বিজ্ঞাপন

উন্নয়ন খাতে ৭৬ শতাংশ বরাদ্দ রেখে ডিএনসিসির বাজেট ঘোষণা

July 30, 2018 | 7:54 pm

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: উন্নয়ন খাতে মোট ১ হাজার ৯৬২ কোটি ৮০ লাখ টাকা বরাদ্দ রেখে ঢাকা মহানগরের (ডিএনসিসি) ২ হাজার ৫৬৭ কোটি ৪৫ লাখ টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। উন্নয়ন খাতে এ বরাদ্দ মোট বাজেট বরাদ্দের ৭৬ শতাংশ। সোমবার (৩০ জুলাই) ডিএনসিসির ভবনে প্যানেল মেয়র ওসমান গনি এ বাজেট ঘোষণা করেন।

মেয়র বলেন, ২০২০ সালের মধ্যে ঢাকা মহানগরীর বর্জ্য নিষ্কাশন করা হবে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এ লক্ষ্যে ৮২৬ কোটি টাকা খরচে “আমিনবাজার ল্যান্ডফিল সম্প্রসারণসহ আধুনিকীরণ শীর্ষক” প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও নতুন সংযোজিত ১৮টি ওয়ার্ডসহ বর্ধিতাংশের জন্য ১৩১৯ কোটি টাকা খরচে নাসিরাবাদে একটি আধুনিক ল্যান্ডফিল নির্মান করা হচ্ছে যাতে রিসোর্স পুনরুদ্ধার সুবিধা থাকবে।

এ দু প্রকল্প বাস্তবায়নে ডিপিপি (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা) তৈরি করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে অনুমোদনের জন্য, বলেন মেয়র।

বিজ্ঞাপন

এছাড়াও ফুটপাথ নির্মাণ, ড্রেন উন্নয়ন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় আধুনিক যন্ত্রপাতি কেনার মতো খাতে এই অর্থ খরচ হবে বলে জানান মেয়র।

চলতি অর্থবছর ডিএনসিসি’র নিজস্ব উৎস থেকে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হয়েছে ৮৫৭ কোটি ২০ লাখ টাকা। মেয়র জানান, এই অর্থবছরে নিজস্ব আয়ের অন্যতম খাত নগর কর। এ বাবদ ৪০০ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে। এ ছাড়াও বাজার সেলামি বাবদ আয় ধরা হয়েছে ৫০ কোটি টাকা, বাজার ভাড়া বাবদ ১০ কোটি টাকা ও ট্রেড লাইসেন্স ফি বাবদ ৬০ কোটি টাকা।

এ ছাড়াও বিজ্ঞাপন কর বাবদ ৭ কোটি, অস্থায়ী পশুর হাট ইজারা বাবদ ২৫ কোটি টাকা, বাস-ট্রাক টার্মিনাল থেকে ৮ কোটি টাকা, যন্ত্রপাতি ভাড়া বাবদ ৫ কোটি টাকা, সড়ক খনন ৬০ কোটি টাকা কমিউনিটি সেন্টার ভাড়া বাবদ ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা, সম্পত্তি হস্তান্তর বাবদ ২০০ কোটি টাকা।

বিজ্ঞাপন

উত্তর সিটি কর্পোরেশন এ বছর প্রমোদ কর থেকে ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা, বিবাহ, জন্ম ও মৃত্যু থেকে ৩ কোটি টাকা এবং কবরস্থান, শ্মশানঘাট থেকে ৬ কোটি টাকা আশা করছে।

সরকারি মঞ্জুরি খাত থেকে ১৫০ কোটি, সরকারি বিশেষ মঞ্জুরি বাবদ ৫০ কোটি টাকা, সরকারি ও বৈদেশিক সহায়তামূলক প্রকল্প খাতে ১ হাজার ৩০০ কোটি টাকার সাহায্যের সম্ভাবনার কথাও জানিয়েছেন মেয়র।

২০১৮-১৯ অর্থবছরে বাজেটের খরচের খাতগুলো উল্লেখ করে ওসমান গণি বলেন, খরচের খাতগুলো হলো— উন্নয়ন খরচ ১ হাজার ৯৬২ কোটি ৮০ লাখ টাকা, বেতন ভাতা বাবদ ১৭৫ কোটি টাকা; বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ৭৮ লাখ টাকা, মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ বাবদ ৩০ কোটি ২৫ লাখ টাকা; জ্বালানি, পানি, গ্যাস ও বিদ্যুৎ বাবদ ৫৮ কোটি টাকা; মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম বাবদ ২১ কোটি টাকা; কল্যাণমূলক ব্যয় ১২ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

বাজেট অনুষ্ঠানে ঢাকার উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রয়াত মেয়র আনিসুল হককে স্মরণ করে প্যানেল মেয়র ওসমান গণি বলেন, “তার অসমাপ্ত কাজ শেষ করতে আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি।”

বিজ্ঞাপন

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাব মেয়র বলেন, উত্তর সিটি কর্পোরেশনে কোনো অর্থ সংকট নেই তবে আমরা খরচ কমানোর চেষ্টা করছি।

সারাবাংলা/এমএ/জেএএম

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন