বিজ্ঞাপন

ধানমন্ডি পপুলারে আহত অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী

August 4, 2018 | 7:18 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: রাজধানীর ধানমন্ডিতে পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার অ্যান্ড হাসপাতালের ইমার্জেন্সিতে প্রায় অর্ধশত আহত শিক্ষার্থীকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। গুরুতর আহতদের পপুলার হাসপাতাল থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। পপুলারে সন্তানদের খোঁজে ভিড় জমিয়েছেন অভিভাবকরা।

শনিবার (৪ আগস্ট) দুপুর থেকে ধানমন্ডি ২, জিগাতলা এলাকায় নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় এসব শিক্ষার্থী আহত হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

শনিবার বিকেল ৫টার দিকে পপুলার হাসপাতালের ইমার্জেন্সি বিভাগে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে ৪০ থেকে ৫০ জন শিক্ষার্থীকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাদের কাউকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। যাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক, তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর অন্য হাসপাতাল-ক্লিনিকে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

পপুলার হাসপাতালের ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার সারাবাংলা’কে জানান, বেশকিছু ছাত্র আহত অবস্থায় এসেছে। তাদের মধ্যে অনেকের অবস্থা গুরুতর। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে রেফার করা হয়েছে। যাদের অবস্থা তুলনামূলক ভালো, তাদের এখানেই চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

এদিকে, ধানমন্ডি-জিগাতলায় অবস্থান নেওয়া আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা এসেছেন পপুলার হাসপাতালে। তারা সন্তান-ভাই-বোনদের সন্ধান করছেন।

বিজ্ঞাপন

এই প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা হয় এক শিক্ষার্থীর বোনের। তিনি জানান, টিভি চ্যানেলে সংঘর্ষের সময় তার ভাইকে আহত অবস্থায় দেখতে পেয়ে তিনি তার ভাইকে খুঁজতে বেড়িয়েছেন। বিভিন্ন হাসপাতালে খুঁজতে খুঁজতে এসেছেন পপুলার হাসপাতালেও। তবে সেখানেও তিনি তার ভাইকে খুঁজে পাননি। তার মতো আরও অনেকেই সন্তান কিংবা ভাই-বোনদের খুঁজতে এসেছেন পপুলার হাসপাতলে।

এর মধ্যে, আহত ১০ শিক্ষার্থীকে অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢামেক হাসপাতালে পাঠাতে দেখা গেছে।

এর আগে, শনিবার সপ্তম দিনের মতো নিরাপদ সড়কের দাবিতে রাস্তায় নামে শিক্ষার্থীরা। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় আগের দিনগুলোর মতোই তারা অবস্থান নেয়। তবে সায়েন্স ল্যাব মোড়ে শিক্ষার্থীরা অবস্থান নেওয়ার সময় একদল লোক এসে তাদের জানায়, জিগাতলায় শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগ হামলা করছে। সে কথা শুনে ছাত্ররা উত্তেজিত হয়ে যায়। এ সময় বিচ্ছিন্নভাবে কে বা কারা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের দিকে হামলা করতে যায় এবং এ সময় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

এক পর্যায়ে সীমান্ত স্কয়ারের সামনে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। দফায় দফায় সংঘর্ষে প্রায় অর্ধশত শিক্ষার্থী আহত হয়। এ সময় ছাত্রলীগেরও ১৭ নেতাকর্মী আহত হয় বলে এক ব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। পরে বিজিবি সদর দফতর থেকে বিজিবি সদস্যরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেন

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জেএ/টিআর

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন