিনি একথা বলেন। প্রথমে মেয়র মো. জাহাঙ্গীর আলমকে শপথ করান প্রধানমন্ত্রী। এরপর কাউন্সিলদের শপথ করান স্থানীয় সরকারমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যের শুরুতেই গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের নতুন মেয়র ও কাউন্সিলরদের অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান। এরপর টানা মেয়াদে ক্ষমতায় থাকার ফলে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ, উন্নয়ন-অর্জনের অগ্রগতি এবং আগামী দিনে বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা জানান প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি গাজীপুরের নগরপিতা ও কাউন্সিলদের দলমত জনগণের সেবক হিসেবে কাজ করার আহ্বান জানান।

বিজ্ঞাপন

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের যে সব সমস্যা ছিল, সেগুলোর সমাধান করে আজকে বাংলাদেশকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। আমরা ৭ ভাগ প্রবৃদ্ধি অর্জন করে ফেলেছি। মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৪ অথবা ৫ ভাগে নামিয়ে রাখতে সক্ষম হয়েছি।

তাই, আজকে মানুষের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছাতে পারছি এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন তৃণমূল পর্যন্ত হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ব্যাপকভাবে বিভিন্ন প্রকল্প নিচ্ছি। রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়নের ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। আমরা চাচ্ছি, খুব পরিকল্পিতভাবে যেখানে-সেখানে নয়, যত্রতত্র নয়। কার বাড়ির কাছে, অমুক বাড়ির কাছে নয়, পরিকল্পিতভাবে উন্নয়নটা করতে হবে। যেন তার সুফল প্রত্যেকটি মানুষের ঘরে ঘরে পৌছায়। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই উন্নয়নের পরিকল্পনা নিয়ে সেগুলো বাস্তবায়ন করবেন।

বিজ্ঞাপন

এসময় টানা মেয়াদে ক্ষমতায় থাকার ফলে সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন, উন্নয়ন পদক্ষেপ ও অর্থনৈতিক সূচকের অগ্রগতি-অর্জনগুলো তুলে ধরে উন্নয়নের এই গতিধারা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা দেশ পরিচালনা করার ক্ষেত্রে পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়ন করেছি। দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতায় আসার পর ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছি। যার সুফল দেশবাসী পাচ্ছে। এখন আমরা সপ্তম পঞ্চ বার্ষিকী পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনাও নিয়েছিলাম। ২০১০ সাল থেকে ২০২০ সালের মধ্যে কিভাবে উন্নয়ন হবে, সেটাও আমরা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। যার শুভ ফলে বাংলাদেশ আজকে উন্নয়নশীল দেশ।

‘মানুষ এখন একটু সুখের মুখ দেখতে শুরু করেছে। ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করবো। ২০২০ সালে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী পালন করবো। জাতির পিতা চেয়েছিলেন, এই দেশ হবে ক্ষুধামুক্ত দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ। সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি’ বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

২০২১ থেকে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে আমরা কেমন বাংলাদেশ দেখতে চাই। সেই লক্ষ্য নিয়েই কিন্তু আমরা আমাদের পরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ ইতোমধ্যে শুরু করেছি।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এনআর/জেএএম

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন