বিজ্ঞাপন

রাজধানীর বিনোদন কেন্দ্রগুলো যেন মিলনমেলা

August 23, 2018 | 2:41 pm

।। আরিফুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: ঈদুল আজহার দ্বিতীয় দিনেও রাজধানীর বিনোদন কেন্দ্রগুলো হয়ে উঠেছে নানা বয়সী মানুষের মিলনমেলা। রাজধানীর শিশুপার্ক, চিড়িয়াখানা, বোটানিক্যাল গার্ডেন, চন্দ্রিমা উদ্যান, বঙ্গবন্ধু নভোথিয়েটারসহ, রমনা পার্ক, আহসান মঞ্জিল, লালবাগ কেল্লা ও জাতীয় জাদুঘরের মতো স্থানগুলোতে সকাল থেকেই ভিড় করছে দর্শনার্থীরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই ভিড় আরও বাড়ছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ আগস্ট) সকাল থেকেই শিশুদের কলকাকলিতে মুখর ছিল শিশুপার্ক, চিড়িয়াখানা। অভিভাবকদের সঙ্গে বেড়াতে আসা এসব শিশুরা মাতিয়ে তোলেন এসব স্থান। রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা মানুষের এই ঢল সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিনোদন কেন্দ্রগুলোর দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা।

বিজ্ঞাপন

আমিন বাজার থেকে চিড়িয়াখানা ঘুরতে এসেছেন রহিম মিয়া। তিনি সারাবাংলাকে বলেন, ‘কাল কুরবানির কাজে ব্যস্ত থাকায় পরিবার নিয়ে কোথাও বের হতে পারিনি। সে কারণে আজ (বৃহস্পতিবার) সকাল সকাল সবাইকে নিয়ে এসেছি চিড়িয়াখানায়।’ আগামীকাল শুক্রবার তারা আহসান মঞ্জিল ঘুরতে যাবেন বলে জানালেন।

সরোজমিনে দেখা যায়, চিড়িয়াখানা আর শিশুপার্কে মানুষের ভিড় ছিল সবচেয়ে বেশি। শিশুদের সঙ্গে আসা বড়রাও বয়স ভুলে যেন মেতে উঠেছেন আনন্দে।

বিজ্ঞাপন

বোটানিক্যাল গার্ডেনে ঘুরতে আসা আসিক খানের সঙ্গে কথা হয় দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে। তিনি সারাবাংলাকে বলেন, ‘সকালে চিড়িয়াখানা ঘুরে শেষে এখন বোটানিক্যাল গার্ডেনে ঘুর এসেছি। এখান থেকেই বাসায় ফিরব। বিকেলে কোথায় যাওয়া যায় ভাবছি। এমনিতে তো বাচ্চাদের নিয়ে খুব বেশি বের হতে পারি না। এই ঈদের সময়ে ওদের সঙ্গে নিয়ে ঘুরতে খুব ভালো লাগছে।’

পরিবার নিয়ে ঘুরতে বের হওয়া অনেককেই দেখা গেল, দুপুরের খাবার সঙ্গে নিয়েই এসেছেন। সুবিধামতো সবাই একসঙ্গে বসে খেয়ে নিচ্ছেন। যারা খাবার নিয়ে আসতে পারেননি, তারা পথেই কোনো খাবারের দোকানে বসে পড়ছেন সবাই মিলে। কেউ কেউ অবশ্য খাওয়া নিয়ে চিন্তা করছেন না মোটেই। বরং যতটাসম্ভব ঘুরে-ফিরে দেরিতে হলেও বাসায় গিয়েই খাবেন বলে জানালেন এই প্রতিবেদককে।

এদিকে, ঢাকার সিনেমা হলগুলোতেও তুলনামূলক মানুষের আনাগোনা বেড়েছে। দুপুরের দিক থেকে সিনেমা শো দেখার জন্য বের হয়েছেন অনেকেই। কেউ কেউ আবার এখন এসে টিকেট কেটে নিয়ে যাচ্ছেন। আরেকটু ঘুরে বিকেল বা সন্ধ্যার শো’তে তারা সিনেমা দেখবেন। রাজধানীর মধুমিতা, বলাকা, শ্যামলীসহ বসুন্ধরা সিটির সিনেপ্লেক্স এবং যমুনা ফিউচার পার্কের ব্লকবাস্টার ঘুরে দেখা গেল এমন চিত্র।

বিজ্ঞাপন

আবার সকালের দিকে ফাঁকা থাকলেও বেলা গড়াতে না গড়াতে হাতিরঝিলও লোকে লোকারণ্য হয়ে উঠতে থাকে। বিনোদন কেন্দ্র বা সিনেমা হলে না গিয়ে কেউ কেউ হাতিরঝিলে খোলা আকাশের নিচে একটু শ্বাস নেওয়ার মাধ্যমেই ঈদের ছুটির স্বস্তি উপভোগ করছেন।

এছাড়াও রমনা পার্ক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি), বেইলি রোড, জাতীয় সংসদের সামনে মানিক মিয়া এভিনিউ, ধানমন্ডি লেক, উত্তরায় বিমানবন্দরের পেছনের এলাকাসহ খোলামেলা প্রতিটি জায়গাতেই দেখা গেছে মানুষের ভিড়। বিকেল-সন্ধ্যা নাগাদ এসব জায়গায় মানুষের ভিড় আরও বাড়বে। এত মানুষের উপচে পড়া ভিড়ের মধ্যেও সবার পরনে নতুন জামা আর শিশুদের হাতে বেলুন-বাঁশি কিংবা খেলনা বলে দিচ্ছে ইট-কাঠের নগরীতে সামান্য একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলার জন্য মানুষ কতটা মুখিয়ে থাকে।

সারাবাংলা/এআই/টিআর

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন