বিজ্ঞাপন

প্রশাসন ও পুলিশ বিবেকশূন্য অনাচারে লিপ্ত: রিজভী

July 29, 2018 | 3:04 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।। 

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: তিন সিটি করপোরেশনে স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ বিবেকশূন্য অনাচারে লিপ্ত রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

রোববার (২৯ জুলাই) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

রাজশাহী যেন ভুতুড়ে নগরী! সেখানে শ্বাসরোধকারী গুমোট অবস্থা বিরাজ করছে। নৌকা মার্কার অনুকুলে একতরফা ভোট করার জন্য পুলিশ ও প্রশাসন যৌথভাবে বিবেকশুন্য অনাচারে লিপ্ত রয়েছে। সেখানে আওয়ামী সশস্ত্র ক্যাডারদেরই জয়জয়কার। অবস্থা দৃষ্টে মনে হয়, সাধারণ ভোটারদের তাড়িয়ে দিয়ে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা সেখানে রাজত্ব কায়েম করেছে।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘রাজশাহী সিটিতে ধানের শীষের মেয়র প্রার্থী বুলবুলের নির্বাচনী প্রচারণা অফিস বন্ধ হয়ে গেছে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ‘অথচ ৪/৫ দিন আগেও অফিসগুলো লোকে লোকারণ্য ছিল। বিএনপি নেতাকর্মীদের ঢালাওভাবে গ্রেফতার, মামলা এবং ভোটারদের মনে ভীতি ও আতঙ্কের কারণেই এই অবস্থা। ঢাকা থেকে কালো গাড়িতে করে সিল মারা অতিরিক্ত ব্যালট পেপার রাজশাহীতে নিয়ে আসা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।’

ধানের শীষের পুরুষ ও মহিলা এজেন্টরা গ্রেফতারের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে বলেও জানান বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব।

তিনি বলেন, ‘সিটি এলাকায় প্রায় ১০টি কালো কাঁচ ঢাকা গাড়ি ঘোরাফেরা করছে। এই গাড়ির ভেতর কারা সেটা নিয়ে ভোটার’রা উদ্বেগ ও উৎকন্ঠিত। এর ভেতরে কী সাদা পোশাকধারী সরকারী বাহিনীর লোক নাকি বহিরাগত আওয়ামী সন্ত্রাসীরা, তা নিয়ে স্থানীয় মানুষের মনে প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। ট্রাফিক পুলিশ দেখেও না দেখার ভান করছে।’

বিজ্ঞাপন

সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকের পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ক্ষুদ্র ঋণ বিষয়ক সহ-সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাককে গতকাল রাতে পুলিশ গ্রেফতার করেছে বলে জানান রিজভী।

তিনি বলেন, ‘৪/৫ দিন আগে তার ছেলে রুমান রাজ্জাককেও পুলিশ আটক করে। ক্ষমতাসীন দল পুলিশকে দিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেফতার, ধাওয়া, বাধা ও হুমকি দিচ্ছে। এটির উদ্দেশ্য নৌকা মার্কার প্রার্থীকে একতরফাভাবে বিজয়ী করা। স্থানীয় প্রশাসন নগ্নভাবে নৌকা মার্কার পক্ষে মাঠে নেমেছে। সেখানে নৌকা মার্কার প্রার্থীর সমর্থকরা পরিকল্পিতভাবে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের ফাঁসাতে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে।’

‘বরিশাল এখন আওয়ামী ক্যাডারদের দখলে’—  এমন অভিযোগ করে তিনি বলেন ‘বিভিন্ন উপজেলা থেকে বহিরাগত ছাত্রলীগ-যুবলীগ ক্যাডাররা বিভিন্ন গ্রুপে ভাগ হয়ে গোটা সিটি এলাকায় তাণ্ডব চালাচ্ছে। পুলিশ-র‌্যাবের ছত্রছায়ায় ছাত্রলীগ-যুবলীগের সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে মহড়া দিচ্ছে।’

সারাবাংলা/এজেড/জেডএফ

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন