বিজ্ঞাপন

‘রাজনৈতিক দলের সমর্থনের ওপরই নির্ভর করছে ইভিএম ব্যবহার’

September 3, 2018 | 11:52 am

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: সক্ষমতা, প্রশিক্ষণ, আইন ও রাজনৈতিক দলের সমর্থনের ওপরই নির্ভর করছে আগামী নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার হবে কি না।

সোমবার (০৩ সেপ্টেম্বর) ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার সংক্রান্ত দুই দিনব্যাপি প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন করে এসব কথা বলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা।

এ সময় তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার শুরু হয়ে গেছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার নির্ভর করবে আইন কানুন, প্রশিক্ষণ ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সমর্থনের উপর।

বিজ্ঞাপন

সিইসি বলেন, ‘আমরা এখন প্রস্তুতিমূলক অবস্থানে রয়েছি। জাতীয় সংসদে যদি আইন পাস হয়, তখন আমাদের প্রশিক্ষিত লোকজনের যদি সক্ষমতা অর্জন হয় এবং জনগণের কাছে যদি গ্রহণযোগ্য হয়, তাহলে যতটুকু পারব ততটুকু জায়গায় ইভিএম ব্যবহার করব।

আইন পাস হলে র‌্যানডমলি ইভিএম ব্যবহার করা হবে জানিয়ে সিইসি বলেন, `সরকার যদি আইন পাস করে দেয়, আর পরিবেশ পরিস্থিতি যদি অনূকুলে থাকে তবে সংসদ নির্বাচনে র‌্যানডমলি ইভিএম ব্যবহার করা হবে। আমরা যদি মনে করি তিনশ’ আসনের মধ্যে ২৫টি আসনে ইভিএম ব্যবহার করব। তবে আমরা র‌্যানডমলি আসনগুলো বাছাই করব। এখানে কারো পছন্দ অপছন্দের বিষয়ে থাকবে না।’

তিনি বলেন, কোনো কিছু নতুনভাবে শুরু করলে আলোচনা সমালোচনা হয়। ইভিএম কিভাবে ব্যবহার হবে সেটা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই উৎকন্ঠা থাকবে। আর সেটাই তারা করেছে। অনেক প্রশ্নের উদ্ভব হয়েছে, সেগুলো প্রাসঙ্গিক। এগুলো নিয়ে আমরা ব্যাপকভাবে প্রচারে পৌঁছাতে পারিনি।

বিজ্ঞাপন

কেএম নূরুল হুদা বলেন, প্রযুক্তি এখন বাক্সে বন্দি নেই, মানুষের হাতে হাতে, চিন্তা চেতনায় প্রবেশ করেছে। ২০১০ সালে যখন ইভিএম শুরু হয়, তখন ভুলত্রুটি ছিল। তবে, এখন আমরা উন্নত প্রযুক্তি এনেছি। জেলায় জেলায় মেলার আয়োজন করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। আমরা মেলাগুলোতে ইভিএম সম্পর্কে ব্যাখ্যা করব, মানুষের কাছে বিস্তারিতভাবে উপস্থাপন করব। সেখানে ত্রুটি থাকলে অবশ্যই সেটা ব্যবহার করা হবে না।

ইভিএমের টাকার দায়িত্ব ইসির উপর আসবে না জানিয়ে সিইসি বলেন, আমার কাছে যখন ইভিএমের প্রস্তাব এসেছিল আমি প্রথমেই জানিয়েছিলাম ইভিএমের টাকার দায়িত্ব ইসির কাছে আসবে না। অর্থমন্ত্রণালয় তা সরবরাহ করবে। সরকারীভাবে অর্থ আদান প্রদানের বিষয়টি নির্ধারণ করা হবে। আমাদের কাছে কোনো তহবিলই আসবে না। তাহলে আমাদের জন্য সুবিধা হবে।

সারাবাংলা/জিএস/জেএএম

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন