বিজ্ঞাপন

নির্বাচনের বছরে তেল-গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ছে না

December 29, 2017 | 6:39 pm

হাসান আজাদ,স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

ঢাকা : নতুন বছরে জ্বালানি তেল, গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ছে না। জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এমনকি বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত বা শোধিত জ্বালানি তেলের দাম বাড়লেও দেশের বাজারে কোন প্রভাব যাতে না পড়ে সে বিষয়ে আগে থেকেই প্রস্তুতি নেয়ার জন্য জ্বালানি বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। জ্বালানি বিভাগের উর্ব্ধতন এক কর্মকর্তা এতথ্য জানান।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু এ বিষয়ে সারাবাংলাকে বলেন, নতুন বছরে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। তাই নির্বাচনের আগে আমরা জ্বালানি তেল, গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করবো না। সম্প্রতি গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর কারণে জনগনের মধ্যে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। এছাড়া ২০১৮ সালের শেষে অথবা ২০১৯ সালের শুরুতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সুতারাং এই প্রেক্ষিতে দাম সমন্বয়ের কোন সুযোগ নেই।

২০১৮ সালে এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) আমদানী শুরু হবে। এই অবস্থায় গ্যাসের মূল্য সমন্বয় করার কোন চিন্তা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আর্ন্তজাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দামের সঙ্গে এলএনজির দামের আন্ত:সর্ম্পক রয়েছে, এটা ঠিক। কিন্তু আমরা ইতিমধ্যে গ্যাসের দাম সমন্বয় করেছি। ফলে এটা নিয়ে আমরা ভাবছি না। তিনি বলেন, আমরা এলএনজি আনছি নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে গ্যাস সরবরাহের জন্য। আর আমার মনে হয় নতুন বছরে আর্ন্তজাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দামও সহনীয় মাত্রায় থাকবে।

বিজ্ঞাপন

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান, গত এক মাসে আর্ন্তজাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম ব্যারেল প্রতি ১০ ডলার বেড়েছে। এদিকে, গত সেপ্টেম্বরে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান পেট্রোবাংলা এক প্রক্ষেপনে উল্লেখ করেছে , ২০১৮ সালে আর্ন্তজাতিক বাজার থেকে প্রতি মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি ৭ মার্কিন ডলার দামে আমদানী করলে শিল্প কারখানার সরবরাহকৃত গ্যাসের দাম গড়ে এক টাকা ৮৩ পয়সা বাড়াতে হবে। আর সিএনজির ক্ষেত্রে এই দাম দ্বিগুন করতে হবে। বর্তমান মূল্য কিউবিক মিটার ৩২ টাকার স্থলে এই মুল্য দাড়াবে ৫১ টাকা ৭০ পয়সা। বাসাবাড়িতে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম ২ টাকা ১০ পয়সা এবং কর্মাশিয়ালি ব্যবহৃত গ্যাসের দাম বর্তমানের চেয়ে ১৭ টাকা ৯৬ পয়সা বাড়াতে হবে।

এর আগে, গত ১২ ডিসেম্বর জ্বালানিও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব নাজিমউদ্দিন চৌধুরী সারাবাংলাকে বলেছিলেন, আর্ন্তজাতিক বাজারের জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধিতে আমরা উদ্বিগ্ন। আমরা বিষয়টি গভীর পর্যবেক্ষনে রেখেছি। তিনি বলেন, আর্ন্তজাতিক বাজারে অপরশিোধতি জ্বালানি তেলের দাম ৮০ মার্কিন ডলার হলে তা আমাদের জন্য রেড অ্যার্লাট। বিশ্ববাজারে দাম বাড়লে দেশে ভর্তুকি, দাম বৃদ্ধির বিষয়টিও সমানভাবে গুরুত্ব দিতে হবে।

সর্বশেষ এ বছরের ২৩ নভেম্বর বিদ্যুতের খুচরা মূল্য বাড়ায় সরকার। গ্রাহক শ্রেণী নির্বিশেষে প্রতি ইউনিট (কিলোওয়াট) বিদ্যুতের গড় দাম ৩৫ পয়সা বেড়েছে। অর্থাৎ বিদ্যমান দাম ৬ টাকা ৫০ পয়সা থেকে বেড়ে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ৬ টাকা ৮৫ পয়সায় দাঁড়াবে। তবে গ্রাহক শ্রেণী এবং ধাপভেদে এ দাম সাড়ে ৩ টাকা থেকে ১৬ টাকা পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে। চলতি মাস থেকেই বর্ধিত বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে হচ্ছে গ্রাহকদের।

বিজ্ঞাপন

এর আগে ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে বিদ্যুতের দাম ২ দশমিক ৯৩ শতাংশ বাড়ানো হয়। এর আগে ২০১৪ সালের ১৩ মার্চ গ্রাহকপর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়। তখন গড়ে ৬ দশমিক ৯৬ শতাংশ বাড়ানো হয়েছিল।  গত মহাজোট সরকারের ৫ বছরের সময়কালে সাত দফায় বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছিল। ঐ সরকারের আমলে ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে বিদ্যুতের খুচরা দাম ১৫ শতাংশ এবং পাইকারী দাম ১৬ দশমিক ৯ শতাংশ বাড়ানো হয়। ২০০৯ সালের ডিসেম্বরে শুধু পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) গ্রাহকদের বিদ্যুতের মূল্য ৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ বাড়ায়। ২০১০ সালের মার্চে আরইবি ছাড়া অন্যান্য সংস্থার গ্রাহকদের গড়ে ৬ দশমিক ৩২ টাকা শতাংশ দাম বাড়ানো হয়। তৃতীয় দফায় ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ৫ ভাগ খুচরা দাম বাড়ায়। একই বছরের ডিসেম্বর মাসে চতুর্থ দফায় ১৩ দশমিক ২৪ শতাংশ,  পঞ্চম দফায় ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ৭ দশমিক ০১ শতাংশ এবং ষষ্ঠ দফায় ২০১২ সালের ১ মার্চ ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ খুচরা দাম বাড়ানো হয়।

অন্যদিকে, চলতি বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি দুই দফায় গ্যাসের দাম ২২ দশমিক ৭ শতাংশ বাড়ানো হয়। এর আগে সর্বশেষ ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছিল ২৬ শতাংশ হারে। তার আগে ২০০৯ সালে বেড়েছিল ১১ শতাংশ।

সেপ্টেম্বরে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান পেট্রোবাংলার হিসাবে, ২০১৮ সালে আর্ন্তজাতিক বাজার থেকে প্রতি মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি ৭ মার্কিন ডলার দামে আমদানী করলে শিল্প কারখানার সরবরাহকৃত গ্যাসের মূল্য গড়ে এক টাকা ৮৩ পয়সা বাড়াতে হবে। আর সিএনজির ক্ষেত্রে এই দাম দ্বিগুন করতে হবে। বর্তমান মূল্য কিউবিক মিটার ৩২ টাকার বদলে এই মুল্য দাড়াবে ৫১ টাকা ৭০ পয়সা। বাসাবাড়িতে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম ২ টাকা ১০ পয়সা এবং কর্মাশিয়ালি ব্যবহৃত গ্যাসের মূল্য বর্তমানের চাইতে ১৭ টাকা ৯৬ পয়সা বাড়াতে হবে।

এর আগে, গত ১২ ডিসেম্বর জ্বালানিও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব নাজিমউদ্দিন চৌধুরী সারাবাংলাকে বলেছিলেন, আর্ন্তজাতিক বাজারের জ্বালানিতেলের দাম বৃদ্ধিতে আমরা উদ্বিগ্ন। আমরা বিষয়টি গভীর পর্যবেক্ষনে রেখেছি। তিনি বলেন, আর্ন্তজাতিক বাজারে অপিশোধিত জ্বালানিতেলের দাম ৮০ মার্কিন ডলার হলে তা আমাদের জন্য রেড অ্যার্লাট। বিশ্ববাজারে দাম বৃদ্ধি হলে দেশে ভতুর্কি, দাম বৃদ্ধির বিষয়টিও সমানভাবে গুরুত্ব দিতে হবে।

বিজ্ঞাপন

সর্বশেষ এ বছরে ২৩ নভেম্বর বিদ্যুতের খুচরা মূল্য বাড়ায় সরকার। গ্রাহক শ্রেণী নির্বিশেষে প্রতি ইউনিট (কিলোওয়াট) বিদ্যুতের গড় দাম ৩৫ পয়সা বেড়েছে। অর্থাৎ বিদ্যমান দাম ৬ টাকা ৫০ পয়সা থেকে বেড়ে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ৬ টাকা ৮৫ পয়সায় দাঁড়াবে। তবে গ্রাহকশ্রেণী এবং ধাপভেদে এ দাম সাড়ে ৩ টাকা থেকে ১৬ টাকা পর্যন্ত ঠকি করা হয়েছে। চলতি মাস থেকেই বর্ধিত বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে হচ্ছে গ্রাহকদের।

২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে বিদ্যুতের দাম ২ দশমিক ৯৩ শতাংশ বাড়ানো হয়। ২০১৪ সালের ১৩ মার্চ গ্রাহকপর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়। তখন গড়ে ৬ দশমিক ৯৬ শতাংশ বাড়ানো হয়েছিল। গত মহাজোট সরকারের ৫ বছরের সময়কালে সাত দফায় বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়। ঐ সরকারের আমলে ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে বিদ্যুতের খুচরা দাম ১৫ শতাংশ এবং পাইকারী দাম ১৬ দশমিক ৯ শতাংশ বাড়ানো হয়। ২০০৯ সালের ডিসেম্বরে শুধু পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) গ্রাহকদের বিদ্যুতের মূল্য ৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ বাড়ায়। ২০১০ সালের মার্চে আরইবি ছাড়া অন্যান্য সংস্থার গ্রাহকদের গড়ে ৬ দশমিক ৩২ টাকা শতাংশ দাম বাড়ানো হয়। তৃতীয় দফায় ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ৫ ভাগ খুচরা দাম বাড়ায়। একই বছরের ডিসেম্বর মাসে চতুর্থ দফায় ১৩ দশমিক ২৪ শতাংশ,  পঞ্চম দফায় ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ৭ দশমিক ০১ শতাংশ এবং ষষ্ঠ দফায় ২০১২ সালের ১ মার্চ ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ খুচরা দাম বাড়ানো হয়।

অন্যদিকে, এ বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি দুই দফায় গ্যাসের দাম ২২ দশমিক ৭ শতাংশ বাড়ানো হয়। এর আগে সর্বশেষ ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছিল ২৬ শতাংশ হারে। তার আগে ২০০৯ সালে বাড়ে ১১ শতাংশ।

 

সারাবাংলা

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন