বিজ্ঞাপন

কয়লা দুর্নীতি: পেট্রোবাংলার ৮ কর্মকর্তাকে দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ

August 28, 2018 | 2:04 pm

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট।। 
ঢাকা: বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির দুর্নীতি অনুসন্ধানে পেট্রোবাংলার ৮ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার (২৮ আগস্ট) সকাল সাড়ে নয়টা থেকে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুদক গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান ও উপ পরিচালক শামছুল আলম। সংস্থাটির জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য সারাবাংলাকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার দুদকের মুখোমুখি হয়েছেন পেট্রোবাংলার মহাব্যবস্থাপক (মাইন অপারেশন) আবু তাহের মো. নুরুজ্জামান চৌধুরী; উপমহাব্যবস্থাপক এ কে এম খালেদুল ইসলাম; উপব্যবস্থাপক (মেইনটেনেন্স অ্যান্ড অপারেশন) মোরশেদুজ্জামান; উপব্যবস্থাপক (প্রোডাকশন ম্যানেজমেন্ট) হাবিবুর রহমান; উপব্যবস্থাপক (মাইন ডেভেলপমেন্ট) জাহেদুর রহমান; উপব্যবস্থাপক (ভেন্টিলেশন ম্যানেজমেন্ট) সত্যেন্দ্রনাথ বর্মণ; ব্যবস্থাপক (নিরাপত্তা) সৈয়দ ইমাম হাসান ও উপমহাব্যবস্থাপক (মাইন প্ল্যানিং অপারেশন) জোবায়ের আলীকে।

এর আগে গত ১৩ আগস্ট পেট্রোবাংলার মহাব্যবস্থাপক পর্যায়ের কর্মকর্তাসহ ৩২ জনকে তলব করে চিঠি দেয় দুর্নীতি দমন কমিশন। এর মধ্যে ১৬ আগস্ট সাত জন, ২৮ আগস্ট আট জন, ২৯ আগস্ট আট জন ও ৩০ আগস্ট বাকি ৯ জনকে পর্যায়ক্রমে দুদকে হাজির হতে বলা হয়।

বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির দুর্নীতি মামলায় দুদকের অভিযোগের সংক্ষিপ্ত বিবরণীতে বলা হয়েছে, পরস্পর যোগসাজশে অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ করে ১ লাখ ৪৪ হাজার ৬৪৪ মেট্রিক টন কয়লা আত্মসাতের ঘটনা ঘটেছে। এসব কয়লার অনুমানিক মূল্য ২৩০ কোটি টাকা।

বিজ্ঞাপন

এর আগে, কয়লা গায়েবের ঘটনা দুর্নীতির অনুসন্ধানে গত ২৩ জুলাই তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করে দুদক। দুদকের উপপরিচালক শামছুল আলমকে প্রধান করে গঠিত এই তদন্ত কমিটির বাকি দুই সদস্য হলেন— সহকারী পরিচালক এ এস এম সাজ্জাদ হোসেন ও উপসহকারী পরিচালক এ এস এম তাজুল ইসলাম। আর তদন্ত এই কমিটির সার্বিক তত্ত্বাবধানে রয়েছেন দুদকের পরিচালক কাজী শফিক।

পরে কয়লা আত্মসাতের ঘটনায় গত ২৪ জুলাই বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মোহাম্মদ আনিছুর রহমান বাদী হয়ে মামলা করেন। পরে দুদক এই মামলার তদন্ত শুরু করে।

সারাবাংলা/ইএইচটি/জেএএম

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন