বিজ্ঞাপন

‘বাংলাদেশকে রক্ষায় নদীতে ড্রেজিং ছাড়া আর কোনো উপায় নেই’

August 19, 2018 | 1:55 pm

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: নদীতে ড্রেজিং করা ছাড়া বাংলাদেশকে রক্ষা করার আর কোনো উপায় নেই বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার (১৯ আগস্ট) সকালে রাজধানীর প্যানপ্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ঢাকা ওয়াসার ‘দাশেরকান্দি পয়ঃশোধানাগার প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

গত ২৫ আগস্ট ২০১৫ সালে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ‘ঢাকা ওয়াসার দাশেরকান্দি পয়ঃশোধানাগার প্রকল্প অনুমোদন দেয়। প্রতদিন ৫০০ মিলিয়ন লিটার পয়ঃশোধনের ক্ষমতাসম্পন্ন এই প্রকল্পটি খিলগাঁওয়ে নির্মিত হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের তো সময় শেষ, আগামী ডিসেম্বরে ইলেকশন। যদি আগামীতে আসতে পারি, আমার একটা টার্গেট থাকবে, লক্ষ্য থাকবে, প্রত্যেকটি বক্স কালভার্ট উন্মুক্ত করে দেবো আর খালের উপর দিয়ে এলিভেটেড রাস্তা করে দেবো। রাস্তার প্রয়োজন আছে আমি অস্বীকার করি না। আমার রাস্তাও লাগবে। কিন্তু রাস্তাগুলো যদি খালের উপর দিয়ে করে ফেলি তাহলে তো আর সমস্যা থাকলো না। রাস্তাও থাকলো খালও থাকলো। আর পয়ঃনিষ্কাশন ও পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থাও থাকল।’

বিজ্ঞাপন

‘আমাদের ভৌগোলিক অবস্থান এবং প্রাকৃতিক পরিবেশ তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাকে চলতে হবে। আমাদের বন্যা হবে। বন্যার সাথেই আমাদের বসবাস করা শিখতে হবে। মানুষের জীবনমানের যাতে ক্ষতি না হয়, কিন্তু বন্যাকে আমাদের আপন করে নিয়ে সেখানে আমরা মানুষের ক্ষতিগুলো দূর করে মানুষের জীবনমান উন্নত করতে পারি, আমাদের সেই ধরনের পরিকল্পনা নিতে হবে’, বলে উল্লেখ করেন তিনি।

বুড়িগঙ্গা নদীর দূষণের কথা তুলে ধরে শিল্পকলকারখানা ও গৃহস্থালী বর্জ্য নিস্কাষণের জন্য সেখানে দুই রকমের ট্রিটমেন্ট প্ল্যান তৈরি করা দরকার বলে অভিমত ব্যক্ত করেন শেখ হাসিনা।

বিজ্ঞাপন

এছাড়াও যমুনা, ধলেশ্বরী নদী ড্রেজিং করে তুরাগ হয়ে বুড়িগঙ্গা পর্যন্ত যদি আমরা ড্রেজিং করে দিতে পারি, যে প্রকল্পের কাজটা আমরা শুরু করেছিলাম, মাঝখানে একটু বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। আবার সেটা শুরু করেছি। এভাবে যদি আমরা পানির ধারাটা অব্যাহতটা রাখতে পারি তাহলে কিন্তু এই বুড়িগঙ্গা নদীতে আর কোনোরকম দূষণ থাকবে না। পাশাপাশি বালু নদীও ড্রেজিং করে সেখানে পানির প্রবাহ অব্যাহত রাখার প্রয়োজনীতার কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই নদীগুলো ড্রেজিং করাটা আমাদের একান্ত প্রয়োজন। যাতে পানির প্রবাহটাও থাকবে, বৃষ্টির পানি, বন্যার পানি অধিক পরিমাণে যেন আমরা ধরে রাখতে পারি। তাহলেই কিন্তু আমাদের পরিবেশও রক্ষা পাবে আর নদী ভাঙ্গন বা দূষণের হাত থেকেও রক্ষা পাবে। সেভাবেই ব্যবস্থা নিতে হবে। কারণ নদীতে ড্রেজিং করা ছাড়া আমাদের এই দেশকে রক্ষা করার আর কোনো উপায় নেই। সেভাবেই আমাদের পরিকল্পনা নিতে হবে। এরইমধ্যে আমরা আমাদের পয়ঃনিষ্কাষণ ব্যবস্থার জন্য যথেষ্ট ব্যবস্থা নিয়েছি এবং সুয়ারেজ মাস্টার প্ল্যান তৈরি করা হয়েছে। ২০২৫ সালের মধ্যে রাজধানীতে মাস্টার প্ল্যানের আওতায় আধুনিক পয়ঃনিষ্কাষণ ব্যবস্থায় আনা যায় সেই পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি।’

বক্তব্য শেষে প্রধানমন্ত্রীকে প্রকল্পের মডেল ঘুরে দেখান ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাসকিম এ খান। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন চীনা রাষ্ট্রদূত ঝাং জুও, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব জাফর আহমেদ খান।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন: উন্নয়নের ছোঁয়া পাবে নিম্নবিত্তরাও পাবে: প্রধানমন্ত্রী

সারাবাংলা/এনআর/এমও

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন