বিজ্ঞাপন

বরিশালের পরিবেশ শান্ত, ভয় তবুও পুলিশে

July 28, 2018 | 10:22 pm

।। গোলাম সামদানী, বরিশাল থেকে।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: আর মাত্র একদিন পর বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচন। নির্বাচনী জনসংযোগ শেষ হয়ে শনিবার মধ্যরাতে। নির্বাচন কেন্দ্র করে এখন পর্যন্ত নগরীর কোথায়ও বড় ধরনের কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। নগরীর সিএন্ডবি রোড,সদর রোড, কাঠপট্টিসহ বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে সব দলের মেয়র ও কাউন্সিলর প্রাথীদের চলছে জমজমাট জনসংযোগ।

একইসঙ্গে প্রতিটি এলাকায় শোভা পাচ্ছে সব প্রার্থীর পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন। সে এক অন্য রকমের সহাবস্থান। প্রার্থীদের একে অপরের বিরুদ্ধে বড় ধরনের কোনো অভিযোগ নেই।

তারপরেও নির্বাচন নিয়ে সংশয় প্রকাশ করছেন প্রার্থীরা। তাদের অভিযোগ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর দিকে। প্রায় সব প্রার্থীই অভিযোগ করছেন তাদের নেতাকর্মী ও এজেন্টদের পুলিশ গ্রেফতার ও হয়রানি করছেন।

বিজ্ঞাপন

এ ব্যাপারে বরিশাল সিএন্ডবি রোডের দোকানদার আবুল হোসেন সারাবাংলাকে বলেন, এখন পর্যন্ত বরিশালে নির্বাচন নিয়ে প্রার্থীদের মাঝে কোনো ঝামেলা হয়নি। কেউ কারো একটা পোস্টারও ছিড়ে নাই। খুবই শান্তিপূর্ণ পরিবেশ।

এ ব্যাপারে বিএনপির মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান সরওয়ার সারাবাংলাকে বলেন, ‘পুলিশ বিএনপির নেতাকর্মীদের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই গ্রেফতার ও হয়রানি করছে। একইসঙ্গে বিএনপির এজেন্টদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে,যাতে তারা নির্বাচনী দায়িত্ব পালন না করে।’

তিনি বলেন, ‘এ অবস্থা চলতে থাকলে সুষ্ঠু নির্বাচন কোনোভাবেই সম্ভব নয়। তিনি আরো বলেন, নির্বাচনে কারচুপি হলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।’

বিজ্ঞাপন

অন্যদিকে বাসদের মেয়র প্রার্থী ডা মনিষা চক্রবর্তী সারাবাংলাকে বলেন, ‘নির্বাচনে আমাদের নেতাকর্মীদের প্রতিনিয়ত পুলিশ ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। এ ব্যপারে রির্টানিং কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দিলেও তিনি আমলে নিচ্ছেন না।’

বরিশাল সিটির রিটার্নিং কর্মকর্তা মুজিবর রহমান সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমরা প্রতিটি অভিযোগই খতিয়ে দেখছি এবং সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।’

৩০ জুলাই বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচন। নির্বাচনে মেয়র পদে ছয় জন এবং সাধারণ ওয়ার্ডে ৯৪ জন, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৩৫ প্রার্থী প্রতিদ্বন্বিতা করছেন। মেয়র প্রার্থীরা হলেন আওয়ামী লীগের (নৌকা) সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ, বিএনপির (ধানের শীষ) মজিবর রহমান সারোয়ার, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের (হাতপাখা) মাওলানা ওবায়দুর রহমান মাহবুব, সিপিবি’র (কাস্তে) অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ, বাসদের ডা. মনীষা চক্রবর্তী ও জাতীয় পার্টির (লাঙ্গল) ইকবাল হোসেন।

নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করছেন মুজিবুর রহমান। বরিশাল সিটিতে মোট ভোটার ২ লাখ ৪২ হাজার ১৬৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ২১ হাজার ৪৩৬ জন, নারী ভোটার ১ লাখ ২০ হাজার ৭৩০ জন। বরিশাল সিটিতে ৩০টি সাধারণ ওয়ার্ড ও ১০ টি সংরক্ষিত নারী আসন।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জিএস/একে

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন