বিজ্ঞাপন

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বার্নিকাটের সেলফি

September 5, 2018 | 6:59 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বসে আছেন বিমানের আসনে। পাশের আসনে বসে আছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা ব্লুম বার্নিকাট। তবে দুজনেই আছেন হাসিমুখে, তারা ছবি তোলার জন্য পোজ দিয়েছেন- বিষয়টি এমন নয় যে, তারা কোনো ফটোসেশনে অংশ নিয়েছেন। বরং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হাসিমুখে তাকিয়ে আছেন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাটের হাতে ধরা মোবাইল ফোনে, তারা সেলফি তুলছেন।
বুধবার ( ৫ সেপ্টেম্বর) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স বহরে যুক্ত হওয়া সর্বাধুনিক প্রযুক্তির বোয়িং ৭৮৭- ড্রিমলাইনার এর উদ্বোধন করার পর ড্রিমলাইনারের ভেতরে গিয়ে বার্নিকাটের সঙ্গে সেলফিতে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং মার্শা বার্নিকাটের পেছনে দাঁড়িয়ে ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান এয়ার মার্শাল (অব.) ইনামুল বারী, তিন বাহিনী প্রধানসহ অন্যরা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিন বাহিনী প্রধানসহ দেশের রাষ্ট্রদূত ও কূটনৈতিক প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

ছবিতে দেখা যাচ্ছে, ক্রিম রঙের শাড়ি পরিহিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হাসিমুখে মার্শা বার্নিকাটের মোবাইল ফোনের দিকে তাকিয়ে আছেন, বার্নিকাট সেলফি তুলছেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রী হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভিভিআইপি টার্মিনালে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস বোয়িং ৭৮৭-ড্রিমলাইনার আকাশবীণার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। তাকে বিমানের পক্ষ থেকে এসময় ড্রিমলাইনার আকাশবীণার একটি রেপ্লিকা উপহার দেন ইনামুল বারী। উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রী আকাশবীণার পরিদর্শনে যান, উড়োজাহাজটির ককপিট, কেবিন ঘুরে দেখেন। সেখানেই এ সেলফি তোলা হয়।

এর আগে ড্রিমলাইনারের উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে সরকারের নেওয়া পদক্ষেপে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির বিষয়গুলো তুলে ধরে বলেন, ‘আমাদের এই বিমানবহরে যখনই নতুন বিমান এসেছে আমি চেষ্টা করেছি নতুন নতুন সুন্দর সুন্দর নাম দিতে। কারণ আমাদের দেশটাকে তুলে ধরতে হবে। এটা শুধু আমাদের দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার নয়। কারণ এটা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যাতায়াত করে। কাজেই বিমানে যারা কাজ করবেন বা বিমানে যারা যাতায়াত করবেন বা বিমানে দেশি-বিদেশি প্যাসেঞ্জার যারা উঠবেন, তাদের জন্য একটা সুন্দর পরিবেশ দরকার।’

বিজ্ঞাপন

গত ১৯ আগস্ট দেশে আসে বহুল প্রতীক্ষিত ড্রিমলাইনার ৭৮৭, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যার নাম দিয়েছেন আকাশবীণা।  প্রসঙ্গত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িংয়ের সঙ্গে ২০০৮ সালে চারটি ড্রিমলাইনারসহ মোট ১০টি বোয়িং উড়োজাহাজ কেনার জন্য ২.১ বিলিয়ন ইউএস ডলারে চুক্তি করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।

১০টি বোয়িং উড়োজাহাজের মধ্যে রয়েছে বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর মডেল চারটি এবং বোয়িং ৭৩৭-৮০০ মডেল দু’টিসহ মোট ছয়টি উড়োজাহাজ বাংলাদেশ বিমানকে সরবরাহ করেছে কোম্পানিটি। বাকি থাকা চারটি ৭৮৭ উড়োজাহাজের আজ দেশে আসে। পরেরটি আগামী নভেম্বর এবং আগামী বছরের সেপ্টেম্বরে আরো দু’টি ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ সরবরাহ করবে তারা। আগামীতে আসা উড়োজাহাজগুলোর নাম ’হংস বলাকা’, ‘গাঙচিল’ ও ‘রাজহংস’। এই নামগুলোও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

আরও পড়ুন: দেশের যেন বদনাম না হয়, বিমানকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী

বিজ্ঞাপন
সারাবাংলা/জেএ/একে

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন