বিজ্ঞাপন

বিএসটিআই সম্প্রসারণ : ৩ বছরের প্রকল্প বাস্তবায়নে সময় লাগছে ৮ বছর

August 30, 2018 | 8:36 am

।। জোসনা জামান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: বাংলাদেশ স্টান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনকে (বিএসটিআই) সম্প্রসারিত ও শক্তিশালী করার প্রকল্প চলছে ধীরগতিতে। প্রাথমিকভাবে এটি তিন বছরের প্রকল্প হলেও গত সাত বছরে প্রকল্পের ৭৪ দশমিক ৮২ শতাংশ বাস্তবায়িত হয়েছে। আগামী এক বছরে বাকি ২৫ শতাংশ কাজ শেষ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করে প্রকল্পটির তৃতীয় সংশোধনী প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে পরিকল্পনা কমিশনে। সেই অনুযায়ী, তিন বছরের প্রকল্পটিতে সময় বেশি লাগছে অতিরিক্ত পাঁচ বছর।

এ প্রসঙ্গে বিএসটিআই এর উপপরিচালক মো. তাহের জামিল মঙ্গলবার (২৮ আগস্ট) সারাবাংলাকে বলেন, জমি অধিগ্রহণের সমস্যার কারণেই মূলত প্রকল্পটির বাস্তবায়নে দেরি হয়েছে। তাছাড়া এখন প্রস্তাবিত তৃতীয় সংশোধনীতে প্রকল্পের খরচ কিছুটা কমলেও জনবলের ক্ষেত্রে কিছুটা ব্যয় বেড়েছে। ফলে তৃতীয়বারের মতো প্রকল্পটি সংশোধন করতে হচ্ছে। তবে আশা করছি এবারই কাজ শেষ হবে।

সংশোধনীর কারণ হিসেবে শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, বাস্তবায়নকাল ২ বছর বাড়ানোর কারণে প্রকল্পের নিয়োজিত জনবলের বেতন-ভাতা খাতে ব্যয় বাড়বে। এছাড়া সময় বাড়ায় সরবরাহ ও সেবা খাত এবং মেরামত ও সংরক্ষণ খাতেও ব্যয় বাড়বে। পাশাপাশি অর্থ মন্ত্রণালয়ের ২০১৭ সালের ১৩ নভেম্বর জারি করা পরিপত্র অনুযায়ী যানবাহনের মূল্যবৃদ্ধি এবং ভূমি অধিগ্রহণ, মেশিন ও যন্ত্রপাতি এবং আসবাবপত্র  ও কন্টিনজেন্সি খাতে ব্যয় কমে যাওয়ায় তৃতীয় সংশোধনীর প্রস্তাব করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সূত্র জানায়, মূল অনুমোদিত প্রকল্পটি ২০১১ সালের জুলাই থেকে ২০১৪ সালের জুনের মধ্যে বাস্তবায়নের কথা ছিল বিএসটিআইয়ের। কিন্তু নানা কারণে সেটি সম্ভব হয়নি। পরবর্তী সময়ে প্রথম সংশোধনীর মাধ্যমে একবছর বাড়িয়ে ২০১৫ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয় প্রকল্পের মেয়াদ। বর্ধিত এ সময়ের মধ্যেও কাজ শেষ না হলে দ্বিতীয় সংশোধনীর মাধ্যমে প্রকল্পটির মেয়াদ দুই বছর বাড়িয়ে ২০১৭ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়। এতেও কাজ শেষ না হলে বর্তমানে দুই বছর বাড়িয়ে ২০১৯ সালের জুন পর্যন্ত মেয়াদের প্রস্তাব করা হয়েছে।

অন্যদিকে প্রকল্পটির মূল খরচ ছিল ৪৭ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। প্রথম সংশোধনীর মাধ্যমে খরচ বাড়িয়ে ৫১ কোটি ৮২ লাখ টাকা করা হয়। দ্বিতীয় সংশোধনীতে কোনো খরচ বাড়েনি। কিন্তু এবার তৃতীয় সংশোধনী প্রস্তাবে খরচ কমছে প্রায় ৩৭ লাখ টাকা। এ পর্যায় খরচ কমে দাঁড়াচ্ছে ৫১ কোটি ৪৪ লাখ টাকা।

শিল্প মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বিএসটিআই দেশের একমাত্র জাতীয় মান নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান। দেশের জনগণের খাদ্য ও স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং পরিবেশ সুরক্ষা করা, দেশীয় শিল্প কারখানায় উৎপাদিত পণ্য সামগ্রীর গুণগত মান রক্ষা করা, আন্তর্জাতিক বাজারে দেশীয় পণ্যের গ্রহণযোগ্যতা বাড়িয়ে রফতানির উন্নয়ন এবং বৈদেশিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে কৌশলগত বাধা দূর করতে বিএসটিআই বিশেষ ভূমিকা রাখছে। এসব দায়িত্ব পালনে বিএসটিআইকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে শক্তিশালী ও আধুনিকীকরণ করা অপরিহার্য। বর্তমানে শুধু বিভাগীয় পর্যায়ে বিএসটিআইয়ের ছয়টি কার্যালয় রয়েছে। দেশব্যাপী বিএসটিআইয়ের কার্যক্রম সম্প্রসারণ ও প্রান্তিক পর্যায়ে মানসম্পন্ন পণ্যের সরবরাহ নিশ্চিত করতে মূল প্রকল্পটি ২০১১ সালের ১০ অক্টোবর একনেক সভায় অনুমোদিত হয়।

বিজ্ঞাপন

প্রকল্পের প্রধান কার্যক্রম হচ্ছে পাঁচ জেলার জন্য ২ দশমিক ৩৬ একর ভূমি অধিগ্রহণ। এছাড়া, অফিস কাম ল্যাবরেটরী ভবন নির্মাণ, কম্পিউটার ও আনুঙ্গিক সরঞ্জাদি এবং রসায়ন, মেট্রোলজি, পদার্থ ও ইলেকট্রিক্যাল ল্যাবের যন্ত্রপাতি কেনা হবে এই প্রকল্পের আওতায়।

সারাবাংলা/জেজে/জেএএম

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন