December 30, 2017 | 5:11 pm
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
আপাতত জাতীয় দলের কোচের পদটা শুন্য। ‘টেকনিক্যাল ডিরেক্টরের’ ভূমিকায় আপাতত অভিভাবকের কাজটা করছেন খালেদ মাহমুদ সুজন। এর মধ্যে পেসারদের নিয়ে তার ক্লাসও শুরু করে দিয়েছেন। সেই ক্লাসে আছেন তাসকিন আহমেদ। খালেদ মাহমুদের কাছ থেকে পাওয়া শিক্ষার কথাও সবিস্তারে বললেন আজ।
জাতীয় দলে আনুষ্ঠানিকভাবে কদিন আগে শুরু হলেও খালেদ মাহমুদের সঙ্গে আগেও অনেক কাজ করেছেন তাসকিন। মিরপুরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হওয়ার সময় সে কথাই মনে করিয়ে দিলেন বাংলাদেশের এই পেসার, ‘সুজন স্যারের সঙ্গে আমরা বোলাররা যারা আছি তারা ছোটবেলা থেকেই কাজ করছি। কারণ তিনি জানেন কার কী শক্তি। আমার যেটা ন্যাচারাল ইনকাটারটা ছিল, সাউথ আফ্রিকাতে আউটস্যুয়িং নিয়ে বেশি কাজ করতে গিয়ে হয়তো মূল শক্তির জায়গায় ফোকাস করা হয়নি। এখন আবার সেটা করছি। সুজন স্যার ওখানেই ফোকাস করাচ্ছে। আশা করি ঠিক হয়ে যাবে।’
আপাতত জায়গায় বল ফেলাটাই তাই তাসকিনের কাছে অগ্রাধিকার, ‘আমরা আসলে স্কিল নিয়ে ড্রিল করছিলাম। সিম পজিশন ঠিক করা, যার যা শক্তি, আউটস্যুয়িং, ইনস্যুয়িং, ইনকাট। যা যা শক্তির জায়গা ওটা কিভাবে ইম্প্রুভ করা যায় এবং একুরেসিটা কীভাবে বাড়ানো যায়।’
এই বছরটা পেসারদের জন্য অবশ্য ভালো যায়নি একদমই। তবে তাসকিন এই ব্যাপারটা ভুলে যেতে চান, ‘নাম শুনে সাউথ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ডে বোলিং ট্র্যাক হয় ভাবা হবে ভুল। আসলে ওখানে ৩৫০ রান হয়। আমরা আসলে রানও কম করেছি। খালি বোলারদের দোষ দিয়ে লাভ নেই। যাই হোক যেদিন চলে গেছে তা নিয়ে আর কথা না বলি। সামনে নতুন বছর আসছে। নতুন শুরু হবে ইনশাল্লাহ।’
কথা প্রসঙ্গে চলে এলো হাথুরুসিংহের সঙ্গে খালেদ মাহমুদের তুলনাও। তাসকিনের ভাষায় ব্যাপারটা এরকম, ‘একেকজনের বলার ধরন একেক রকম। উনি (হাথুরু) হয়তো রাগ করলে বকাঝকা করতেন, সুজন স্যার…উনিও বকেন, কিন্তু আদর করে আবার বুঝিয়ে দেন।’
সারাবাংলা/এএম