বিজ্ঞাপন

এবার মামলা নিতে পুলিশকে সহযোগিতা করছে শিক্ষার্থীরা

August 2, 2018 | 2:22 pm

|| স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ||

বিজ্ঞাপন

ঢাকা : শুধু লাইসেন্স যাচাই করেই ক্ষান্ত হচ্ছে না শিক্ষার্থীরা। যেসব গাড়ি বা চালকের লাইসেন্স নেই সেগুলোর বিরুদ্ধে মামলা করতে পুলিশকে সহযোগিতাও করছে তারা।

বৃহস্পতিবার (২ আগস্ট) রাজধানীর মিরপুর গোলচত্ত্বর এলাকায় এমন দৃশ্যই চোখে পড়ল।

বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থীকে হত্যার ঘটনায় নিরাপদ সড়কের দাবিতে পঞ্চম দিনের মত রাজধানী জুড়ে চলছে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন। এর মধ্যে মিরপুরে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। এখানে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা চারটি ভাগে ভাগ হয়ে সড়ক বন্ধ করে গোলাকার বৃত্তে মানব ঢাল বানিয়ে সমবেত হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সকাল সাড়ে ১০টা পর থেকেই মিরপুর-১০ নম্বর সেকশনের গোল চত্ত্বরের ফুটওভার ব্রিজের আশপাশের স্কুল কলেজের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জড়ো হতে থাকে। তীব্র বৃষ্টি উপেক্ষা করে বিভিন্ন প্রতিবাদ ও দাবি সংবলিত পোস্টার, ফেস্টুন এবং স্লোগানে স্লোগানে মুখর করে রাখে গোটা এলাকা।

আন্দোলনে মিরপুর ভাষানটেক সরকারি কলেজ, মিরপুর গার্লস আইডিয়াল কলেজ, পল্লবী মহিলা ডিগ্রি কলেজ, শহীদ আনোয়ার কলেজ, মিরপুর বাংলা কলেজসহ আশপাশের বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছে।

এ সময় গোল চত্ত্বরের চারটি সড়কে ভাগ হয়ে প্রত্যেক সড়কের সামনে ভিন্ন ভিন্ন দায়িত্ব পালন করতে থাকে শিক্ষার্থীরা। কেউ গাড়ি থামিয়ে লাইসেন্স যাচাই করছে, কেউ আবার অসুস্থ ব্যক্তিদের গাড়ি নিরাপদে পৌঁছে দিচ্ছে, আবার কেউ কেউ লাইসেন্সবিহীন গাড়িগুলো মামলা নিতে পুলিশকে সহায়তা করছে। এ সময় ছাত্রীদের একটি দল ভাষানটেক সড়ক বন্ধ করে হাতে হাত ধরে গোলাকার বৃত্ত তৈরি করে প্রতিবাদী পোস্টার হাতে নিয়ে স্লোগান দিতে থাকে।

বিজ্ঞাপন

শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ফুটওভার ব্রিজের ওপর দাঁড়িয়ে দেখছেন বহু পথচারী। কেউ কেউ মোবাইলে এসব দৃশ্য ধারণের চেষ্টা করলে তাদের ফোন কেড়ে নেওয়া হচ্ছে।

আন্দেলন দেখতে ফুটওভার ব্রিজে দাঁড়িয়ে থাকা সাজেদ নামে একজন পথচারী সারাবাংলাকে বলেন, ‘যাবো আব্দুল্লাহপুর। কিন্তু কোনো গাড়ি নেই। আবার বৃষ্টিও হচ্ছে। তাই এখানে দাঁড়িয়ে তাদের প্রতিবাদী আন্দোলন দেখছি।’ আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের লাইসেন্স চেক করার দৃশ্য দেখে অভিভূত তিনি। তাই এ আন্দোলনের কারণে বিপাকে পড়লেও শিক্ষার্থীদের সাধুবাদ জানান তিনি।

তবে আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীরা কোনো গাড়ি ভাঙবে না ঘোষণা দিলেও বেলা সাড়ে ১১টার দিকে লাইসেন্স না থাকায় আলিফ পরিবহনের (ঢাকা মেট্রো-ব ১১-৭০২৪) একটি গাড়ি ভাঙচুর করে। এসময় চালক পালিয়ে যায়। তবে গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত থাকায় আন্দোলরত শিক্ষার্থীরা একজনকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে বলে জানায় এক শিক্ষার্থী।

এদিকে, লাইসেন্স না থাকায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়েছে র‌্যাবের (ঢাকা মেট্রো-ঘ-১১-৭৬৯২) একটি গাড়ি। ট্রাফিক মামলা করার পর সেটি ছাড়ে শিক্ষার্থীরা। এছাড়া পুলিশের দুটি গাড়ি এবং নিরাপত্তা বাহিনীর একটি মোটর সাইকেলও তারা আটকায়।

বিজ্ঞাপন

ভাষানটেক কলেজের মঞ্জুর নামে এক শিক্ষার্থী সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমরা কোনো গাড়ি ভাঙচুর করছিনা যেগুলোতে লাইসেন্স নেই সেগুলো পুলিশের হাতে তুলে দিচ্ছি। যারা অসুস্থ তাদেরকে আমরা নিজ দায়িত্বে পৌঁছে দিচ্ছি। সেই সঙ্গে আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে চাচ্ছি।’

সারাবাংলা/এসএইচ/এসএমএন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন