বিজ্ঞাপন

চট্টগ্রামের প্রথম ছাত্রী হোস্টেল প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে

July 26, 2018 | 3:36 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

চট্টগ্রাম ব্যুরো : চট্টগ্রামসহ আশপাশের এলাকার গরীব, মধ্যবিত্ত, নিম্ন-মধ্যবিত্ত ও সাধারণ পরিবারের শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার জন্য নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে অনেক মেধাবী শিক্ষার্থীও বেছে নেন বেসরকারি এই প্রতিষ্ঠানটিকে।

শহুরে মধ্যবিত্ত পরিবারের বাইরে গ্রামীণ সাধারণ পরিবারের অনেক শিক্ষার্থী দূর-দুরান্ত থেকে আসেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে। তবে শহরে আবাসন সুবিধা না থাকায় দূর-দুরান্তের শিক্ষার্থী বিশেষ করে ছাত্রীদের প্রতিদিনের যাতায়াতে ভোগান্তি পোহাতে হতো।

সেই ভোগান্তি নিরসনে প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণ করেছে আধুনিক ছাত্রীনিবাস। বন্দরনগরী চট্টগ্রামে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে এটিই প্রথম ছাত্রীদের হোস্টেল। নগরীর সাগরিকা রোডে নির্মিত এই ছাত্রীনিবাস থেকে দেখা যায় বঙ্গোপসাগর ও কর্ণফুলী নদীর মনোরম দৃশ্য।

বিজ্ঞাপন

চট্টগ্রামেই আন্তর্জাতিক মানের উচ্চ শিক্ষা দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে তৎকালীন সিটি মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী ২০০১ সালের ডিসেম্বরে প্রতিষ্ঠা করেন এই বিশ্ববিদ্যালয়। ২০০২ সালে প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় তাদের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করে। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন শিক্ষায় একুশে পদকপ্রাপ্ত সমাজবিজ্ঞানী ড.অনুপম সেন।

অনুপম সেন সারাবাংলা’কে বলেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট শিক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্রী প্রায় ৪৫ শতাংশ। এই বিপুল সংখ্যক ছাত্রীর সবাই কিন্তু শহরে থাকে না। বাইরের উপজেলা থেকেও অনেকে আসেন। তারা ক্লাস করেন, ক্লাস শেষে আবার অনেকে টিউশনিও করে। তাদের এই যে কষ্ট, সেটা লাঘব করার দায়িত্ববোধ থেকেই একটি ছাত্রীনিবাস প্রতিষ্ঠা করেছি।’

চলতি বছর থেকেই ছাত্রীনিবাসটি চালু করা হয়েছে বলে জানান উপাচার্য।

বিজ্ঞাপন

প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারি জনসংযোগ কর্মকর্তা শামসুল আরেফীন সারাবাংলা’কে জানান, ৯ কোটি টাকা দিয়ে সিটি করপোরেশনের কাছ থেকে কেনা নিজস্ব ভূমিতে প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের আটতলা ছাত্রীনিবাস নির্মিত হয়েছে। প্রতিটি ফ্লোরে পাঁচটি করে মোট কক্ষ আছে ৪০টি। এসব কক্ষে মোট ১৬০ জন ছাত্রীর থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

প্রতিটি কক্ষের সঙ্গে লাগোয়া টয়লেট আছে। প্রতিটি ছাত্রীর জন্য আছে আলাদা খাট ও বিছানা, নিজস্ব কেবিনেট, পড়ার টেবিল, চেয়ার ও ড্রেসিং টেবিল।

মাসে পাঁচ হাজার টাকার বিনিময়ে থাকা এবং তিন বেলা খাবার পাবেন প্রত্যেক ছাত্রী। ডাইনিং ও লবিতে টেলিভিশন, ২৪ ঘণ্টা জেনারেটর ও ইন্টারকম সুবিধা আছে। ছাত্রীনিবাসের নিরাপত্তায় আছেন মহিলা আনসার সদস্য।

বিজ্ঞাপন

এ ছাড়া, হল প্রভোস্ট ও হাউজ টিউটরের তত্ত্বাবধানে এই ছাত্রীনিবাস পরিচালিত হবে বলে জানিয়েছেন শামসুল আরেফীন। তিনি সারাবাংলা’কে বলেন, হোস্টেল থেকে ক্যাম্পাসে আসা-যাওয়ার জন্য প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব বাসও আছে। হোস্টেল চালু হলেও এখনও ছাত্রীদের তোলা হয়নি। দ্রুততম সময়ের মধ্যে আগ্রহী ছাত্রীদের তাদের কক্ষ বুঝিয়ে দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০টি বিভাগের অধীনে ১৪টি প্রোগ্রামে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। প্রোগ্রামগুলো হলো— ব্যাচেলর অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (বিবিএ), ব্যাচেলর অব সায়েন্স ইন কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই), ব্যাচেলর অব সায়েন্স ইন ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই), ব্যাচেলর অব আর্টস (অনার্স) ইন ইংলিশ, ব্যাচেলর অব ল (এলএলবি), ব্যাচেলর অব আর্কিটেকচার, ব্যাচেলর অব সায়েন্স (অনার্স) ইন ম্যাথমেটিক্স, ব্যাচেলর অব সোস্যাল সায়েন্স ইন ইকোনোমিক্স। এ ছাড়া, দুই ও একবছর মেয়াদি আলাদা মাস্টার অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন(এমবিএ), এক্সিকিউটিভ মাস্টার অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (ইএমবিএ), মাস্টার অব আর্টস ইন ইংলিশ, মাস্টার অব সোশ্যাল সায়েন্স ইন ইকোনোমিক্স এবং মাস্টার অব ল (এলএলএম)।

প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকের সংখ্যা ২০৬ জন। এছাড়া ১৩০ জন অতিথি শিক্ষক রয়েছেন। প্রায় ১০ হাজার শিক্ষার্থী এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করছেন।

সারাবাংলা/আরডি/এসএমএন

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন