বিজ্ঞাপন

বাক প্রতিবন্ধী বলে দায়িত্ব নিতে চায়নি থানা, খোঁজ মিলেছে পরিবারের

August 26, 2018 | 9:03 pm

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: খোঁজ মিলেছে কলাবাগান থানায় থাকা বাক প্রতিবন্ধী রাশাদের পরিবারের। তার বাবার নাম কামাল বিল্লাহ, মায়ের নাম ইশরাত জাহান ছিদ্দিকা। তারা মিরপুর ১৩-তে ন্যাম গার্ডেনে সপরিবারে থাকেন। খবর পেয়ে বাবা-মা থানায় অাসেন ছেলেকে নিতে।

রোববার (২৬ আগস্ট) দুপুর সোয়া ২টার দিকে রাজধানীর আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী আশিকা বিনতে আজহার ধানমন্ডি ৮ নম্বর রোডের একটি বাসার নিচ থেকে রাশাদকে উদ্ধার করে কলাবাগান থানায় নিয়ে আসেন।

বাক প্রতিবন্ধী হওয়ায় দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করে ওই থানায় দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মকর্তা। থানা রাশাদের দয়িত্ব নিতে না চাওয়ায় বিপাকে পড়েন আশিকা। পরে এক সমাজকর্মীও আসেন। সে সময় ফেসবুকে রাশাদের পরিবারের দেওয়া একটা পোস্ট দেখতে পান আশিকা। এরপর ফেসবুকে দেওয়া নম্বরে ফোন করে নিশ্চিত হন তার পরিবার সম্পর্কে। এরপর রাশাদের পরিবার আসেন রাশাদকে নিতে।

বিজ্ঞাপন

আশিকা সারাবাংলাকে বলেন, রাশাদের মুভমেন্ট দেখেই বুঝতে পেরেছি যে, ও প্রতিবন্ধী। ও নিশ্চয়ই হারিয়ে গেছে। তাই আরেক বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে তাকে থানায় নিয়ে আসি। কিন্তু থানা পুলিশ রাশাদকে নিতে চায়নি। ৬ বছরের নীচে হলে ওনারা নেবেন না হলে তাকে সমাজকল্যাণ অফিসে দিয়ে আসতে বলে থানার ডিউটি অফিসার।

আশিকা বিপাকে পড়ে যান। ফেসবুকে একটা পোস্ট দিতে গিয়ে রাশাদের মায়ের পোস্ট দেখতে পান। সেখানে দেওয়া মোবাইল নম্বরে কল করে নিশ্চিত হন রাশাদের ব্যাপারে।

খবর পেয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ছুটে আসেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরীর পিএস ও উপসচিব কামাল বিল্লাহ।

বিজ্ঞাপন

উপসচিব কামাল বিল্লাহ সারাবাংলাকে বলেন, প্রত্যেক মানুষেরেই প্রতিবন্ধীদের কল্যানার্থে এগিয়ে আসা দরকার। থানা পুলিশ কেন নিতে চায়নি তা জানি না। ওসি ইয়াসীর আরাফাত তাকে বলেছেন, ওপর থেকে নিষেধ করা হয়েছে। এরকম কাউকে নিলেই বিপদে পড়তে হয়।

তিনি আরও বলেন, গতকাল রাত সাড়ে ৮টার দিকে ন্যাম ভবনের বাসা থেকে রাশাদ ও তার বড়ভাই ফাইয়াদ নিচে নামলে রাশাদ তাকে ধাক্কা দিয়ে দৌড় দেয়। এরপর আর তাকে পাওয়া যায়নি। পরে কাফরুল থানায় ফোন জিডি করে আজ পোস্টারিং করা হয়। বিভিন্ন টেলিভিশনে হারানো বিজ্ঞপ্তি প্রচার করা হয়। আশিকা মেডিকেল স্টুডেন্ট ও অটিজম নিয়ে পড়াশুনা করেছেন তাই তিনি রাশাদকে দেখেই বুঝতে পেরেছেন। তার হাতে পড়াতে তাড়াতাড়ি পেয়েছি। হয়তো তার হাতে না পড়লে অন্য কিছু ঘটতে পারতো কারণ ওর শরীরে অনেক শক্তি। যেই কাছে আসত তাকেই মারধর করতো।

ওসি ইয়াসীর আরাফাত সারাবাংলাকে বলেন, এ ধরনের কেসের ক্ষেত্রে বড় বিপদে পড়তে হয়। আদালতে নিলে সেখানে রাখা হয় না, ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে নিয়ে গেলে সেখানে রাখতে চায় না। আবার সমাজকল্যাণ অধিদফতরের কাজ এটা তাদের কাছে গেলে হয় অফিস বন্ধ পাওয়া যায়, অথবা লোক থাকে না। আবার তারাও নিতে অপরাগতা প্রকাশ করে। অথচ তাদের কাজ এটা।

সারাবাংলা/ইউজে/এমআই

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন