বিজ্ঞাপন

রোহিঙ্গা ইস্যুতে ৮ আগস্ট রাখাইন যাচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

July 27, 2018 | 6:50 pm

।। এমএকে জিলানী, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: নির্যাতিত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রত্যাবাসনের জন্য রাখাইনে উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে কি না তা পর্যবেক্ষণ করতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী আগামী ৮ আগস্ট মিয়ানমার সফরে যাচ্ছেন।

একাধিক কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, বেইজিং সফরে গত ২৯ জুন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াই ই এর মধ্যস্ততায় মিয়ানমারের মন্ত্রী খ থিন শোয়ে’র সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর একটি অনানুষ্ঠানিক বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে রোহিঙ্গা সঙ্কট নিরসনে এবং প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া দ্বিপক্ষীয়ভাবে বাস্তবায়ন করার ওপর জোড় দেয় চীন।

ওই বৈঠকে মন্ত্রী খ থিন শোয়ে জানান, প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করতে এরই মধ্যে প্রস্তুতি প্রায় শেষ করেছে মিয়ানমার। খ থিন শোয়ের দেওয়া তথ্যের প্রেক্ষিতে আবুল হাসান মাহমুদ আলী প্রত্যাবাসনের জন্য মিয়ানমারের নেওয়া প্রস্তুতি দেখতে রাখাইন অঞ্চল সফরের প্রস্তাব দেন।

বিজ্ঞাপন

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী ৮ আগস্ট পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী মিয়ানমারের রাখাইন অঞ্চল পরিদর্শনে যাবেন বলে ঢাকা-নেপিডো সম্মত হয়েছে। এছাড়া ওই সফরে রোহিঙ্গা ইস্যুতে আবুল হাসান মাহমুদ আলী মিয়ানমার সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে জানা গেছে।

এদিকে, রাখাইনের বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠীকে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য গত বছরের ২৩ নভেম্বর মিয়ানমার-বাংলাদেশ চুক্তি সই করে।চুক্তি অনুযায়ী, দুই দেশের মধ্যে গত ১৯ ডিসেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করা হয়। যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ এ পর্যন্ত দুইটি বৈঠক করেছে। সর্বশেষ বৈঠকটি গত ১৭ মে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়।

দুই দেশের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘৯ অক্টোবর ২০১৬ এবং ২৫ আগস্ট ২০১৭ সালের পর যেসব রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে তাদেরকে ফেরত নেবে মিয়ানমার। চুক্তি স্বাক্ষরের দুই মাসের মধ্যে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু হবে।’
চুক্তি অনুযায়ী, ফেরত আসা জনগোষ্ঠীকে নাগা খু ইয়া এবং তাঙ পিও লিটইউ অভ্যর্থনা কেন্দ্রে রাখার কথা। অভ্যর্থনা কেন্দ্রে সংশ্লিষ্টদের পরিচয় যাচাই শেষে হালা পোহ খুয়াঙ এর ট্রানজিট শিবিরে প্রাথমিকভাবে রাখা হবে।

বিজ্ঞাপন

গত বছরের ২৫ আগস্ট রাখাইনে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর নির্যাতন শুরু হলে প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে সাত লাখেরও বেশি মানুষ। সব মিলিয়ে মিয়ানমারের নাগরিক ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশের একাধিক শিবিরে আশ্রয় নেয়।

সারাবাংলা/জেআইএল/এটি

** দ্রুত খবর জানতে ও পেতে সারাবাংলার ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে রাখুন: Sarabangla/Facebook

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন