বিজ্ঞাপন

নিরাপদ সড়ক ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় কাজ করবে দুই সিটি করপোরেশন

August 12, 2018 | 5:44 pm

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: ঢাকা মহানগরের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা গতিশীল করতে এবং সুষ্ঠুভাবে পথচারী পারাপার ও যান চলাচলে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন মাসব্যাপী উদ্যোগ নিয়েছে। সে লক্ষ্যে দুই সিটিতে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ক্লিন এয়ার অ্যান্ড সাসটেইনেবল ইনভারমেন্ট (কেস) প্রোগ্রামের আওতায় শুরু হয়েছে বেশকিছু উদ্যোগ।

রোববার (১২ আগস্ট) ‘ক্লিন অ্যান্ড সেফ মোবিলিটি প্রোগ্রাম’ শিরোনামে এই কার্যক্রমের সূচনা করা হয়। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।

মেয়র বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম জনবহুল শহর ঢাকা। এ শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বড় এবটি চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ এককভাবে সিটি করপোরেশনের দায়িত্ব না হলেও করপোরেশন তার দায়িত্ববোধ থেকে নগরীর সুশৃঙ্খল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার অংশীদার হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে।’ প্রত্যেকেই নিজ নিজ জায়গা থেকে সঠিক কাজটি করলেই কেবল সঠিক ব্যবস্থাপনা সম্ভব বলে মন্তব্য করেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

‘আমাদের পথ, আমাদের হাতেই নিরাপদ’— স্লোগান নিয়ে শুরু হওয়া মাসব্যাপী ক্লিন অ্যান্ড সেফ মোবিলিটি প্রোগ্রামের আওতায় বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে গুরুত্বপূর্ণ  ৯২টি সড়ক ইন্টারসেকশনে, জেব্রা ক্রসিং, লেন সেপারেটর ডট অথবা সলিড রোড মার্কিং স্থাপন করা হবে। এছাড়াও ২৯৪টি পথাচারী পারাপার, ৫০টি সামনে বামে মোড়, ৩২টি ইউটার্ন, ৩০টি বামে, ডানে বা ইউটার্ন নিষেধ, ৩০টি বামে থাকুন বা উভয়দিকে চলুন, ৬৪টি ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার করুন প্রভৃতি সাইনবোর্ড বসানো হবে।

এ ছাড়াও একশটি দিক নির্দেশনামূলক চিহ্নসহ সর্বমোট ছয়শটি ট্রাফিক সাইন স্থাপন এবং ১৭টি যাত্রী ছাউনি নির্মাণের পরিকল্পনাও রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

অনুষ্ঠানে মেয়র সাঈদ খোকন স্বীকার করেন, অনেক স্থানে এই ট্রাফিক সাইনগুলো আগে থাকলেও তা যথাযথভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়নি এবং নতুন সাইনগুলোর বিষয়েও সম্মেলিত কোনো উদ্যগ নেওয়া হয়নি।

এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, ‘কোনো নাগরিক যদি মনে করেন ফুট ওভারব্রিজ যথাযথ স্থানে নেই অথবা কোনো স্থানে ফুট ওভারব্রিজ প্রয়োজন, তাহলে তারা লিখিত অভিযোগ করলে সিটি করপোরেশন সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে।’

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানোর পরিকল্পনার একটি বড় অংশ জুড়ে রয়েছে নাগরিক ও চালকদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি। এর জন্য দুই সিটি করপোরেশন মাসব্যাপী সেমিনার, টকশো, রেডিও অনুষ্ঠান, বিজ্ঞাপনসহ সামাজিক যোগাযগ মাধ্যমেও কাজ করবে।

এশিয়াটিক মার্কেটিং লিমিটেডের ক্রিয়েটিভ সুপারভিশনে আয়োজিত এ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি, বিভিন্ন শ্রেণিপেশার নাগরিক, সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এমএ/টিআর

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন