বিজ্ঞাপন

শপথ নিলেন সিলেট-রাজশাহীর মেয়র-কাউন্সিলরা

September 5, 2018 | 2:06 pm

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা : শপথ নিলেন রাজশাহী ও সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিজয়ী মেয়র-কাউন্সিলররা।

বুধবার (০৫ সেপ্টেম্বর) বেলা ১০টা ৫৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শেখ হাসিনা রাজশাহী সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন ও সিলেটের আরিফুল হক চৌধুরীকে শপথ বাক্য পাঠ করান।

এরপর দুই সিটির নবনির্বাচিত কাউন্সিলরদের শপথ করান স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

বিজ্ঞাপন

গত ৩০ জুলাই বরিশাল, সিলেট ও রাজশাহী এই তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। গত ৫ বছরের ব্যবধানে দ্বিতীয়বারের মতো মেয়র হিসেবে শপথ নিলেন এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন। বিএনপির প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলকে হারিয়ে মেয়র হন তিনি। অন্যদিকে, টানা দ্বিতীয়বারের মতো সিলেটের মেয়র হিসেবে শপথ নিলেন বিএনপির আরিফুল হক চৌধুরী। আওয়ামী লীগ প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমদ কামরানকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয় মেয়াদে মেয়র হন।

স্থানীয় সরকার সচিব ড. জাফর আহমেদ খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিতদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন শেখ হাসিনা। সেখানে তিনি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতার নির্মম হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পর দেশে ফিরে আসার পর থেকে জনগণের ভোটাধিকার অর্জন ও স্বাধীনতার সুফল যেন জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে যায় সে লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাওয়ার প্রত্যয়ের কথা তুলে ধরেন শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রকে সুপ্রতিষ্ঠিত করবার জন্যই আমরা সংগ্রাম করেছি এবং নির্বাচনে বাংলাদেশের জনগণ যেন স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারে, সেটাই আমরা সুনিশ্চিত করেছি।’

শপথ অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমর্থক দুইজনের মেয়র হিসেবে শপথ নেওয়ার প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ সুদৃঢ় গণতন্ত্রের উপর প্রতিষ্ঠিত। প্রত্যেকটি এলাকায় জনগণ ভোট দেওয়ার অধিকার অর্জন করেছে এবং ভোট দিয়ে তাদের মনোনীত প্রার্থীকে জয়যুক্ত করতে পারছে, এটাই আজ প্রমাণিত।’

শেখ হাসিনা বলেন, একটি দেশে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা থাকলে দেশ উন্নত হয়, সমৃদ্ধশালী হয় এবং উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় থাকে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে সেটা প্রমানিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

এসময় ২০০৮ সালের পর থেকে ২০১৮ পর্যন্ত সরকারের গৃহীত পদক্ষেপে সামাজিক-অর্থনৈতিক ও আর্থসামাজিক অগ্রগতির সূচকগুলোর কথা তুলে ধরেন শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যকার ফুটবল খেলা সম্প্রচারের উদাহারণ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি নিজে খেলা দেখি, আপনারা জানেন আমার খেলা দেখার অভ্যাস আছে। আমার ভাল লাগে। একটু সময় পেলেই দেখি। একদিকে ফাইলের বস্তা অপরদিকে খেলা। একসাথেই দুটোর কাজ করছিলাম। খেলায় আমরা জিতেছি কিন্তু আমার কথা সেটা না, সবথেকে বড় কথা হলো, স্যাটেলাইটের মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচারে খুব সুন্দর, পরিষ্কার ও স্বচ্ছভাবে খেলাটি সম্প্রচারিত হয়েছে।’

এছাড়াও মঙ্গলবার একনেক বৈঠকে ১০০ বছর মেয়াদী ‘ব-দ্বীপ পরিকল্পনা’ পাস করার বিষয়টিও তুলে ধরেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘এটাও কিন্তু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চিন্তা ছিল। আমার বলতে খুব কষ্ট হয়। মাত্র ১৫ দিন আগ আমি যখন জার্মানিতে যাই, জার্মানি যাওয়ার আগে আমার বাবা আমাকে বলেছিলেন, তুমি জার্মান যাচ্ছো, তোমরা নেদারল্যান্ডে যেও। নেদারল্যান্ডও একটা ব-দ্বীপ দেশ, সেই দেশ কিভাবে তাদের দেশকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা করেছে এবং কিভাবে তারা ভূমি উত্তোলন করে দেশ বাড়াচ্ছে (আয়তন) এটা তুমি দেখে আসতে পারবে।’

এসময় বাবার সঙ্গে শেষ কথোপকোথনের বিষয়টিরও স্মৃতিচারণ করেন প্রধানমন্ত্রী।

আরো পড়ুন : জনপ্রতিনিধিদের জনগণের সেবক হওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

সারাবাংলা/এনআর/এসএমএন

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন