বিজ্ঞাপন

এলএনজির নিয়মিত সরবরাহ শুরু হচ্ছে ১৬ আগস্ট

August 14, 2018 | 6:40 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: আগামী ১৬ আগস্ট থেকে জাতীয় গ্রিডে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) নিয়মিত সরবরাহ শুরু হচ্ছে। তবে গত ১২ আগস্ট থেকে পরীক্ষামূলক যে সরবরাহ শুরু হয়েছে, তা ঠিক থাকলেই নিয়মিত এলএনজি সরবরাহের কাজ শুরু হবে। জ্বালানি বিভাগের উর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা এ তথ্য জানান।

পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান আবুল মনসুর মো. ফায়জুল্লাহ এ প্রসঙ্গ সারাবাংলাকে বলেন, পাইপলাইনে পরীক্ষামূলক এলএনজি সরবরাহ শুরু হয়েছে। পরীক্ষামূলক এলএনজি সরবরাহ শেষ হলেই নিয়মিত এলএনজি সরবরাহ শুরু হবে।

তিনি বলেন, যত দ্রুত সম্ভব সরবরাহের চেষ্টা করছি আমরা।

বিজ্ঞাপন

জ্বালানি বিভাগের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, গত ১২ আগস্ট পরীক্ষামূলক সরবরাহ শুরু হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে ১৬ আগস্ট থেকে নিয়মিত এলএনজি সরবরাহ করা হবে। তবে বিষয়টি একেবারেই কারিগরি বলে নিয়মিত সরবরাহের বিষয়টি চূড়ান্ত করা যায়নি।

এখানে উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২৪ এপ্রিল এক্সিলারেট এনার্জি এলএনজির ভাসমান টার্মিনালটি কাতার থেকে বাংলাদেশে আসে। এরপর ১০ মে প্রথম দফায় এলএনজি সরবরাহের তারিখ ঠিক করা হলেও শেষে তা ঠিক রাখা সম্ভব হয়নি। এরপর কয়েক দফায় সরবরাহের সময় ঠিক করা হলেও এখন পর্যন্ত সরবরাহ শুরু করতে পারেনি এক্সিলারেট এনার্জি। কারণ হিসেবে তারা সাব-সি পাইপলাইন মেরামতের কথা জানিয়েছে। সাগর উত্তাল থাকায় পাইপলাইন মেরামত করা যাচ্ছিল না বলে এই দেরি হচ্ছে বলে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে জানানো হয়।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান, নিয়মিত এলএনজি সরবরাহ শুরু হলে চলতি বছর কাতার এবং ওমান থেকে আরও ১৮ বার এলএনজি আমদানি করা হবে। এ জন্য এরইমধ্যে বার্ষিক সরবরাহ কর্মসূচি (এডিপি) এবং কার্গো সময়সূচি ব্যবস্থাপনা চূড়ান্ত করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

পেট্রোবাংলার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বলেন, এলএনজি দেশে একটি নতুন জ্বালানি। সমুদ্রপথে এ তরলীকৃত গ্যাস আমদানির পর ফের গ্যাসে রূপান্তরিত করে জাতীয় গ্রীডে সরবরাহ করতে হবে। তাই নির্ধারিত সময়ে এ গ্যাস আমদানি এবং গ্রীডে জোগান দিতে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ যেন প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে পারে সে জন্য এডিপি তৈরি করা হয়েছে। এতে পেট্রোবাংলাও অনুমোদন দিয়েছে। এর মধ্যে কাতার থেকে ১৫টি এবং ওমান থেকে ৩টি কার্গো আসবে। ওই কার্গো থেকে এফএসআরইউতে (ভাসমান টার্মিনাল) এলএনজি খালাস করা হবে।

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ সূত্র জানায়, কক্সবাজারের মহেশখালীতে দৈনিক ৫০ কোটি ঘনফুট ক্ষমতার এলএনজি টার্মিনাল স্থাপন করছে যুক্তরাষ্ট্রের এক্সিলারেট এনার্জি। এ টার্মিনালের মালিকানায় আছে পেট্রোবাংলা আর ঠিকাদার কোম্পানি এক্সিলারেট এনার্জি। এলএনজি প্রকল্পের সার্বিক তত্ত্বাবধান করছে রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি (আরপিজিসিএল)।

সরকার প্রতিবছর ১৮ থেকে ২৫ লাখ টন এলএনজি আমদানির লক্ষ্যে কাতারের রাসগ্যাসের সঙ্গে এরইমধ্যে একটি ১৫ বছর মেয়াদী চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। ১০ বছর মেয়াদে এলএনজি সরবরাহ করবে ওমানের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ওটিআই। এক্সিলারেট এনার্জির টার্মিনাল চালু হওয়া সাপেক্ষে বছরে ৫ লাখ টন এবং সামিটের টার্মিনাল চালু হওয়া সাপেক্ষে আরো বার্ষিক ৫ লাখ টন এলএনজি বাংলাদেশে বিক্রি করবে ওমানের ওটিআই। এলএনজির আন্তর্জাতিক দরের তিন মাসের গড় দরে কেনাকালীন এলএনজির মূল্য নির্ধারিত হবে।

সারাবাংলা/এইচএ/একে

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন