বিজ্ঞাপন

জ্বালানি নিরাপত্তা দিবসের সেমিনার অনুষ্ঠিত

August 9, 2018 | 11:56 pm

।। সারাবাংলা ডেস্ক ।।

বিজ্ঞাপন

জ্বালানি সাশ্রয়ের ওপর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে পালিত হলো জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস, ২০১৮। এ উপলক্ষে আয়োজিত এক সেমিনারে বক্তরা মূল্যবান গ্যাসসহ অন্যান্য জ্বালানি ব্যবহারের ক্ষেত্রে অপচয় রোধ করে যথাযথ ব্যবহার ও উদ্ভাবনী ক্ষমতা প্রয়োগের মাধ্যমে জ্বালানি সাশ্রয়ে সর্বাধিক গুরুত্ব আরোপ করেন।

পেট্রোবাংলার ব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) তারিকুল ইসলাম খানের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস ৯ আগস্টে পেট্রোবাংলার ড. হাবিবুর রহমান অডিটরিয়ামে (পেট্রোসেন্টার, ৩ কাওরান বাজার বা/এ, ঢাকা) জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের উদ্যোগে ওই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, বীর বিক্রম। সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) চেয়ারম্যান মো. আকরাম আল হোসেন, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান আবুল মনসুর মো. ফয়েজউল্লাহ, এনডিসি।

বিজ্ঞাপন

সেমিনারের শুরুতে ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পরিবারের নিহত সদস্যদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

পরে সেমিনারে ‘Oil & Gas Exploration Opportunities in the Offshore Areas of Bangladesh under Production Sharing Contract (PSC)’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পেট্রোবাংলার মহাব্যবস্থাপক (কন্ট্রাক্ট) শাহনেওয়াজ পারভেজ এবং ‘পেট্রোলিয়াম পাইপলাইন নেটওয়ার্ক ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক (প্রকল্প) মো. আমিনুল হক। সেমিনারে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, পেট্রোবাংলা ও এর অধীন কোম্পানিগুলোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পর জাতীয় অগ্রগতির লক্ষ্যে যেসব দূরদর্শী সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, তার মধ্যে জাতীয় জ্বালানির নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করা ছিল অন্যতম। দেশের অর্থনীতির ভিতকে মজবুত করে সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বঙ্গবন্ধু ১৯৭৫ সালের ৯ আগস্ট তৎকালীন ব্রিটিশ তেল কোম্পানি শেল অয়েলের কাছ থেকে তিতাস, হবিগঞ্জ, রশিদপুর, কৈলাশটিলা ও বাখরাবাদে পাঁচটি গ্যাসক্ষেত্র নামমাত্র ৪.৫ মিলিয়ন পাউন্ড স্টার্লিং মূল্যে কিনে রাষ্ট্রীয় মালিকানায় হস্তান্তর করেন।

বিজ্ঞাপন

এসব গ্যাস ক্ষেত্রস রাষ্ট্রীয় মালিকানায় নেওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত দেশের অর্থনৈতিক বিকাশ এবং জ্বালানি নিরাপত্তার ক্ষেত্রে অতুলনীয় ভূমিকা রেখে চলছে। জাতির পিতার উন্নয়ন ভাবনার পথ অনুরসরণ করে তারই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার ২০১০ সাল থেকে এ দিনটিকে ‘জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস’ হিসেবে উদযাপনের সিদ্ধান্ত নেয়। দিবসটি উদযাপনের মাধ্যমে জ্বালানি নিরাপত্তায় বঙ্গবন্ধুর অবদানের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের পাশাপাশি দেশের উন্নয়নে জ্বালানি খাতের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সংক্রান্ত কার্যক্রমের প্রচারণা এবং জ্বালানির সাশ্রয়ী ব্যবহারের গুরুত্ব তুলে ধরে জনসচেতনতা তৈরি সম্ভব হচ্ছে।

সারাবাংলা/টিআর

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন