বিজ্ঞাপন

মহাখালীতে যাত্রীর চাপ কম, বাড়তি টাকায় মিলছে বাসের টিকেট

August 18, 2018 | 1:15 pm

।। আবদুল জাব্বার খান ও মীর মেহেদী হাসান ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: ভোর থেকে সাতসকাল পর্যন্ত যাত্রীর উপচে পড়া চাপ থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঈদযাত্রায় ঘরমুখো মানুষের ভিড় কমে এসেছে মহাখালী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালে। ঈদের কয়েকদিন আগে থেকেই ঈদযাত্রা শুরু হওয়ার পাশাপাশি মানুষ ট্রেনের দিকে ঝুঁকে পড়ায় চাপ কম বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এদিকে, অগ্রিম টিকেট পেতে যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হলেও বাড়তি টাকাতে তাৎক্ষণিকভাবেই অনেকেই পেয়ে গেছেন টিকেট নামের ‘সোনার হরিণ’।

শনিবার (১৮ আগস্ট) সকালে মহাখালী বাস টর্মিনাল ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। কাউন্টারগুলো বলছে, ঢাকা থেকে বের হওয়ার মুখে খানিকটা যানজট থাকলেও এখন পর্যন্ত বাসের শিডিউল নিয়ে বেকায়দায় পড়তে হয়নি তাদের। মোটামুটি সময়ের গাড়ি সময়েই ছেড়ে যাচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

যাত্রীরা বলছেন, ঈদ ঘনিয়ে আসতে আসতে সড়কে দীর্ঘ যানজটের পুরনো চিত্র ফিরে আসতে পারে— এমন আশঙ্কা থেকেই তারা একটু আগেই বাড়ির পথ ধরেছেন। এখন পর্যন্ত ঈদযাত্রায় স্বস্তি থাকায় নিজেদের সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল বলেই মনে করছেন তারা। আবার অগ্রিম টিকেট সংগ্রহের জন্য ভোগান্তি হলেও তাৎক্ষণিকভাবেই গাড়ির টিকেট পাওয়া যাচ্ছে বলে জানান যাত্রীরা। তবে এর জন্য অতিরিক্ত টাকা গুনতে হচ্ছে তাদের।

স‌মিত না‌মের এক যাত্রী সারাবাংলাকে বলেন, ‘অগ্রিম টিকেট বিক্রির সময় বলেছিল ১৮, ১৯, ২০ ও ২১ আগস্টের টিকেট নেই। এখন কয়েক কাউন্টার ঘুরে ঠিকই টিকেট পেয়ে গেলাম। বেশি দামে বিক্রির জন্য টিকেট রেখে দিয়েছিল।’ তবে টাকা একটু বেশি লাগলেও এখন পর্যন্ত রাস্তার পরিস্থিতি ভালো হওয়ায় আনন্দ নিয়ে বাড়ি ফিরতে পারবেন বলে আশাবাদ জানান তিনি।

বিজ্ঞাপন

মহাখালীতে বিনিময় কাউন্টারেরে ম্যানেজার সিরাজুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, ‘শুক্রবার থেকেই ঘরমুখো যাত্রীর ভিড় বাড়ছে মহাখালীতে। আজ (শনিবার) সকালেও ভিড় অনেক বেশি ছিল। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভিড় কিছুটা কমেছে।’ গাড়ির সংকট নেই বলেও জানান তিনি।

জল‌সিঁড়ি পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার ফ‌রিদ জানান, এবা‌রের ঈদে যাত্রীর সংখ্যা অনেক কম। রাস্তায় জ্যাম থাকার কারণে অনেকেই ট্রেনকে বেছে নিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

এনা প‌রিবহন কাউন্টার মাস্টার টিটু বলেন, অন্যান্য ঈদে টিকেট বিক্রি করে কূল পেতাম না। অথচ এবার যাত্রীর সংখ্যা বেশ কম। রাস্তায় প্রচুর জ্যাম থাকার কারণে মানুষ বাসে যাওয়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। অনেকেই এখন ট্রেনে যাতায়াত করে।’ এ কারণে এখন পর্যন্ত গাড়ির শিডিউল নিয়ে কোনো জটিলতা তৈরি হয়নি বলেও জানান এই কাউন্টার মাস্টার।

সারাবাংলা/এজেডকে/এমএমএইচ/টিআর

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন