বিজ্ঞাপন

‘খালেদা জিয়াকে জোর করে আদালতে আনা হয়েছে’

September 5, 2018 | 5:48 pm

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে হুইল চেয়ারে জোর করে আদালতে হাজির করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তার আইনজীবী সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন।

বুধবার (৫ সেপ্টেম্বর) সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাকক্ষে খালেদা জিয়ার বিচার বিষয়ে করণীয় বিষয়ক এক রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ কথা বলেন।

জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘খালেদা জিয়া এত অসুস্থ যে তিনি আসতে পারেননি। তবুও তাকে হুইল চেয়ারে করে জোর করে নিয়ে আসা হয়। সরকার দেশের আইন-কানুন না মেনে বেআইনিভাবে গেজেট নোটিফিকেশন করেছে।’

বিজ্ঞাপন

গতকাল হঠাৎ করে অন্ধকার কারাগারে বিএনপি চেয়ারপারসনের বিচারের জন্য একটি আদালত গঠন করা হয়েছে এমন অভিযোগ করে জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘অতীতে আমরা তা কখনো দেখিনি এবং বাংলাদেশে কেন পাকিস্তানের ইতিহাসেও নেই যে সাংবিধানিকভাবে কারাগারে কোনো আদালত হতে পারে। যদি দেশে সামরিক শাসন হয় সেক্ষেত্রে যা ইচ্ছা তা করতে পারে। কিন্তু সংবিধান মোতাবেক কারাগারে কোনো আদালত স্থাপন করা যায় না।’

তার কারণ হলো সংবিধানের ৩৫ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘বিচার হতে হবে প্রকাশ্যে এবং জনগণের উপস্থিতিতে। অর্থাৎ যেখানে জনগণের উপস্থিতি থাকবে না সেখানে বিচার করা যাবে না।’

সরকার সংবিধান মানে না দেশের আইন-কানুন মানে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সবকিছু না মেনে বেআইনিভাবে গেজেট নোটিফিকেশন করে অসুস্থ খালেদা জিয়ার জন্য একটি কারাগার করেছে। আমাদের প্রতিনিধি সেখানে গিয়েছে। সেখানে গিয়ে দেখেছে একটি অন্ধকার কূপ, একটি গুহা। চব্বিশ ফুট ও ছাব্বিশ ফুট হলো তার দৈর্ঘ্য-প্রস্থের আদালত কক্ষ। এই অবস্থার মধ্যে একটি আদালত বসানো হয়েছে।’

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন: ‘খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি, তারা সবই জানেন’

জয়নুল আবেদীন আরও বলেন, ‘আমাদের সংবিধানে আছে জোর করে কাউকে আনা যাবে না, বিশেষ করে অসুস্থ মানুষকে। অথচ খালেদা জিয়াকে জোর করে নিয়ে আসা হয়েছে। এ সমস্ত বিষয় নিয়েই আমরা আলোচনা করেছি। দলের মহাসচিব (মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর) এসেছিলেন এ নিয়ে আমাদের মতামত নেওয়ার জন্য। এখানে অন্য কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই। খালেদা জিয়ার জন্য যে আদালত গঠন করা হয়েছে তা আইনগত কিনা সে বিষয় নিয়েই আমরা আলোচনায় বসেছিলাম। আমরা আলোচনা করেছি। আমরা বলেছি, এই যে আদালত করা হয়েছে এটা বেআইনি আদালত। তাই এটার পরবর্তী কি পদক্ষেপ হবে সেইটা আমরা আলাপ-আলোচনা করে আমরা সিদ্ধান্ত নেব এবং আপনাদের জানাবো।’

‘ফৌজদারী কার্যবিধির ৯ ধারা অনুসারে কারাগারে খালেদা জিয়ার জন্য আদালত গঠন করা হয়েছে এবং এখানে সংবিধান লঙ্ঘণের কিছুই ঘটেনি’ বলে আইনমন্ত্রীর বক্তব্য প্রসঙ্গে জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘তাহলে কি দেশে এখন সামরিক শাসন চলছে? এটা আইনমন্ত্রী জবাব দেবে। কর্নেল তাহেরের যখন বিচার হয়েছে তখন দেশে সামরিক আইন ছিলো। সেখানে কোনো সাংবিধানিক আইন ছিলো না। আইনমন্ত্রী যদি দেশের আইন না মানে তাহলে পরে সে দেশে বিচার ব্যবস্থা কিভাবে চলবে?’

বৈঠকে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, এ জে মোহাম্মদ আলী, সানাউল্লাহ মিয়া, এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যরিস্টার কায়সার কামাল, বদরুদ্দোজা বাদলসহ বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন: হুইল চেয়ারে আদালতে খালেদা জিয়া

সারাবাংলা/এজেডকে/এমও

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন