বিজ্ঞাপন

বোন হত্যার বিচার পাবে, রিয়াকে শাজাহান খান

August 1, 2018 | 8:10 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: ‘কথা দিচ্ছি, তুমি তোমার বোন হত্যার বিচার পাবে।’— বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে নিহত দিয়া খানমের বোন রিয়া খানমকে এভাবেই সান্ত্বনা দিলেন নৌমন্ত্রী শাজাহান খান। রিয়াকে মন খারাপ না করারও অনুরোধ করেন তিনি।

পরিবহন শ্রমিক নেতা ও নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান বুধবার (১ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে দিয়াদের দক্ষিণ মহাখালীর বাসায় যান।

এক বেপরোয়া পরিবহন শ্রমিক বাসের চাকায় পিস্ট হয়ে গত ২৯ জুলাই নিহত হয় রাজধানীর রমিজউদ্দিন কলেজের দুই শিক্ষার্থী দিয়া খানম ও আবদুল করিম। ঘটনার চতুর্থ দিনে দিয়াদের বাড়িতে গেলেন নৌমন্ত্রী।

বিজ্ঞাপন

এদিকে তারই পদত্যাগসহ ৯ দফা দাবিতে শিক্ষার্থীরা অব্যাহত আন্দোলনে রাজধানী প্রায় অচল করে রাখছে গত তিন দিন ধরে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে গেলে, দিয়ার বাড়িতে গিয়ে সান্ত্বনা জানালেন শাজাহান খান। তিনি এসময় দিয়ার বাবা-মা ও বোনের সঙ্গে  কথা বলেন।

পরে রিয়া খানমের সঙ্গে কথা হয় সারাবাংলা’র। তিনি জানান, মন্ত্রী তাকে বলেছেন, তুমি বোন হত্যার বিচার পাবে। মন খারাপ করো না।

বিজ্ঞাপন

রিয়া জানায়, তার বাবা নিজেও একজন বাসচালক। সে সূত্রে তার বাবা জাহাঙ্গীর মিয়া নৌমন্ত্রীকে বলেন, কোনো অদক্ষ চালকের হাতে যেন কোনো গাড়ির স্টিয়ারিং না থাকে, লাইসেন্স ও ফিটনেসবিহীন কোনো গাড়ি যেন রাস্তায় না চলে। নৌমন্ত্রী আমাদের আশ্বাস দেন, লাইসেন্সবিহীন কোনো গাড়ি চালকদের দেবো না, এখন থেকে দক্ষ ড্রাইভাররাই গাড়ি চালাবে।

একইসঙ্গে নৌমন্ত্রী দিয়ার পরিবারকে ওই দিনের ঘটনায় তার হাসি নিয়েও ব্যাখ্যা দেন। নৌমন্ত্রী বলেন, ওই দিন মংলা বন্দর নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে কথা হচ্ছিল। সেটা নিয়ে খুব খুশি ছিলাম। তখনও দিয়ার ঘটনা জানতাম না। এ সময় আমাকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলেও আমি মংলা বন্দরের ঘটনা নিয়েই হাসছিলাম। সেই হাসিই আমার মুখে ছিল। এ জন্য আমি আপনাদের কাছে এবং সব শিক্ষার্থীর কাছে ক্ষমা চাচ্ছি।

রিয়া জানায়, এ দুর্ঘটনায় অবশ্য বিচার হবে বলে জানিয়েছেন নৌমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, এ ঘটনায় চার জনকে আটক করা হয়েছে, একজন রিমান্ডে আছে। অবশ্যই এর বিচার হবে।

২০ থেকে ৩০ মিনিট রিয়ার বাসায় নৌমন্ত্রী ছিলেন বলেও জানায় রিয়া।

বিজ্ঞাপন

উল্লেখ্য, গত সোমবার (২৯ জুলাই) কুর্মিটোলা জেলারেল হাসপাতালের সামনের সড়কে (মিরপুর-উত্তরা ফ্লাইওভার ঠেকেছে যেখানে) দুই বাসের রেষারেষিতে হত্যার শিকার হয় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী দিয়া আক্তার মিম ও আব্দুল করিম। এ ঘটনার প্রতিবাদে নিরাপদ সড়কের দাবিতে চার দিন ধরে রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক দখল করে আন্দোলন করছে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। আজ বুধবার রাজধানীর শাহবাগ, বাংলামোটর, সায়েন্সল্যাব, এলিফ্যান্ট রোড, মতিঝিল, দৈনিক বাংলা, তেজগাঁও, রামপুরা, বনশ্রী, উত্তরাসহ বিভিন্ন এলাকা অবরোধ করে তারা।

সারাবাংলা/জেএ/এমএম

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন