বিজ্ঞাপন

চলতি মাসে শুরু হচ্ছে বড়পুকুরিয়ায় কয়লা উত্তোলন

September 1, 2018 | 8:39 am

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: চলতি মাসের মাঝামাঝিতে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে আবারও বাণিজ্যিকভাবে উত্তোলন কাজ শুরু হবে। এরই মধ্যে নতুন সুড়ঙ্গ তৈরির কাজ শুরু হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন, বড়পুকুরিয়া খনি কর্তৃপক্ষের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।

পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান আবুল মনসুর মো. ফয়জুল্লাহ এ প্রসঙ্গে সারাবাংলাকে বলেন, নতুন ফেইজে কাজ শুরু হয়েছে আরও আগেই। আমরা আশা করছি সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝিতে কয়লা উত্তোলন করা সম্ভব হবে।

এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান, ‘খনির ১২১০ডি নম্বর সুড়ঙ্গ থেকে এতদিন কয়লা তোলা হচ্ছিল। গত ১৫ জুন এই ফেইজ থেকে কয়লা উত্তোলন বন্ধ হয়ে যায়। নতুন করে ১৩১৪ নম্বর সুড়ঙ্গ থেকে কয়লা তোলা হবে। সেখান থেকে দৈনিক প্রায় পাঁচ হাজার টন কয়লা উত্তোলন করা হবে। খনির নতুন ফেইস ডেভেলপমেন্ট ও ভূগর্ভস্থ রোডওয়ে নির্মাণ কার্যক্রম চলাকালীন একশ থেকে দেড়শ মেট্রিক টন এবং ১১ থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিন ৩০০ মেট্রিক টন পর্যন্ত কয়লা উত্তোলন করা হয়েছে।’

বিজ্ঞাপন

এ ছাড়াও ১ সেপ্টেম্বর থেকে দৈনিক গড়ে দেড় হাজার থেকে দুই হাজার টন কয়লা উৎপাদিত হতে পারে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি বড়পুকুরিয়া কয়লার খনিতে দুনীর্তির অভিযোগ ওঠে। অভিযোগের পর বিষয়টি নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তদন্ত করছে।

এ ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে পৃথক তদন্ত হয়েছে। এসব তদন্তের পরে আগস্ট মাসে সরকার কয়লা খনির দুর্নীতি রোধে ছয় সিদ্ধান্ত নেয়।

বিজ্ঞাপন

সেগুলোর মধ্যে রয়েছে, দ্রুততম সময়ে কয়লা উত্তোলন করতে সকল শ্রমিকের ছুটি বাতিল, কয়লা উৎপাদনের নিয়োজিত চায়না ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এক্সএমসি-সিএমসিকে কাজের গতি বৃদ্ধির তাগিদ দেওয়া, খনির ফেইজ ডেভেলপমেন্ট ও ভূগর্ভস্থ রোডওয়ে নিমার্ণ কার্যক্রম চলাকালীন উৎপাদিত কয়লা স্টক ইয়ার্ডে মজুদ না রেখে সরাসরি তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে সরবরাহ করা।

এ ছাড়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এরই মধ্যে দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির কয়লা মজুদ ক্ষেত্র (স্টক ইর্য়াড) থেকে কয়লা সরবরাহের ফটক বা গেইট সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে কয়লা খনি থেকে উত্তোলিত কয়লা বেসরকারি খাতে বিক্রি বন্ধ করা হয়েছে। ভবিষ্যতে কয়লার বাস্তবভিত্তিক স্টক ভেরিফিকেশনের মাধ্যমে যথাযথ মজুদ ও বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কয়লা সরবরাহ নিশ্চিত করা এবং সমন্বিত কর্মপদ্ধতি প্রণয়নের মাধ্যমে ডিজিটাইজড পদ্ধতিতে কয়লা উৎপাদন,বিক্রয় ও মজুদের বিষয়টি মনিটরিং করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সারাবাংলা/এইচএ/এমআই

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন