বিজ্ঞাপন

কিছু বিশৃঙ্খলা হলেও নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে: সিইসি

July 30, 2018 | 7:21 pm

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কিছু কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা হলেও সার্বিকভাবে নির্বাচন শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে দাবি করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা। যে সামান্য কয়েকটি কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলার ঘটনা ঘটেছে, তা নির্বাচনের ফলে কোনো প্রভাব ফেলবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। সিইসি বলেন, এর জন্য নতুন করে ভোটগ্রহণের কোনো প্রয়োজন নেই।

সোমবার (৩০ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে এক ব্রিফিংয়ে প্রধান তিনি এসব কথা বলেন।

রাজশাহীতে একজন মেয়র অনিয়মের প্রতিবাদ করে নিজের ভোট দেয়া থেকে বিরত ছিলেন। এটাকে আপনারা কীভাবে নিচ্ছেন, জানতে চাইলে সিইসি বলেন, ‘সেটা তার ব্যাপার। উনি কিভাবে নিয়েছেন, কেন করেছেন সেটা তো আমি বলতে পারব না। রাজশাহীতে অনিয়ম হয়নি এবং একটা কেন্দ্রও বন্ধ হয়নি।’

বিজ্ঞাপন

বরিশালে একজন প্রার্থী ছাড়া বাকি সবাই নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে। এটা খারাপ নির্বাচনের কারণেই কিনা— এমন প্রশ্নের উত্তরে সিইসি বলেন, আমাদের কাছে মনে হয় এটা তাদের সিদ্ধান্তের ব্যাপার। অনিয়ম তো সেখানে হয়েছে। তার জন্য আমরা ১৫টি কেন্দ্রে ফল স্থগিত করেছি। তূলনামূলকভাবে এটি বড় সংখ্যা। তবে অনিয়ম হয়েছে বলে আমরা স্থগিত করেছি। অন্যগুলার ব্যাপারে আমরা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছ থেকে সে রকম কোনো প্রতিবেদন পাইনি।

আরেক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, অনিয়ম অবশ্যই আমরা প্রত্যাশা করিনি। তবে অনিয়ম যেখানে হয়েছে, আমরা তা অ্যাড্রেস করেছি।

বরিশালে একজন নারী মেয়র প্রার্থী হামলার শিকার হয়েছেন। নির্বাচন কমিশনার মেয়র প্রার্থীকে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে কিনা— এমন প্রশ্নের জবাবে নূরুল হুদা বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশনা দেওয়া আছে। তারা সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন পরিচালনা করবেন। ওখানে যা হয়েছে তা তদন্ত করে দেখা হবে। তিনি আদালতের আশ্রয় নিতে পারেন। মামলা করতে পারেন। সে ব্যাপারে তাকে পরামর্শ দেবো। আমাদের পক্ষ থেকে যে তদন্ত হওয়ার দরকার, সে তদন্ত করা হবে।

বিজ্ঞাপন

সিইসি কে এম নুরুল হুদা বলেন, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ১৩৮টি কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। এখন সেখানে ভোট গণনা শুরু চলছে। সিলেট সিটি করপোরেশনে ১৩৪টি কেন্দ্রের ২টি কেন্দ্র ছাড়া বাকি কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বরিশালেও ১২৩টি কেন্দ্রের মধ্যে সকালের দিকে কিছু বিক্ষিপ্ত বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। আমরা বিস্তারিত তথ্য নিয়েছি। একটি কেন্দ্রে ভোট বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে সকালেই। আরও ১৫টি কেন্দ্রের অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই কেন্দ্রগুলোর ফল স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরে তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সব মিলিয়ে নির্বাচন কেমন হয়েছে— এমন এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘ভালো হয়েছে। বরিশালে একটু সমস্যা ছিল। ১৫টি কেন্দ্রের যে অনিয়ম, এগুলো রিটার্নিং কর্মকর্তার মাধ্যমে আমরা পেয়েছি। সে ভিত্তিতে আমরা সেগুলো স্থগিত করেছি।’

বরিশালে যারা নির্বাচন বয়কট করেছেন, তারা পুনরায় নির্বাচনের দাবি করেছেন। এ প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, তারা আবেদন করেছেন। কিন্তু তার জন্য পুনরায় ভোট নেওয়ার মতো অবস্থা আমরা পাইনি।

এদিকে, নির্বাচন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ের কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা গেছে, ভোট কারচুপিসহ বিভিন্ন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বরিশালের একটি ও সিলেটের দু’টি ভোটকেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত ঘোষণা করা হয়। কেন্দ্রগুলো হলো- বরিশালের ৪ নম্বর কেন্দ্র এবং সিলেটের ১১৬ ও ১৩৪ নম্বর কেন্দ্র। তবে রাজশাহীতে কোনো কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত হয়নি। আর তিনি সিটির মধ্যে ভোটগ্রহণের পরিবেশে বরিশালের অবস্থা ছিল সবচেয়ে খারাপ।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন-

বরিশাল শান্ত, ভয় তবুও পুলিশে

তিন সিটিতে চলছে ভোট গণনা

নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করতে অপপ্রচার চলছে

মাঠে দেখা যাচ্ছে না বিএনপি নেতাকর্মীদের

নির্বাচন সুষ্ঠু হচ্ছে, জয় নিয়ে আশাবাদী কামরান

সিলেটে নির্বাচনী সামগ্রী বিতরণে বিলম্ব, ক্ষোভ বিএনপির

এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ মজিবুর রহমানের

ইভিএম: রাজশাহী-বরিশালে নৌকা, সিলেটে এগিয়ে ধানের শীষ

সারাবাংলা/ইএইচটি/টিআর

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন