বিজ্ঞাপন

দুই যাত্রীবাহী বাসে ঢাকায় আনা হচ্ছিল ১৪ কেজি স্বর্ণ

September 3, 2018 | 9:43 am

।। সিনিয়ার করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা : ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে দুটি যাত্রীবাহী বাসের ছয় যাত্রীর কাছ থেকে ১২০ টি স্বর্ণের বার জব্দ করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। আটক করা হয়েছে ছয়জনকে। র‌্যাবের দাবি, এই ছয় যাত্রী স্বর্ণ চোরাকারবারী।

মহাসড়কের নরসিংদীর পাঁচদোনা এলাকায় এনা পরিবহন ও গ্রীন লাইন পরিবহনের দুটি যাত্রীবাহী বাস থেকে আনুমানিক ৬ কোটি টাকা দামের ১৪ কেজি ওজনের এই ১২০টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করে র‌্যাব-৩।

সোমবার (৩ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অবস্থিত র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান র‌্যাব-৩ এর ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর মো. রাহাত হারুন খান।

বিজ্ঞাপন

সংবাদ সম্মেলন থেকে জানানো হয়, এনা পরিবহন থেকে যাদের আটক করা হয়েছে তারা হলেন, নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার দত্তপাড়া এলাকার মো. জামাল হোসেন (২২), ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার ক্যাম্পপাড়ার মো. তানভীর আহম্মেদ এবং শরীয়তপুর জেলার পালং থানার উত্তর বিলাশখান এলাকার বাসিন্দা মো. রাজু হোসেন (২৩)।

এছাড়া গ্রীন লাইন পরিববহনের বাসটি থেকে আটককৃতরা হলেন, চট্টগ্রামের কাঞ্চননগর এলাকার মো. আবুল হোসেন, ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার সস্তা বাজারের মো. রাজু আহম্মেদ (৩০) এবং ঝালকাঠির কাঠালিয়া থানার নতুন হাটের জোড়াখালীর মো. আলাউদ্দিন।

আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে ১৩ টি মোবাইল ফোনও জব্দ করা হয়।

বিজ্ঞাপন

মেজর মো. রাহাত হারুন খান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-৩ জানতে পারে যে, সিলেট থেকে ঢাকায় এনা ও গ্রীন লাইন পরিবহনে করে প্রচুর স্বর্ণ অবৈধ ভাবে চোরাচালান হচ্ছে। এ খবর পেয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নরসিংদীর পাঁচদোনা এলাকায় একটি বিশেষ তল্লাশি চৌকি বসায় র‌্যাব-৩। এসময় দুটি বাস থেকে এসব স্বর্ণ জব্দ করা হয় এবং মোট ৬ জনকে আটক করা হয়।

আটক ব্যক্তিরা প্রত্যেকে নিজের পরনের প্যান্টের কোমরে বিশেষ পকেট বানিয়ে স্বর্ণগুলো ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছিলেন। তাদের প্রত্যেকের কাছে ২০ টি করে ছয়জনের কাছে মোট ১২০টি স্বর্ণের বার ছিল। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, এসব স্বর্ণের বার সিলেট থেকে হাতবদল করে ঢাকায় পৌঁছে দিতে কাজ করছিলেন তারা। যার বিনিময়ে প্রত্যেকের ১৪ হাজার টাকা করে পাওয়ার কথা ছিল। এদের মধ্যে কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেও জানান এই র‌্যাব কর্মকর্তা। তিনি বলেন, আবার কয়েকজন দীর্ঘদিন ধরে আন্তর্জাতিক স্বর্ণ চোরাচালান চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা এসব স্বর্ণ নিরাপদে ঢাকায় এনে পরবর্তীতে পাশ্ববর্তী দেশগুলোতেও পাচার করা হয় বলে জানা গেছে।

মেজর মো. রাহাত হারুন খান বলেন, তাদের কাছ থেকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী এ অভিযান চলছে। আটক ছয়জনের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি। তবে আটকৃতদের কাছ থেকে স্বর্ণ চোরাচালানের মূল হোতাদের কয়েকজনের নাম জানতে পারলেও তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম প্রকাশ করেননি র‌্যাবের এ কর্মকর্তা।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/ইউজে/এসএইচ/এসএমএন

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন