বিজ্ঞাপন

‘খুনিদের সঙ্গে সংলাপের প্রশ্নই ওঠে না’

August 19, 2018 | 6:54 pm

।। ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ভোলা: বিএনপি’র উদ্দেশে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ‘তারা এখন সংলাপ চায়। কিসের সংলাপ? কার সাথে সংলাপ? খুনিদের সঙ্গে সংলাপের প্রশ্নই ওঠে না। নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী।’

রোববার (১৯ আগস্ট) দুপুরে ভোলা সরকারি কলেজে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘২০১৪ সালে সংলাপের জন্য খালেদা জিয়াকে গণভবনে দাওয়াত দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু তিনি তা প্রত্যাখান করেছিলেন। খালেদা জিয়ার ছেলে কোকো মারা যাওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু তারা দরজা বন্ধ করে দিয়েছিল। ২০১৪ সালে বিএনপি নির্বাচন না করে ভুল করেছিল। আবার যদি নির্বাচন না করে, তাহলে বিএনপির হবে রাজনৈতিক আত্মহত্যা। এই দলটির অস্তিত্ব ভবিষ্যতে কেউ খুঁজে পাবে না।’ তবে এবারের নির্বাচনে বিএনপি আসবে বলে মনে করছেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘পাকিস্তানিরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করতে পারেনি। খুনি মোশতাক ও খুনি জিয়া বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে। যারা বঙ্গবন্ধুকে খুন করেছে, তাদের জিয়াউর রহমান বিভিন্ন স্থানে চাকরি দিয়েছে। তার স্ত্রী খালেদা জিয়া খুনিদের সংসস সদস্য করেছেন। জিয়াউর রহমান ইনডেমিনিটি অর্ডিন্যান্স জারি করেছেন, যেন খুনিদের বিচার না হয়। কিন্তু সেটা আমরা বাতিল করে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার শুরু করেছিলাম। কিন্তু ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসে সেই বিচার বন্ধ করে দেয়। তার মানে জিয়া ও ষড়যন্ত্রকারীরা চাইত না বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হোক। তা না হলে জিয়ার স্ত্রী খালেদা খুনিদের জাতীয় সংসদের সদস্য বানিয়ে তাদের গাড়িতে পতাকা তুলে দিত না।’

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সিনিয়র এই নেতা বলেন, ‘২০০১ সালের নির্বাচনের পর ভোলায় অমানবিক নির্যাতন হয়েছে। মানুষের গরু পর্যন্ত পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এমন কোনো আওয়ামী লীগ নেতকর্মী ছিল না যাদের অত্যাচার করেনি বিএনপি। তারা যদি আবার ক্ষমতা পায় বাংলাদেশে লাখ লাখ লোক হত্যা করবে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ উন্নয়নের শিখরে অবস্থান করছে। আন্তর্জাতিক বিশ্বে দেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল।’

বিজ্ঞাপন

অনুষ্ঠানে ভোলা সরকারি কলেজে একটি অডিটোরিয়াম ও মহিলা হোস্টেল নির্মাণের ঘোষণা দেন বাণিজ্যমন্ত্রী। এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘ভোলা-বরিশাল সেতু হবে। নদী ভাঙন রোধে আরও পাঁচশ কোটি টাকা বরাদ্ধ একনেকে পাসের জন্য যাবে। ভোলায় সার কারখানা হবে। ভোলার গ্যাস থেকে সার কারখানা ও অনেক বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। ভোলাকে উন্নয়নের রোল-মডেলে রূপান্তর করেছি। ভোলা হবে বাংলাদেশের সিঙ্গাপুর।’ এর আগে মন্ত্রী ভোলা সরকারি কলেজের বিজ্ঞান, বাণিজ্য ও প্রশাসনিকসহ চারটি নতুন ভবন উদ্বোধন করেন।

পরে মন্ত্রী ভোলা সদর উপজেলা পরিষদের আয়োজনে মাধ্যমিক ও দাখিল পর্যায়ের দরিদ্র ও মেধাবী ২৬৭ শিক্ষার্থীর মধ্যে শিক্ষাবৃত্তি বিতরণ করেন।

ভোলা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর পারভিন আখতারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ভোলা সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মোশারেফ হোসেন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান মো. ইউনুস, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি গোলাম মোস্তফা, যুগ্ম সম্পাদক জহিরুল ইসলাম নকিব, সাংগঠনিক সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লবসহ অন্যরা।

সারাবাংলা/টিআর

বিজ্ঞাপন

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন