বিজ্ঞাপন

পাহাড়-ঝরনা ও সবুজের টানে

August 23, 2018 | 6:10 pm

।। মো. ইসহাক, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট।।

বিজ্ঞাপন

বান্দরবান: প্রকৃতির সঙ্গে ঈদ আনন্দকে আনন্দময় করে তুলতে পাহাড়ি কন্যা বান্দরবানে ভিড় জমাতে শুরু করেছেন পর্যটকেরা। ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের পদভারে মুখরিত হয়ে উঠেছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমির পর্যটন স্পটগুলো।

দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পর্যটকরা ছুটে এসেছেন পাহাড়, ঝিরি-ঝরনা আর সবুজ-শ্যামল প্রকৃতির টানে। বান্দরবানের নয়নাভিরাম বিস্তৃত প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হচ্ছেন পর্যটকরা।

বিজ্ঞাপন

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ভরপুর পর্যটন স্পট, সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে থাকা দিগন্ত ছুঁয়ে যাওয়া হাজারো পাহাড়ের নয়নাভিরাম দৃশ্যও অনায়াশে ভেসে চলা মেঘের ভেলায় বহুমাত্রায় সমৃদ্ধ করেছে পাহাড়ি কন্যা বান্দরবানের সৌন্দর্যকে। প্রাকৃতিক অপরূপ সৌন্দর্য ও ১১টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের আদি বৈচিত্র্যময় জীবনযাত্রা এবং সংস্কৃতির কারণে বান্দরবানে দিন দিন পর্যটকদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। অপরূপ সৌন্দর্য্যে কারণে সারা বছরেই দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আনাগোনা লেগেই থাকে বান্দরবানে।

ঈদসহ সরকারি নানা ছুটির দিনগুলোতে প্রাকৃতিকভাবে গড়ে উঠা পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে পর্যটকদের উপচেপড়া ভিড় লেগে যায়। এবারের ঈদেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি।

বিজ্ঞাপন

বান্দরবানের টুরিস্ট পুলিশ জানায়, পর্যটকরা যেন নিরাপদে ও ভালোভাবে আনন্দ-ভ্রমণ করতে পারে সে জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে এবং পর্যটক হয়রানির কোনো অভিযোগ পাওয়া গেলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

প্রতিবছর ঈদের ছুটিতে প্রকৃতির মাঝে একটু হারিয়ে যেতে বান্দরবানে আগমন ঘটে ভ্রমণপিপাসু হাজারো পর্যটকের। পাহাড়ের চূড়ায় গড়ে তোলা নীলাচল, নীলগিরি এবং নীল দিগন্ত পর্যটন স্পটে অতিথিপরায়ণ মেঘ ভিজিয়ে দিয়ে যাচ্ছে পর্যটকদের শরীর। নীলাচল ও নীলগিরি পর্যটন স্পটে গেলে দেখা যায় মেঘ দল বেঁধে উড়ে চলে যাচ্ছে অজানার উদ্দেশ্যে। আর শৈলপ্রপাত, রিঝুক ঝরনা এবং কিংবদন্তি বগালেকের স্বচ্ছ শীতল পানিতে গা ভাসাচ্ছেন হাজারো পর্যটক।

বিজ্ঞাপন

এছাড়াও পাহাড়ের সাথে মেঘের মিতালী এবং লুকোচুরি খেলার দৃশ্য দেখে মুগ্ধ হচ্ছেন পর্যটকরা। পর্যটনের অফুরন্ত সম্ভাবনাময় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভুমি বান্দরবানে রয়েছে অসংখ্য পর্যটন স্পট। এ জেলায় রয়েছে দেশের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ বিজয়, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ কেউক্রাডংসহ অসংখ্য পাহাড়। রয়েছে বাংলার দার্জিলিংখ্যাত চিম্বুক, নীলগিরি, যেখানে অনায়াসে মেঘের ছোঁয়া পাওয়া যায়। এছাড়া রিঝুক ঝর্ণা নিজস্ব গতিতে সব মৌসমেই থাকে সচল।

জেলা সদরেই রয়েছে মেঘলা, নীলাচল, প্রান্তিক লেক, স্বর্ণ জাদি। নীলাচলে দাঁড়ালে পাহাড় আর আকাশের মিতালী, দুরে সবুজ বন কিংবা চট্রগ্রামের সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্য আবছা আবছা উপভোগ করা যায়। পাহাড় থেকে শহরের সৌন্দর্য বিমোহিত করে পর্যটকদের। বৌদ্ধ ধাতু জাদি বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের তীর্থ স্থান হলেও পাহাড়ের উপর সুন্দর কারুকার্য ও স্বর্ণাভরণে তৈরি হওয়ায় এটিও পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় স্পট হিসেবে প্রাধান্য পেয়েছে।

বান্দরবানের রুমা উপজেলায় রয়েছে দেশের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ বিজয়,এটি তাজিংডং নামেই পরিচিত। একই সড়কে ১৫ কি. মি. গেলে দেখা যায় কিংবদন্তি বগা লেক। এটি পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয় স্পট।

এছাড়াও এই জেলায় মারমা, ত্রিপুরা, মুরুং, বম, তঞ্চঙ্গ্যা, খুমি, খেয়াং, পাংখোয়া, চাকমা, চাক, লুসাই, বাঙ্গালীসহ ১২টি আদিবাসী সম্প্রদায় বসবাস করে। দেশের অন্য কোন জেলায় এত আদিবাসীর বসতি নেই। আদিবাসীদের বৈচিত্রময় জীবনচিত্র মানুষের মনকে উৎফুল্ল করে তোলে। বান্দরবানে যেদিকে চোখ যায় দেখা মিলবে এ পাহাড়ি সমুদ্রের।

সারাবাংলা/একে

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন