বিজ্ঞাপন

শিক্ষার্থী আন্দোলনে চাপ বেড়েছে ট্রেনে

August 1, 2018 | 3:53 pm

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: রাজধানীতে নিরাপদ সড়কের দাবিতে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনে গণপরিবহন সংকটে চাপ বেড়েছে  ট্রেনের ওপর। রাজধানীর বিমানবন্দর রেল স্টেশনে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাজার হাজার যাত্রী স্টেশনে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছে। একটি ট্রেন আসলে যাত্রীরা হুমরি খেয়ে পড়ছে।

বুধবার (১ আগস্ট) কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার সিতাংশু চক্রবর্তী সারাবাংলা’কে বলেন, হঠাৎ করে গত কয়েদিনে যাত্রীর চাপ বেড়ে গেছে। ট্রেনগুলো উপচে পড়া অবস্থায় কমলাপুর স্টেশন ছেড়ে যাচ্ছে, আবার আসছে। বুধবার সকাল থেকে কমপক্ষে ১৫টি ট্রেন যাতায়াত করেছে বলে জানান তিনি।

বিজ্ঞাপন

কয়েকজন যাত্রীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কমলাপুর, বিমানবন্দর ও জয়দেবপুর স্টেশনের যাত্রীদের বেশিরভাগ যাত্রীই লোকাল। তারা কেউ বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর যাবেন, কেউ জয়দেবপুর যাবেন। তেমনি কেউ জয়দেবপুর থেকে এয়ারপোর্ট, আবার কেউ কমলাপুর যাবেন। কমলাপুর থেকেও অনেকে বিমানবন্দর ও জয়দেবপুর যাওয়ার জন্য রওনা দিয়েছেন ট্রেনে চড়ে।

যাত্রীরা বলছেন, বাস না পেয়ে ট্রেন বেছে নিয়েছেন তারা। জীবনের প্রয়োজনে তারা গন্তব্যে যেতেই ট্রেনের ওপর ভরসা করছেন।

বিজ্ঞাপন

জলি রহমান পরিবার নিয়ে এসেছেন চট্রগ্রাম থেকে। নেমেছেন বিমানবন্দর স্টেশনে। কিন্তু সব রাস্তা বন্ধ। রিকশাও নেই। উপায় না পেয়ে স্টেশনেই বসে আছেন ব্যাগ বস্তা নিয়ে।

জলি রহমান সারাবাংলা’কে বলেন, এতে কস্ট ভালো লাগে না। অন্তত ছোট ছোট গাড়িগুলো চলতে দেওয়া দরকার বলে মনে করেন তিনি। তবে সরকারেরও উচিত ছিল, ছোট ছোট বাচ্চাদের দাবি মেনে নিয়ে দ্রুত সমস্যার সমাধান করা।

জলির মতো শত শত যাত্রী ট্রেন থেকে নেমে বিমানবন্দর এলাকায় বিপাকে পড়েছেন।

এর আগে, এয়ারপোর্ট মোড় এলাকায় প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্ব পালনকারী ৬০ সদস্য বিশিষ্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের একটি গাড়ি আটকা পড়ে। একঘণ্টা আটকে থাকার পর গাড়িটি পেছনে ফিরে যায়।

বিজ্ঞাপন

বুধবার সকাল ১০টা থেকে রাজধানীর বিমানবন্দর থেকে আব্দুল্লাহপুর পর্যন্ত সড়কের দুই দিকে আটকে বিক্ষাভ করছে মাইলস্টোন কলেজ, বঙ্গবন্ধু কলেজ, উত্তরা কলেজ, উত্তরা হাই স্কুল, উত্তরা ভার্সিটিসহ বেশ কয়েকটি স্কুল ও কলেজের কয়েক হাজার শিক্ষার্থী।

উল্লেখ্য, গত রোববার (২৯ জুলাই) রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে জাবালে নূর পরিবহেনের দুই বাসের রেষারেষিতে হত্যার শিকার হয় শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী দিয়া আক্তার মীম ও আব্দুল করিম। এরপর থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা এই হত্যার বিচার ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন করে আসছে। আজ চতুর্থ দিনের মতো তারা নেমেছে রাস্তায়।

আরও পড়ুন-

উত্তাল উত্তরা, শিক্ষার্থীদের দখলে সড়ক

‘শিগগিরই আইন, তোমরা ক্লাসে ফিরে যাও’

ভেটিং শেষে নথি সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ে

আজও রাজপথে শিক্ষার্থীরা, গণপরিবহন সংকট

সড়ক পরিবহন আইন মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থাপন আগামী সপ্তাহেই

সারাবাংলা/ইউজে/টিআর

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন