বিজ্ঞাপন

আন্দোলনে আক্রান্ত গণমাধ্যমকর্মীরা

August 5, 2018 | 4:52 pm

।। সিনিয়র রিপোর্টার।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনের অষ্টম দিনেও আক্রান্ত হয়েছেন সংবাদকর্মীরা। রোববার (৫ আগস্ট) আক্রান্ত হয়েছে নাগরিক টিভির একটি গাড়ি । নাগরিক টিভি সূত্রে জানা যায়, ধানমণ্ডির সামনে থাকা নাগরিক টিভির একটি গাড়িতে ভাঙচুর চালায় অজ্ঞাত পরিচয়ের কয়েকজন যুবক। হামলায় আহত হয়েছেন গাড়িতে থাকা চ্যানেলটির  ক্যামেরাপারসন রিপন হাসান, গাড়ি চালক গোলাম মোর্শেদ এবং নিজস্ব প্রতিবেদক আবদুল্লা সাফী।

নাগরিক টেলিভিশনের প্রতিবেদক আবদুল্লা সাফী সারাবাংলাকে জানান, আমাদের গাড়ি সিটি কলেজের সামনে ইউটার্ন নিচ্ছিল, তখন একদল যুবক এসে আমাদের গাড়িতে হামলা করে। এক পর্যায় তারা বড় বড় ইটের টুকরো ছুড়ে ভাঙচুর চালায়।

সাফী আরও জানান, আক্রমণকারীদের গায়ে ইউনিফর্ম ছিল, পরে আরেকদল ইউনিফর্ম পরা ছাত্র এসে তাদের উদ্ধার করেন এবং নিরাপদে সরিয়ে নেন।

বিজ্ঞাপন

এদিকে অ্যাসোসিয়েট প্রেস (এপি)-এর ফটো সাংবাদিক এ. এম. আহাদও একই এলাকায় আক্রান্ত হন। সারাবাংলার সিনিয়র ফটো সাংবাদিক হাবিবুর রহমান জানান, বেলা সোয়া একটার দিকে সেখানে থাকা সাংবাদিকদের উপরে হেলমেট মাথায় লাঠিসোটা ও রামদা নিয়ে একদল যুবক আক্রমণ করে। এতে এপি’র এ.এম আহাদ, প্রথম আলোর ফটোসাংবাদিক সাজিদসহ সেখানে থাকা আরও অনেকে আহত হন।

এসময় আক্রমণকারীরা ফটো সাংবাদিকদের ক্যামেরা কেড়ে নেয় এবং তাদের এলোপাথাড়ি মারধর করে। হামলায় আহত  এ এম আহাদকে ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

হামলাকারীদের হামলায় (৫ আগস্ট) আহত হয়েছেন প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক আহমেদ দীপ্ত।

আহত সাংবাদিক দীপ্ত ঢাকার এক বেসরকারি হাসপাতাল ভর্তি আছেন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তার ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। ধানমন্ডি ১ (আড়ংয়ের সামনে) রড দিয়ে আঘাত হয়েছে তাকে। তার শরীরে তিনটি সেলাই দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এদিকে মিরপুরে দায়িত্ব পালনকালে সারাবাংলার বিশেষ প্রতিনিধি গোলাম সামদানীর মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়া হয়।  মিরপুর ১০ গোলচত্বরে বেলা সাড়ে তিনটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। গোলাম সামদানী জানান, আন্দোলনরত ছাত্রদের লাঠিসোটা হাতে ছাত্রলীগ কর্মীরা ধাওয়া দেয়। সেই ছবি তুলতে গেলে, ছাত্রলীগের কর্মীরা তার হাত থেকে মোবাইল কেড়ে নিয়ে মাটিতে আছাড় মারে এবং তার আইডি কার্ড ছিঁড়ে ফেলে

‘কয়েকজন আমাকে ঘিরে ধরে, মোবাইল কেড়ে নেয়, ছবি তোলার কারণে আমাকে গালাগালি করতে থাকে। মোবাইল কেড়ে নেয়, ছবি ডিলিট করে এবং মোবাইল ভাঙ্গতে উদ্যত হয়’, যোগ করেন সামদানী।

মিরপুর-১০ গোলচত্বরে বিপুল সংখ্যক পুলিশের উপস্থিতি থাকলেও কেউ সহযোগিতা করেননি বলেও জানান তিনি।

সারাবাংলা/এমএ/পিএম

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন