বিজ্ঞাপন

সায়েদাবাদে শ্রমিক ধর্মঘট: যাত্রীর ভিড় থাকলেও ফাঁকা বাস কাউন্টার

August 3, 2018 | 5:15 pm

।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় গণপরিবহনে ভাঙচুর ও চালক-হেলপারদের ওপর হামলার প্রতিবাদ এবং যানবাহন চলাচলে নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে রাজধানীর সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে চলছে শ্রমিকদের অবরোধ। এতে সেখান থেকে আভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার কোনো যানবাহন চলছে না। ফলে টার্মিনালে যাত্রীদের ভিড় থাকলেও সবগুলো কাউন্টারই ফাঁকা।

শুক্রবার (৩ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৮টা থেকেই টার্মিনালে কোনো পরিবহন প্রবেশ করতে ও টার্মিনাল থেকে বের হতে দেয়নি পরিবহন শ্রমিকরা। তারা টার্মিনালের আশপাশের সবকটি সড়ক অবরোধ করে অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য ধর্মঘট করছে। শ্রমিকদের আন্দোলনের কারণে টার্মিনালের আশপাশে কোনো রিকশাও চলাচল করতে দেওয়া হচ্ছে না। রিকশা উল্টিয়ে রাস্তায় ফেলে রাখছে শ্রমিকরা। এ সময় কেউ কেউ রিকশা চালকদের মারধরও করেছে।

বিজ্ঞাপন

আন্দোলনরত শ্রমিকরা জানান, গত পাঁচ দিনে তাদের পাঁচ শতাধিক গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে, শ্রমিকদের মারধর করা হয়েছে। এতে তারা আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি শারীকভাবে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এ জন্য সরকার যতক্ষণ পর্যন্ত তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারবে, ততক্ষণ পর্যন্ত তারা কাজে যোগ দেবেন না বলে জানান। তাদের অভিযোগ, চালকদের লাইসেন্স দেখার কথা পুলিশের, সেটি কেন ছাত্ররা দেখবে?

এদিকে, শ্রমিকদের আন্দোলনের কারণে কাউন্টারের টিকেটম্যানরা কাউন্টার ফাঁকা রেখেই চলে গেছেন। এতে দূরপাল্লার যাত্রীরা পড়েছেন চরম বিপাকে। কাউন্টারে যাত্রীরা বসে থাকলেও বাস না ছাড়ায় মিলছে না টিকেট। কিছু টিকেট বিক্রি হলেও বাস না চলায় তার টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে যাত্রীদের।

সকালে কথা হয় তিশা পরিহনের একজন কাউন্টারম্যান দিদার আলমের সঙ্গে। তিনি সারাবাংলা’কে বলেন, ‘আমরা কাল রাত পর্যন্তও জানতাম না যে শ্রমিকরা আন্দোলন করবে। এ জন্য সকালে যাত্রীদেরকে টিকেট দিয়েছে। কিন্তু গাড়ি ছাড়তে দেয়নি। তাই যাত্রীদের টাকা ফেরত দিয়ে দিয়েছি। কতক্ষণ পর্যন্ত এ অবরোধ থাকবে, তাও জানি না। তাই যাত্রীদের কিছু বলতেও পারছি না। এজন্য কাউন্টার থেকে বাইরে চলে এসেছি।’

বিজ্ঞাপন

সকাল ৯টার দিকে বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার শফিক রায়হান নামে এক যাত্রী সারাবাংলা’কে বলেন, ‘বিকেল ৫টায় চট্টগ্রামে কোম্পানির বিশেষ মিটিং। তাই সকাল ৮টায় কাউন্টারে এসে হানিফ পরিবহনের টিকেট নিয়েছিলাম। কিন্তু বাস নাকি ছাড়বে না। তাই টাকা ফেরত দিয়েছে। এখন কী করব, বুঝতে পারছি না। এতদিন শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করেছে। এখন শ্রমিকরা আন্দোলন করছে। মাঝখানে আমরা সাধারণ পাবলিকরা কষ্ট ভোগ করছি।’

জানতে চাইলে সায়েদাবাদ টার্মিনাল বাস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কালাম সারাবাংলা’কে বলেন, ‘আমরা শ্রমিকদেরকে আন্দোলন থেকে ফিরে আসতে আহ্বান করেছি। কিন্তু তারা তাদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা চায়। যতক্ষণ পর্যন্ত নিশ্চয়তা না পাবে, ততক্ষণ পর্যন্ত গাড়ি চালাবে না বলে জানিয়েছে। তবে এ বিষয়টি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য আমরা উচ্চ মহলে আলোচনা করছি।’

সারাবাংলা/এসএইচ/টিআর

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন