বিজ্ঞাপন

মুক্তবাণিজ্য ইস্যু গুরুত্ব পাবে বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে

August 21, 2018 | 5:08 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: সদস্য দেশগুলোর অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিমসটেকের (দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ৭ রাষ্ট্রের জোট) আগামী শীর্ষ সম্মেলনে মুক্তবণিজ্য ইস্যু গুরুত্ব পাবে। এ ছাড়া এই অঞ্চলের নিরাপত্তা নিশ্চিতে চরমপন্থা ও সন্ত্রাস নির্মূল এবং রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিমসটেকের শীর্ষ সম্মেলনে আলোচনা করা হবে বলে জানা গেছে একাধিক কূটনৈতিক সূত্রে।

আগামী ৩০ ও ৩১ আগস্ট নেপালের কাঠমাণ্ডুতে বিমসটেকের চতুর্থ শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী টিসেরিঙ টোবগে, মিয়ানমারের রাষ্ট্রপতি উইন মিন্ট, নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি ওলি, শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি মিথিরপালা সিরিসেনা এবং থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী প্রেউথ চান-ওচা অংশ নেবেন।

এদিকে, ভারতীয় গণমাধ্য ‘দ্য হিন্দু’ জানিয়েছে, ভারতীয় বণিক সমিতির (এফআইসিসিআই) উদ্যোগে গত ২০ আগস্ট (সোমবার) বিমসটেকের আসন্ন শীর্ষ সম্মেলনকে কেন্দ্র করে ‘বিমসটেক এম্বাসেডরস প্যানেল ডিসকাশন’ শীর্ষক একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। ওই সেমিনারে বিমসটেকের সদস্যদেশগুলোর রাষ্ট্রদূতরা অংশ নেন।

বিজ্ঞাপন

উন্নয়নের গতি তরান্বিত করতে বিমসটেকের সদস্যদেশগুলোর মধ্যে মুক্তবাণিজ্য চুক্তি প্রয়োজন বলে সেমিনারে অংশ নেওয়া রাষ্ট্রদূতদের সকলেই মত প্রকাশ করেন। রাষ্ট্রদূতরা বলেন, আসন্ন বিমসটেক সম্মেলনে মুক্তবাণিজ্য চুক্তির বিষয়টি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাওয়া উচিত।

ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী বলেন, ‘২০০৪ সালে বিসমটেক সদস্য রাষ্ট্রগুলো মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির বিষয়ে একমতে পৌছলেও এখনো এই বিষয়ে কোনো অগ্রগতি নেই। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। অথচ এই প্ল্যাটফর্মের সুবিধা নিয়ে সদস্যদেশগুলোর মধ্যে বর্তমান চলমান ৭ শতাংশ আন্তঃবাণিজ্যের হারকে ২১ শতাংশে উন্নীত করা সম্ভব।’

বিমসটেকের আসন্ন শীর্ষ সম্মেলনে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির বিষয়ে কোনো অগ্রগতি হবে কি না সন্দেহ প্রকাশ করে ভারতে নিযুক্ত শ্রীলংকার হাইকমিশনার চিত্রাঙ্গণ ওয়াজিসওরা বলেন, ‘২০০৪ সালে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির কাঠামোগত বিষয়ে আমরা একমতে পৌছেছি। এরপর মাত্র ২টি সদস্য রাষ্ট্র ভারত এবং শ্রীলঙ্কা নিজেদের মধ্যে এই চুক্তি করতে পেরেছে। কিন্তু সদস্য দেশগুলোর ৭টি রাষ্ট্রের মধ্যে এই চুক্তি করা সহজ হচ্ছে না।’

বিজ্ঞাপন

ভারতে নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত মো কিওয়াউ অঙ বলেন, ‘এই অঞ্চলের সদস্যদেশগুলোর জন্য নিরাপত্তা একটি উল্লেখযোগ্য বিষয়। এই বিষয়েও আমাদের মনোযোগ দেয়া প্রয়োজন।’

জানা গেছে, চলতি বছর বিমসটেক ২১ বছরে পদার্পণ করছে। ওই সম্মেলনের শেষদিনে (৩১ আগস্ট) দুই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং নরেন্দ্র মোদির মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

আসন্ন বিমসটেক সম্মেলন নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক বার্তায় বলেন, ‘বিমসটেক ২১ বছর উদযাপনে এই অঞ্চলের নেতা এবং নাগরিকদের অভিনন্দন জানাই। আমাদের পাস্পরিক বন্ধুত্ব এবং সহযোগিতা আরও সমৃদ্ধ এবং শক্তিশালী হবে বলেই বিশ্বাস করি। বিমসটেক এই অঞ্চলের উন্নয়নে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাবে।’

সারাবাংলা/জেআইএল/এমআই

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন