বিজ্ঞাপন

পোশাক কারখানায় ২২ শতাংশ নারী শ্রমিক যৌন হয়রানির শিকার

August 27, 2018 | 9:18 pm

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: পোশাক কারখানায় ২২ শতাংশ নারী শ্রমিক যৌন হয়রানির শিকার। শুধুমাত্র সুপারভাইজার দ্বারাই যৌন হয়রানির শিকার হন ৮৬ শতাংশ নারী শ্রমিক। ৬৮ শতাংশ নারী শ্রমিকের মতে, তাদের কর্মক্ষেত্রে বিদ্যমান থাকা যৌন নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি অনেক ক্ষেত্রেই অকার্যকর। আর ১১ শতাংশ নারী শ্রমিকই মনে করেন, তারা কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তাহীন।

সোমবার (২৭ আগস্ট) রাজধানীর ডেইলি স্টার সেন্টারে গার্মেন্টস সেক্টরে লিঙ্গভিত্তিক হয়রানি বিষয়ক এক সেমিনারে এসব তথ্য জানানো হয়। বাংলাদেশ লিগাল এইড সার্ভিস (ব্লাস্ট), ব্র্যাক, খ্রিস্টান এইড, নারীপক্ষ এবং এসএনভি এর যৌথ উদ্যোগে ওই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

৩৮২টি কারখানার নারী শ্রমিকদের ওপর জরিপ করে সজাগ নামের ওই সংগঠনটি জানায়, প্রতি একশ জনে ২২ জন নারী শ্রমিক এখানে যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছেন। সহিংসতা প্রতিরোধ কমিটির কাছে এসব নির্যাতনের বিচার চেয়েও তা পায়নি প্রতি একশ জনে ৬৬ জন। শুধু শারিরীক নয় এসব নারী শ্রমিকরা মানসিক নির্যাতনেরও শিকার হচ্ছেন। আর অনেক সময় এসব জানার পরও মালিকপক্ষ নির্বিকার থাকেন। জরিপের তথ্য তুলে ধরে আরও বলা হয়, পোশাক কারখানায় নারী শ্রমিকেরা নানাভাবে নির্যাতিত হলেও এর কোনো বিচার হয় না।

বিজ্ঞাপন

সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব (আইন) বেগম মোরশেদা হাই বলেন, পোশাক কারখানায় নারী শ্রমিকের কর্মপরিবেশ পুরোপুরি হয়রানিমুক্ত করতে সচেতনতা তৈরির কোনো বিকল্প নেই। গার্মেন্টস সেক্টরে নারী শ্রমিকদের উপযোগী পরিবেশ তৈরির জন্য কাজ করছে সরকার। শিশুশ্রম বন্ধ, শিল্প সেক্টরের কর্মপরিবেশ উন্নয়ন, ডে কেয়ার এবং মাতৃত্বকালীন সুবিধাসহ সরকারি উদ্যোগে বিভিন্ন কারখানায় ৪ হাজার ২২৪টি ডে কেয়ার স্থাপন করেছে।

ডেভলপমেন্ট অব ইন্সপেকশন ফর ফ্যাক্টরিস অ্যান্ড এস্টাবলিশমেন্ট-এর যৌথ পরিদর্শক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, শ্রমিকদের বেশি বেশি কাজের চাপ দিলেই উৎপাদন বাড়বে এমন চিন্তা ভাবনা থেকে মালিকদের বেরিয়ে আসা উচিৎ। কারণ অতিরিক্ত চাপের ফলে উৎপাদন বৃদ্ধি পায় না।

এ ছাড়াও নারীদের কর্মপরিবেশ তৈরির জন্য পরিবহন ব্যবস্থা, অভিযোগ ব্যবস্থা সহজীকরণ এবং মাতৃত্বকালীন ছুটির মেয়াদ বাড়ানোর উপর জোর দেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন খ্রিস্টান এইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর শাকিব নবী, বাংলাদেশ এসএনভি নেদারল্যান্ডস ডেভলপমেন্ট অরগানাইজেশনের কান্ট্রি ডিরেক্টর জেস বেলানগর, নারী পক্ষের প্রকল্প পরিচালক রওশন আরাসহ অনেকে।

সারাবাংলা/ইএইচটি/এমআই

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন