বিজ্ঞাপন

রাজশাহী সিটিতে বহিরাগতদের অবস্থানে নিষেধাজ্ঞা

July 27, 2018 | 2:21 pm

।। ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

রাজশাহী: রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচন উপলক্ষে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় বহিরাগতদের অবস্থানের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ২৭ জুলাই দিবাগত রাত ১২টার আগে বহিরাগতদের নির্বাচনী এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ভোটার ব্যতীত অন্য কোনও এলাকার বাসিন্দা সিটি করপোরেশনের সীমানার ভেতরে অবস্থান নিতে পারবেন না।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, বহিরাগতদের এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দেয়া হলেও যারা কর্মজীবী তাদের এলাকায় অবস্থান করতে কোনো অসুবিধা হবে না। তবে বাইরে চলাফেরার জন্য প্রয়োজন হলে তাদের কাজের প্রমাণপত্র দেখাতে হবে। বহিরাগতরা ১ আগস্ট থেকে আবার নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারবেন।

এদিকে, রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে নগরের অধিকাংশ মেস। তবে নির্বাচনের সময় শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানগুলোতে ক্লাস-পরীক্ষা চলবে। এতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট), রাজশাহী মেডিকেল কলেজসহ, রাজশাহীতে পড়ুয়া হাজারো শিক্ষার্থী বিপাকে পড়েছেন। রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ ও মেস মালিক মালিক সমিতির পক্ষ থেকে মেস বন্ধের কোন নির্দেশনা না থাকলেও মেস মালিকেরা নিজ উদ্যোগে মেস বন্ধ করে দিচ্ছেন। এতে শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।

বিজ্ঞাপন

রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি) কমিশনার হাফিজ আক্তার জানান, পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে মেস বন্ধের কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে নির্বাচনের সময় বিভিন্ন অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মেসগুলোতে বহিরাগত না রাখার সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে।

নগরের মেস মালিক আবু ওয়াহিদ বলেন, ‘মেস মালিকের পক্ষ থেকে মেস বন্ধের কোনও সিদ্ধান্ত আমাদের দেওয়া হয়নি। তবে আশেপাশের অনেক মেস বন্ধ করে দেওয়ায় আমিও মেস বন্ধ করে দিয়েছি।’

মেস মালিকদের এমন সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাতাহ ইশতিয়াক বলেন, মেস মালিক ২৬ তারিখের মধ্যে মেস ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু ওই সময় ক্লাস-পরীক্ষা চলবে। কোথায় থাকবো তা নিয়ে চরম দ্বিধাদ্বন্দ্বে আছি।

বিজ্ঞাপন

জানতে চাইলে মেস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ঈসমাইল হোসেন বলেন, নির্বাচন কমিশন থেকে আমাদেরকে মেস বন্ধ রাখার জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে মেসের সদস্য ব্যতীত বহিরাগত কাউকে মেসে রাখা যাবে না। আর আমরা কোনও মেস মালিককে মেস বন্ধের সিদ্ধান্ত দেয়নি। যারা বন্ধ করছে তারা নিজেদের উদ্যোগে বন্ধ করছে।

এ বিষয়ে নগর পুলিশের মুখপাত্র ও সহকারী পুলিশ কমিশনার ইফতেখায়ের আলম বলেন, নির্বাচন কেন্দ্র করে নগরীর অবস্থা স্বাভাবিক রাখতে নগরীর মেসগুলোতে বহিরাগতদের অবস্থান নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মেস বন্ধের কোনও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। মেস মালিকেরা নিজ উদ্যোগে মেস বন্ধ করছেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, মেস মালিকদের যারা বিএনপি জামাতপন্থী তারাই দ্রুত মেসগুলো বন্ধ করে দিচ্ছেন। কারণ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মেসগুলোতে পুলিশি তল্লাশি শুরু হবে। যেসব মেসে তল্লাশি চলে সেই মেসগুলোতে পরবর্তীতে শিক্ষার্থীরা আর উঠতে চায় না। এই জন্যই অধিকাংশ মেস মালিকরা মেসগুলো আগেই বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন।

সারাবাংলা/আরআর/এনএইচ

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন,

রাসিক নির্বাচন : অস্ত্র বহন ও যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন