বিজ্ঞাপন

‘অনিয়ম ও দুর্নীতির কেন্দ্র জ্বালানি ও বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়’

August 25, 2018 | 6:22 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: ‘জ্বালানি ও বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় এখন অনিয়ম ও দুর্নীতির একটি বড় কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এদের ভূমিকায় শুধু সম্পদ লুণ্ঠিত হচ্ছে না, ভয়াবহ দুর্নীতি বাংলাদেশের নদী-বন-মানুষ বিনাশে রেকর্ড করে চলেছে, বারবার গ্যাস বিদ্যুতের দামও বাড়ছে একই কারণে।’

শনিবার (২৫ আগস্ট) তেল-গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লল্লাহ এবং সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ এক যুক্ত বিবৃতিতে এসব কথা বলেছেন।

তারা বলেন, ‘বড়পুকুরিয়ায় বিশাল পরিমাণ কয়লা লুণ্ঠনের ঘটনা চাপা দিয়ে রাখার অবস্থা ছিল না বলে এখন তার খবর সবার জানা। আমাদের অনুসন্ধান বলছে, আরো বহুভাবে এখানে দুর্নীতি সংগঠিত হয়েছে এবং তার সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারাও জড়িত আছেন।
প্রকৃতপক্ষে বড়পুকুরিয়ার দুর্নীতি জ্বালানি ও বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের সামগ্রিক বহুমুখী দুর্নীতির তুলনায় খুবই ক্ষুদ্র একটি অংশ।’

বিজ্ঞাপন

গ্যাস খাতের দুর্নীতির কারনে গ্যাস সংকটে ভুগছে সাধারণ নাগরিক ও বহু শিল্প প্রতিষ্ঠান উল্লেখ করে তারা বলেন, ‘এলএনজি ও এলজিপিসহ নানা চুক্তি দুর্নীতি ও কমিশন নির্ভর হবার কারণে গ্যাস অনুসন্ধান বিপর্যস্ত করা হয়েছে। মাগুড়ছড়া ও টেংরাটিলা গ্যাসক্ষেত্রে বিস্ফোরণের কারণে মার্র্কিন ও কানাডার কোম্পানির কাছে বাংলাদেশের প্রাপ্য ৪০ হাজার কোটি টাকা এখনও আদায় হয়নি মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতির কারণেই।’

বিবৃতিতে তারা আরও বলেন, ‘সুন্দরবন বিনাশী রামপাল প্রকল্প প্রথম থেকেই অনিয়ম ও দুর্নীতিতে ভরা। এই প্রকল্পের সাথে যোগ হয়েছে দুর্নীতির মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় আইন ভেঙ্গে সুন্দরবন সীমানায় শত শত প্রকল্প অনুমোদন দেয়া। ইআইএ ছাড়াই বরগুনায় কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প করে আরেকটি সমৃদ্ধ অঞ্চলকে বিপর্যস্ত করা হচ্ছে। মাতারবাড়ী ও বাঁশখালীতে দুর্নীতি ও অনিয়মের সীমা নেই। দুর্নীতির কারণে এখনও খুনি জালিয়াত এশিয়া এনার্জিকে দেশ থেকে বিতাড়ন না করে ফুলবাড়ী নিয়েও নানা চক্রান্ত চালানো হচ্ছে।’

সারাবাংলা/এএইচএইচ/এমও

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন