বিজ্ঞাপন

শাহবাগে ক্ষুদেদের পাশে বড়রা

August 1, 2018 | 1:00 pm

।। ঢাবি করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

নিরাপদ সড়কের দাবিতে চার দিন ধরে স্কুল-কলেজের ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে এবার একাত্মতা জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও বারডেম মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা। রাজধানীর শাহবাগে তারাও এবার সড়কে অবস্থান নিয়ে সংহতি জানিয়েছেন ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে। শুধু তাই নয়, রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে অবস্থান নেওয়া শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়েছেন অভিভাবকরাও। তারা বলছেন, নিরাপদ সড়কের এই দাবিতে সন্তানদের আন্দোলনে পাশে রয়েছেন তারাও।

বুধবার (১ আগস্ট) সকাল ১১টার দিক থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে অবস্থান নেয় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। যাত্রাবাড়ী থেকে শুরু করে রামপুরা, বনশ্রী, ধানমন্ডি, উত্তরা এলাকাতেও সড়ক অবরোধ করে তারা। এর মধ্যে রাজধানীর সায়েন্স ল্যাব এলাকায় মিরপুর রোডে অবস্থান নেয় ঢাকা কলেজ, সিটি কলেজ, বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ রাইফেলস কলেজ, কাজী নজরুল ইসলাম কলেজ, শেখ বোরহান উদ্দীন কলেজ, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজ, তিতুমীর কলেজ, মোহাম্মদপুর সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা।

পরে দুপুর ১২টার দিকে ধানমন্ডি-সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকায় অবস্থান নেওয়া শিক্ষার্থীদের স্রোত বাটা সিগন্যাল, আজিজ সুপার মার্কেট হয়ে শাহবাগ পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় প্রেস ক্লাব হয়ে শাহবাগমুখী রাস্তাসহ ফার্মগেট ও সায়েন্স ল্যাবের দিকে রাস্তাও বন্ধ করে দেয় শিক্ষার্থীরা।

বিজ্ঞাপন

এক পর্যায়ে স্কুল-কলেজের ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনে একাত্মতা জানাতে সড়কে নেমে আসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও বারডেম মেডিকেল মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা।

বারডেম মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী সুদীপ সারাবাংলা’কে বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা যৌক্তিক দাবিতে আন্দোলন করছে। আমরা এখানে এসেছি তাদের আন্দোলনে সংহতি জানাতে। আমরা নিরাপদ সড়কের দাবিতে এসেছি ‘

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, ‘যখনই এমন কোনো দুর্ঘটনা ঘটে, তখন নৌপরিব্হনমন্ত্রী শাজাহান খান পরিবহন শ্রমিকদের সুরক্ষা দেওয়ার চেষ্টা করে। এই যে দুই শিক্ষার্থী প্রাণ হারিয়েছে, বিষয়টি অত্যন্ত সংবেদনশীল। তা সত্ত্বেও তিনি হেসে হেসে কথা বলেছেন। একজন মন্ত্রীর কাছে এমন আমরা আশা করি না।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী নাহিদ বলেন, ‘এটা কোনো দুর্ঘটনা ছিল না। এটা ছিল হত্যাকাণ্ড। এই ঘটনার ন্যায়বিচার না পাওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলনে ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের পাশে থাকব।’

এদিকে, অভিভাবকরাও পাশে দাঁড়িয়েছেন ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের। রাজধানীর উত্তরায় অভিভাবক হাসিবা রহমান সারাবাংলা’কে বলেন, সড়কে যেভাবে বেপরোয়াভাবে গাড়ি চলে, তাতে প্রতিনিয়তই আমাদের জীবন হাতে নিয়ে চলতে হয়। অথচ পরিবহন শ্রমিকদের কোনো শাস্তি হয় না। সে কারণেই তারা আরও বেপরোয়া হয়ে গাড়ি চালাতে উৎসাহ পায়। আজকে যখন এর প্রতিবাদে আমার সন্তানেরা রাস্তায় নেমেছে, তখন আমাদেরও তো ঘরে বসে থাকা শোভা পায় না। কারণ, নিরাপদ সড়কের দাবি তো আমাদেরও।

উল্লেখ্য, গত রোববার (২৯ জুলাই) রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে জাবালে নূর পরিবহেনের দুই বাসের রেষারেষিতে হত্যার শিকার হয় শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী দিয়া আক্তার মীম ও আব্দুল করিম। এরপর থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা এই হত্যার বিচার ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন করে আসছে। আজ চতুর্থ দিনের মতো তারা নেমেছে রাস্তায়।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন-

উত্তাল উত্তরা, শিক্ষার্থীদের দখলে সড়ক

‘শিগগিরই আইন, তোমরা ক্লাসে ফিরে যাও’

ভেটিং শেষে নথি সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ে

আজও রাজপথে শিক্ষার্থীরা, গণপরিবহন সংকট

সড়ক পরিবহন আইন মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থাপন আগামী সপ্তাহেই

সারাবাংলা/কেকে/এসও/টিআর

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন